তালেবান নেতা হাকিমুল্লাহ মেহসুদ নিহত

0
78

হাকিমুল্লাহ মেহসুদপাকিস্তানের সীমান্তবর্তী উত্তর ওয়াজিরিস্তানে গতকাল শুক্রবার মার্কিন চালকবিহীন বিমান (ড্রোন) হামলায় তালেবান নেতা হাকিমুল্লাহ মেহসুদ নিহত হওয়ার ঘটনায় দেশটির অভ্যন্তরীণ রাজনৈতিক পরিস্থিতি বড় ধরনের নাড়া খেয়েছে।
সন্ত্রাস ও সহিংসতার মাধ্যমে শান্তি হননকারী তালেবানের সঙ্গে শান্তি প্রতিষ্ঠায় পাকিস্তান সরকারের পক্ষ থেকে তিন সদস্যের একটি প্রতিনিধিদল যখন আলোচনার জন্য প্রস্তুত, এ সময় এই ড্রোন হামলা চালানো হলো। এতে একদিকে যেমন গুরুত্বপূর্ণ এ আলোচনা ভণ্ডুল হওয়ার আশঙ্কা দেখা দিয়েছে, তেমনি পাকিস্তানি তালেবানের নেতৃত্ব নিয়েও দেখা দিয়েছে প্রশ্ন। এখন কে হবেন তালেবান প্রধান?
ধারণা করা হচ্ছে, তেহরিক-ই-তালেবান (টিটিপি) বলে পরিচিত পাকিস্তানি তালেবানের একটি গোষ্ঠীর বর্তমান কমান্ডার খান সাঈদ সাজনা তাঁর স্থলাভিষিক্ত হতে পারেন।
গতকাল শুক্রবার বিবিসি অনলাইনের প্রতিবেদনে আভাস দেওয়া হয়, মেহসুদের মৃত্যুর পর টিটিপির নেতৃত্ব নিয়ে সংশয় দেখা দিয়েছে। জঙ্গি সংগঠনটির একাধিক গোষ্ঠী বা উপদল রয়েছে। এসব গোষ্ঠী সংগঠনটির ওপর নিজ নিজ নিয়ন্ত্রণ প্রতিষ্ঠা করতে তত্পর। তবে সংগঠনটির একটি উপদলের প্রধান খান সাঈদ সাজনা এর পরবর্তী প্রধান হতে পারেন বলে ধারণা করা হচ্ছে।

চলতি বছরের মে মাসে আরেকটি ড্রোন হামলার ঘটনায় নিহত হন দলটির কমান্ডার ওয়ালিউর রহমান। এর পর থেকে ওই উপদলটির কমান্ডারের দায়িত্ব পালন করে আসছিলেন সাজনা। টিটিপির যত উপদল রয়েছে, এর মধ্যে সাজনার দলটিই সবচেয়ে শক্তিশালী। করাচিসহ দেশটির বিভিন্ন স্থানে সাম্প্রদায়িক হামলার পেছনে ওই দলটির হাত রয়েছে। পাকিস্তান সরকারের সঙ্গে শান্তি আলোচনায় বসতে আগ্রহী সাজনার দল।

হাকিমুল্লাহ মেহসুদের মৃত্যুর পর তালেবানের সঙ্গে আসন্ন শান্তি আলোচনার ভবিষ্যত্ নিয়ে চিন্তিত হয়ে পড়েছে পাকিস্তান সরকার। দেশটির স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী চৌধুরী নিসার আলী খান এ ড্রোন হামলাকে ‘শান্তি আলোচনা ভেস্তে দেওয়ার চক্রান্ত’ বলে আখ্যায়িত করেছেন। সম্প্রতি মার্কিন প্রেসিডেন্ট ওবামার সঙ্গে আলোচনার সময় ড্রোন হামলা বন্ধের দাবি জানান পাকিস্তানের প্রেসিডেন্ট নওয়াজ শরিফ। শান্তি আলোচনার কথা মাথায় রেখে যুক্তরাষ্ট্র আপাতত ড্রোন হামলা বন্ধ রাখবে বলে প্রত্যাশা করছিলেন দেশটির সরকারি কর্মকর্তারা। এর মধ্যে গত বৃহস্পতিবার ও শুক্রবার পর পর দুদিন ড্রোন হামলা চালানো হলো।