দশম জাতীয় সংসদের শেষ অধিবেশন আজ বসছে

0
78

আওয়ামী লীগ নেতৃত্বাধীন ১৪ দলীয় জোট সরকারের চলমান দশম জাতীয় সংসদের ‘শেষ’ অধিবেশন বসছে আজ রবিবার। বিকেল ৫টায় স্পিকার ড. শিরীন শারমিন চৌধুরীর সভাপতিত্বে অধিবেশনের কার্যক্রম শুরু হবে।

এছাড়া বিকেল ৪টায় সংসদ ভবনে কমিটির বৈঠক হবে। অধিবেশন কত দিন চলবে তা কার্য উপদেষ্টা কমিটির বৈঠকে সিদ্ধান্ত হবে। বৈঠকে প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা, বিরোধীদলীয় নেতা রওশন এরশাদসহ অন্য সদস্যরা এতে উপস্থিত থাকবেন। স্পিকার ড. শিরীন শারমিন চৌধুরী এই বৈঠকেও সভাপতিত্ব করবেন।

সংবিধানের ৭২ অনুচ্ছেদের (১) দফায় প্রদত্ত ক্ষমতাবলে রাষ্ট্রপতি আবদুল হামিদ ১৯ আগস্ট সংসদের ২২তম অধিবেশন আহ্বান করেন।

এর আগে সংসদের ২১তম অধিবেশন গত ১২ জুলাই শেষ হয়। ওই অধিবেশনের কার্যদিবস ছিল ২৫টি। সংবিধান অনুযায়ী, একটি অধিবেশন শেষ হওয়ার পর ৬০ কার্যদিবসের মধ্যে আরেকটি অধিবেশেন আহ্বানের বাধ্যবাধকতা রয়েছে।

বর্তমান সরকারের মেয়াদ ২০১৯ সালের ২৮ জানুয়ারি শেষ হবে। ডিসেম্বরের শেষে একাদশ সংসদ নির্বাচনের দিন নির্ধারণ করা হবে। সে হিসেবে জরুরি কোনো প্রয়োজন না পড়লে এই অধিবেশনই চলতি সংসদের শেষ অধিবেশন হতে পারে।

অধিবেশনের শুরুতেই থাকছে বর্তমান সংসদের দুজন সদস্যের মৃত্যুতে শোক প্রস্তাবের ওপর আলোচনা। কার্যপ্রণালী বিধি অনুযায়ী সিটিং সংসদ সদস্য মারা গেলে তার ওপর শোক প্রস্তাবের আলোচনার পর সংসদ মুলতবি করতে হয়।

সেই হিসেবে রোববার আওয়ামী লীগের এস এম মোস্তফা রশিদী সুজা ও জাতীয় পার্টির মো. তাজুল ইসলাম চৌধুরীর মৃত্যুতে কর্মময় জীবন নিয়ে সরকারি দল ও বিরোধী দলের সংসদ সদস্যরা আলোচনা করবেন। প্রশ্নোত্তর ও অন্য সব কিছু টেবিলে উত্থাপন করা হতে পারে।

সম্ভাব্য শেষ অধিবেশন হিসেবে এই অধিবেশন অনেকটাই গুরুত্বপূর্ণ। এ অধিবেশনে ২২টি বিল উত্থাপিত হবে, এর মধ্যে ১১টিই নতুন বিল। এই নতুন বিলের মধ্যে রয়েছে বহুল আলোচিত সড়ক পরিবহন বিল-২০১৮। এই বিলটি অধিক গুরুত্ব দিয়ে পাস হতে পারে। এছাড়া পাস হতে পারে ডিজিটাল নিরাপত্তা বিল।

আর তিনটি বিল পাসের বিবেচনায় রাখা হয়েছে। সংসদ সচিবালয়ের সূচি অনুযায়ী পাসের অপেক্ষায় থাকা বিল তিনটি হচ্ছে বাংলাদেশ কৃষি উন্নয়ন করপোরেশন বিল, বরেন্দ্র বহুমুখী উন্নয়ন কর্তৃপক্ষ বিল ও শিশু সংশোধন বিল।

উত্থাপনের অপেক্ষায় থাকা ১১টি বিল হচ্ছে- সড়ক পরিবহন বিল, ওজন ও পরিমাপ মানদণ্ড বিল, বাংলাদেশ প্রাণী সম্পদ গবেষণা ইনস্টিটিউট বিল, মানসিক স্বাস্থ্য বিল, পণ্য উৎপাদনশীল রাষ্ট্রায়ত্ত শিল্প প্রতিষ্ঠান শ্রমিক (চাকরির শর্তাবলী) বিল, কৃষি বিপণন বিল, বাংলাদেশ মুক্তিযোদ্ধা কল্যাণ ট্রাস্ট বিল, জাতীয় দক্ষতা উন্নয়ন কর্তৃপক্ষ বিল, হাউজিং অ্যান্ড রিসার্চ ইনস্টিটিউট বিল, সংক্রামক রোগ (প্রতিরোধ, নিয়ন্ত্রণ ও নির্মূল) বিল, কওমি মাদ্রাসাগুলোর দাওরায়ে হাদিসের (তাকমিল) সনদকে মাস্টার্স ডিগ্রি (ইসলামিক স্টাডিজ ও আরবি) সমমান প্রদান বিল।

এছাড়া কমিটিতে পরীক্ষাধীন বিলের তালিকায় রয়েছে- ডিজিটাল নিরাপত্তা বিল, জাতীয় পরিকল্পনা উন্নয়ন একাডেমি বিল, বস্ত্র বিল, হিন্দু ধর্মীয় কল্যাণ ট্রাস্ট বিল, বাংলাদেশ কর্মচারী কল্যাণ বোর্ড (সংশোধন) বিল, সিলেটে মেডিক্যাল বিশ্ববিদ্যালয় বিল, যৌতুক নিরোধ বিল, জাতীয় ক্রীড়া পরিষদ বিল, সার (ব্যবস্থাপনা) (সংশোধন) বিল।

কমিটিতে পরীক্ষাধীন বেশ কয়েকটি বিল সংসদীয় কমিটি থেকে চূড়ান্ত করে পাসের জন্য প্রস্তাব করা হয়েছে। এরমধ্যে রয়েছে ডিজিটাল নিরাপত্তা বিল, যৌতুক নিরোধ বিল, হিন্দু ধর্মীয় কল্যাণ ট্রাস্ট বিল, সার (ব্যবস্থাপনা) (সংশোধন) বিল।