দুর্গোৎসবে সরকারের সহযোগিতার আহ্বান

0
66

সাংবাদিক সম্মেলনে বাংলাদেশ পূজা উদ্যাপন পরিষদ চট্টগ্রাম মহানগর

আসন্ন শারদোৎসব উপলক্ষে বাংলাদেশ পূজা উদ্যাপন পরিষদ, চট্টগ্রাম মহানগরের পক্ষ থেকে অদ্য ৫ অক্টোবর’১৬ চট্টগ্রাম প্রেস ক্লাবে সাংবাদিক সম্মেলনের আয়োজন করা হয়। লিখিত বক্তব্য পাঠ করেন পরিষদের সাধারণ সম্পাদক সুজিত দাশ। উপস্থিত ছিলেন পরিষদের সভাপতি অরবিন্দ পাল অরুন, সাবেক বিভাগীয় সাংগঠনিক সম্পাদক এডভোকেট চন্দন তালুকদার, সাধন ধর, বিদ্যালাল শীল, লায়ন আশীষ ভট্টাচার্য, অধ্যাপক অর্পন কান্তি ব্যানার্জী, রানা বিশ্বাস, সুমন দেব নাথ, রতœাকর দাশ (টুনু), বাবুল ঘোষ (বাবুন), স্বরূপ চৌধুরী শাওন, দিলীপ ঘোষ, নিখিল ঘোষ, শ্রী প্রকাশ দাশ (অসিত), সজল দত্ত, রতন রায়, সুকান্ত মহাজন (টুটুল), সাংবাদিক প্রদীপ শীল, বাপ্পি নন্দী, শ্যামল মজুমদার, নারায়ন সিংহ, রানা সেন প্রমুখ।
লিখিত বক্তব্যে বলেন, ১৯৭১ সালের রক্তাক্ত স্বাধীনতা ও মহান মুক্তিযুদ্ধের আদর্শকে সমুন্নত রাখা, সনাতন ধর্মীয় অনুষ্ঠানাদি ও প্রতিষ্ঠান সমূহ সংরক্ষণ এবং সনাতন জনগোষ্ঠীর বিরুদ্ধে বৈষম্যমূলক শাসন ব্যবস্থার প্রতিবাদের লক্ষ্যে সময়ের প্রয়োজনে বাংলাদেশ পূজা উদ্যাপন পরিষদ, চট্টগ্রাম মহানগর গঠিত হয় ১৯৮৫ সালে। একাত্তরের মুক্তিযুদ্ধের আদর্শ, চেতনা ও ধর্ম নিরপেক্ষ মুল্যবোধের ঐতিহ্যগত বন্ধনে সনাতনী সম্প্রদায় আবদ্ধ। মৌলবাদী ও ধর্মান্ধ সাম্প্রদায়িক গোষ্ঠী সরকারের সুনাম ক্ষুন্ন করার জন্য যে কোন সময় চেষ্টা চালাতে পারে। তবে এই ব্যাপারে প্রশাসনকে সর্বোচ্চ সজাগ দৃষ্টি রাখার জন্য অনুরোধ জানানো হয়।
এবার চট্টগ্রাম মহানগরী ১৬ থানায় আগামী ৭ অক্টোবর হতে ১১ অক্টোবর পর্যন্ত পাঁচ দিন ব্যাপী ব্যক্তিগত ও ঘট পূজাসহ ২৮৪টি পূজা মন্ডপে দুর্গা পূজা অনুষ্ঠিত হবে। পূজা যাতে নির্বিঘেœ সুষ্ঠু ও শান্তি শৃঙ্খলার মাধ্যমে শেষ হয় তার সকল প্রস্তুতি মূলক ব্যবস্থা ইতিমধ্যে শেষ করেছে পরিষদ নেতৃবৃন্দ। সরকারের বিভিন্ন মন্ত্রী, মাননীয় সিটি মেয়র, পুলিশ প্রশাসন, জেলা প্রশাসক ও থানা এবং আঞ্চলিক পূজা কমিটির সাথে মতবিনিময় ও সমন্বয় সভা শেষ করেছে। এছাড়াও আঞ্চলিক পূজা মন্ডপ সমূহকে কিছু দিক নির্দেশনা প্রদান করে পোষ্টার, লিপলেট ও ব্যানার সরবরাহ করা হয়েছে।
পরিষদের নেতৃবৃন্দরা জানান, পূজা নিয়ে তারা আতংকিত নয় তবে শংকিত। কারণ ইতিমধ্যে বিভিন্ন স্থানে জবর দখল, মন্দিরে হামলা, প্রতিমা ভাংচুরের মত ন্যাক্কারজনক ঘটনা ঘটছে। বর্তমান সরকার মৌলবাদী গোষ্ঠীর উত্থান আপাতত সামাল দিতে পারলেও তাদের গোপন কার্যক্রম এখনো চলছে। প্রতিনিয়ত পত্রিকার খবরে ধর্মীয় সংখ্যালঘুদের উপর নানাভাবে নির্যাতনের খবর প্রকাশিত হচ্ছে যা আমাদেরকে আরো শংকিত করে তুলছে। তবে পরিষদ আশা করে সরকারের সহযোগিতা ও বলিষ্ঠ ভূমিকায় এবারের শারদোৎসব সুষ্ঠ ও শান্তি শৃঙ্খলার মাধ্যমে সম্পন্ন হবে। প্রতিটি মন্ডপে প্রশাসনের পাশাপাশি নিজস্ব সিকিউরিটিসহ সিসি ক্যামেরার ব্যবস্থা করা হবে। এছাড়াও লিখিত বক্তব্যে প্রবর্তক সংঘ রক্ষার্থে অন্তর্বতীকালীন কমিটি গঠন, হিন্দু ফাউন্ডেশন গঠন, শারদোৎসবে ৪ দিন সরকারি ছুটি, রাজনীতি ও নির্বাচনে ধর্ম এবং সাম্প্রদায়িকতার ব্যবহার নিষিদ্ধ, সীতাকুন্ডের শ্রী শ্রী চন্দ্রনাথ ধামকে জাতীয় তীর্থস্থান ঘোষণা সহ ১৮ দফা দাবি উপস্থাপন করা হয়।