তিন চিকিৎসকের বিরুদ্ধে মামলা

0
61

চিকিৎসকঅবহেলায় রোগীর মৃত্যু ও অপারেশনের পর রোগীর পেটে ব্যান্ডেজ রেখে দেওয়ার অভিযোগ তিন চিকিৎসকের বিরুদ্ধে পৃথক দুটি মামলা দায়ের হয়েছে।

মামলা দুটি আমলে নিয়ে চট্টগ্রাম মহানগর হাকিম মোহাম্মদ ফরিদ আলম পাঁচলাইশ থানা পুলিশকে এজহার হিসেবে নেওয়ার নির্দেশ দিয়েছেন।

প্রথম মামলার বাদি প্রবাসী কল্যাণ ও বৈদেশিক কর্মসংস্থান মন্ত্রী নুরুল ইসলাম বিএসসি’র ছোট ভাই খাইরুল বশর। ওই মামলায় চট্টগ্রাম মেডিক্যাল কলেজের সহযোগী অধ্যাপক মাহবুবুল আলম ও তার স্ত্রী শামীমা রোজীকে আসামী করা হয়েছে।

নগর পুলিশের এডিসি প্রসিকিউশন মুত্তাকী ইবনু মিনান জানান, মহানগর হাকিম আদালতে তিন ডাক্তারের বিরুদ্ধে পৃথক দুটি মামলা করা হয়েছে। মামলা দুটিকে এজহার হিসেবে নেওয়ার জন্য পাঁচলাইশ থানাকে নির্দেশ দিয়েছেন আদালত।

মামলার অভিযোগে বলা হয়, গত ৯ জানুয়ারি তাঁর মেয়ে মেহেরুন্নেছা মাহবুবুল আলম ও শামীমা রোজীর তত্ত্বাবধানে নগরীর পাঁচলাইশ এলাকার সার্জিস্কোপ হাসপাতালে ভর্তি হন। পরদিন সকালে অপারেশনের মাধ্যমে তার মেয়ে একটি কন্যা সন্তান প্রসব করেন। অপারেশনের পর অতিরিক্ত রক্তক্ষরণ হলে পুনরায় অপারেশনের কথা জানান ডাক্তার দম্পতি।

১২ ব্যাগ রক্তের কথা হলেও ১৪ ব্যাগ রক্ত দেওয়া হয়। ওইদিন বিকেলে হাসপাতাল থেকে জানানো হয় তার মেয়ের মৃত্যু হয়েছে।

নেহেরুন্নেছার মৃত্যু সংবাদ ছড়িয়ে পড়লে ওইদিন সার্জিস্কোপ হাসপাতালে ভাংচুর করে তার স্বজনরা। দুইদিন পর ডাক্তারের শাস্তি চেয়ে মানববন্ধন কর্মসূচিও পালন করা হয়।

এদিকে অপারেশনের সময় নুরু আবছার নামে এক কিশোরের পেটে ব্যান্ডেজ রাখার অভিযোগে চট্টগ্রাম মেডিকেল কলেজ হাসপাতালের ২৪ নম্বর ওয়ার্ডের সহকারী রেজিস্টার ডা.রানা চৌধুরীর বিরুদ্ধে একই আদালতে ছেলের অঙ্গহানির অভিযোগ এনে মামলা করেছেন ওই কিশোরের বাবা জেবল হোসেন।