‘তাঁত শিল্প সমৃদ্ধির জন্য সরকার কারখানার মালিককে সহযোগিতা দিচ্ছে’

0
65

দেশীয় তাঁত বস্ত্র শিল্পকে টিকিয়ে রাখতে তাঁত বস্ত্র মেলা আয়োজন সহ নানামুখী উদ্যোগে গ্রহনের জন্য সংশ্লিষ্ঠদের প্রতি আহবান জানালেন সিটি মেয়র আ.জ.ম.নাছির উদ্দীন। আজ বিকালে চট্টগ্রাম আউটার স্টেডিয়ামে বাংলাদেশ জামদানী ম্যানুফাকচার্র এন্ড এক্সপোর্টাস এসোসিয়েশন আয়োজিত দেশীয় তাঁত বস্ত্র ও হস্তশিল্প মেলার উদ্বোধন কালে প্রধান অতিথির বক্তব্যে তিনি একথা বলেন। মাসব্যাপি এই মেলার অনুষ্ঠানিক উদ্বোধনকালে চট্টগ্রাম মহানগর মুক্তিযোদ্ধা কমান্ডার মোজাফফর আহমেদ,রাজনীতিক জসিম উদ্দিন চৌধুরী,আবদুল মান্নান ফেরদৌস,মোরশেদুল আলম,শাহেদ মুরাদ শাকু, বাংলাদেশ জামদানী ম্যানুফাকচারার্স এন্ড এক্সপোর্টাস এসোসিয়েশন সাধারণ সম্পাদক হান্নান শিকদার,শহীদ আকতার বাবুল,শাহাদাত হোসেন প্রমুখ উপস্থিত ছিলেন।
প্রধান অতিথির বক্তব্যে মেয়র বলেন বর্তমান সরকার তাঁত শিল্পের উন্নয়নে প্রায় বন্ধ হয়ে যাওয়া তাঁত শিল্প কারখানা সক্রিয়করণ এর উদ্যোগ নিয়েছে। এই উদ্যোগের ফলশ্রুতি হিসেবে সরকার তাঁত শিল্পীদের আর্থিক প্রণোদনা প্রদানসহ ব্যাপক পরিকল্পনা গ্রহন করেছে। বর্তমান সরকারের ঐকান্তিক প্রচেষ্ঠার ফল স্বরুপ ইতোমধ্যে জামদানির বয়ন পদ্ধতি ইউনোস্কো কর্তৃক ইন্টানজিবল ক্যালচারাল হেরিটেজ হিসেবে স্বীকৃতি পেয়েছে। তিনি জামদানী ম্যানুফ্যাকচারার্স এন্ড এক্সপোর্টার্স এসোসিয়েশন এই মেলা আয়োজনের জন্য আয়োজকদেরকে ধন্যবাদ জানিয়ে বলেন বর্তমান যান্ত্রিক সময়ের নানা ধরণের ভিনদেশীয় বস্ত্রের ভিড়ে আমাদের দেশীয় তাঁত শিল্প প্রায় বিলুপ্ত হতে বসেছে। একে একে বন্ধ হয়ে গেছে অনেকগুলো তাঁত কল। তাঁত শিল্পীরা হয়ে পড়েছে কর্মহীন। নানা প্রতিকূলতার মাঝেও বংশগত ঐতিহ্য বুকে ধারণ করে কিছু কিছু অঞ্চলে এখনো তাঁত শিল্পীরা কাপড় বুনন করে চলেছে। এই শিল্প সমৃদ্ধির জন্য বর্তমান সরকার তাঁত শিল্প কারখানার মালিককে সহযোগিতা দিয়ে যাচ্ছে। তাই তাঁতকল এখন আর তাঁতশিল্পীদের গলার ফাঁস নয় বলে তিনি উল্লেখ করেন।
মেয়র বলেন বাংলার শিল্প, ইতিহাস, কৃষ্টি, সংস্কৃতি, ঐতিহ্য এবং সর্বোপরি কারিগরি সূচারুতার মেলবন্ধন বাংলাদেশের পোশাকশিল্প। বাংলাদেশী জামদানী কাপড়ের পরতে পরতে লুকিয়ে আছে যেমন ঐতিহ্যের ইতিবৃত্ত তেমনি ঠাস বুনটের জালে আটকে গেছে যেনো বাঙ্গালিয়ানার নিপুণ আবেগ ও স্বপ্নের মিশেল। এ প্রসঙ্গে তিনি ঢাকাই মসলিন, জামদানী; টাঙ্গাইলের তাঁত; রাজশাহী সিল্ক কিংবা মিরপুরের বেনারসী শৈল্পিক আভিজাত্যের উদাহরণ তুলে ধরেন। এগুলোর সমাদর বাঙ্গালীর প্রতিটি ঘরে ঘরে। এই প্রসঙ্গে তিনি আরো বলেন ক্রেতা সমাজের মাঝে তাঁত বস্ত্রের প্রতি আগ্রহ বাড়াতে এই ধরণের মেলা আয়োজন কার্যকর ভূমিকা রাখবে। পাশাপাশি বাংলার বিলুপ্ত প্রায় তাঁত বস্ত্র শিল্পকে টিকিয়ে রাখতেও এই বস্ত্র মেলা সহায়ক ভূমিকা পালন করবে বলে তিনি মত প্রকাশ করেছেন। এ মেলায় দেশের প্রত্যন্ত অঞ্চলের প্রায় শতাধিক ষ্টল অংশগ্রহণ করে।