পশ্চিম পটিয়া ও কর্ণফুলী এলাকার পাঁচ শতাধিক খামারী হরতাল, লাগাতার অবরোধের কারণে দুধ ঢেলে প্রতিবাদ জানিয়েছে।
মঙ্গলবার সকাল সাড়ে ১১টায় ‘পটিয়া দুগ্ধ শীতলীকরণ কেন্দ্র’ এলাকায় উৎপাদিত দুধ ঢেলে তারা এই প্রতিবাদ জানান।
দুধ ঢেলে প্রতিবাদকালে উপস্থিত ছিলেন, পশ্চিম পটিয়া-কর্ণফুলী ডেইরী এসোসিয়েশন ও সমবায় সমিতির সাধারণ সম্পাদক নাজিম উদ্দিন হায়দার, সমবায় সমিতির সাবেক সভাপতি হারুন নেভী, নুরুল আবছার চৌধুরী, দুগ্ধ সমবায় সমিতির সভাপতি মুছা আদর্শ, মো. ইউছুপ, মো. বেলাল, মো. রিদোয়ান, মো.নুরু সওদাগর, মো. ফোরকান, মহিউদ্দিন, ছালাউদ্দিন, মো. রাসেল, হোসেন সওদাগর, আবদুল মান্নান, জাহেদ সওদাগর, মো. জাহাঙ্গীর আলম, মো. দিদার।
পশ্চিম পটিয়া-কর্ণফুলী ডেইরী এসোসিয়েশন ও সমবায় সমিতির সাধারণ সম্পাদক নাজিম উদ্দিন হায়দার বলেন, ‘মিল্কভিটা জাতীয় অর্থনীতিতে বিশেষ অবদান রাখছে। কিন্তু মিল্কভিটার দুগ্ধ পণ্যবাহী যানবাহ হরতালের আওতামূক্ত না থাকায় সাম্প্রতিকালে দুগ্ধ সংগ্রহ ও সরবরাহ কার্যক্রম মারাত্মকভাবে ব্যাহত হচ্ছে।’
বিরোধী দলের টানা অবরোধ হরতালে খামারীদের দেড় কোটি টাকা ক্ষতি হয়েছে। খামারীরা দুধ বিক্রি করতে না পারায় প্রতিদিন লক্ষ লক্ষ টাকার ক্ষতির সম্মুখীন হচ্ছে। টানা অবরোধ হরতালে দুধ বিক্রী করতে না পেরে খামারীরা শেষপর্যন্ত পুকুরে ফেলে অভিনব প্রতিবাদ জানিয়েছে বলেও জানান তিনি।
উল্লেখ্য পটিয়ার প্রায় ৫০ হাজার মানুষ দুগ্ধ শিল্পের উপর জীবন জীবিকা নির্বাহ করে আসছে। প্রতিদিন ৫০ থেকে ৬০ হাজার লিটার দুধ উৎপাদন হয় পশ্চিম পটিয়া ও কর্ণফুলী এলাকার ডেইরী ফার্মগুলো।