দেশকে এগিয়ে নিতে হলে বই পড়ার বিকল্প নেই: নওফেল

0
252

গণপ্রজাতন্ত্রী বাংলাদেশ সরকারের শিক্ষা উপমন্ত্রী ব্যারিস্টার মহিবুল হাসান চৌধুরী নওফেল বলেছেন আগামীর জ্ঞাণনির্ভর অর্থনীতিতে সম্পৃক্ত হতে হলে রাজনীতির জ্ঞানভা-ারকে সমৃদ্ধ করতে হবে। এজন্য আমাদের মনোজগতের উন্নয়ন প্রয়োজন আর এই কাজ করতে পারে একমাত্র বই।

তিনি আজ বৃহষ্পতিবার বিকেলে নগরীর আউটার স্টেডিয়ামস্থ জিমনেসিয়াম প্রাঙ্গণে চট্টগ্রাম সিটি কর্পোরেশন আয়োজিত অমর একুশে বই মেলার পুরষ্কার বিতরণী ও সমাপনী অনুষ্ঠানে প্রধান অতিথির বক্তব্যে একথা বলেন। অনুষ্ঠানে সভাপতিত্ব করেন চট্টগ্রাম সিটি কর্পোরেশনের মেয়র আলহাজ্ব আ জ ম নাছির উদ্দীন।

এতে বক্তব্য রাখেন অমর একুশে বইমেলা কমিটির আহবায়ক কাউন্সিলর নাজমুল হক ডিউক, কর্পোরেশনের প্রধান শিক্ষা কর্মকর্তা সুমন বড়–য়া, শিক্ষাবিদ হাসিনা জাকারিয়া বেলা ইসলাম, মেলা কমিটির যুগ্ম আহবায়ক মহিউদ্দিন শাহ আলম নিপু। এসময় মঞ্চে কাউন্সিলর সাইয়েদ গোলাম হায়দার মিন্টু, জাহাঙ্গীর আলম, তারেক সোলেমান সেলিম, এরশাদ উল্লাহ, মনোয়ারা বেগম মনি, শাহানুর বেগম উপস্থিত ছিলেন । প্রধান অতিথির বক্তব্যে ব্যারিস্টার মহিবুল হাসান চৌধুরী আরো বলেন বাংলাদেশ ইদানিংকালে কম্পিউটার স্মার্টফোনসহ বিভিন্ন ইলেকট্রনিক ডিভাইসের ব্যবহার বেড়েছে। এগুলো হলো ভোগ্যপন্য বা ভোবাদী প্রযুক্তি। বিশ্বের উন্নত দেশের সাথে তাল মিলানোর কথা বলে আমাদের মত উন্নয়নশীল দেশে এর অপব্যবহার হচ্ছে বেশি। যার কুফলও অনেক । তিনি বলেন ভার্চুয়্যাল জ্ঞাণ সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যম বা ফেইসবুক, যা-ই বলেন তা দিয়ে বাস্তবতাকে মোকাবেলা করা যাবে না। বাস্তবতাকে মোকাবেলা করতে হলে মানুষের কাছে যেতে হবে। এজন্য বই সংগ্রহ ও পড়ার কোন বিকল্প নাই। উপমন্ত্রী বলেন মাননীয় প্রধানমন্ত্রী এখনও শতব্যস্ততার মাঝেও সময় বের করে নিয়ে বই পড়েন। তিনি বঙ্গবন্ধুকে স্মৃতিকথা সহ যেসকল বই প্রকাশিত হতে যাচ্ছে তার অনেক খুটিনাটি বিষয় নিজেই এডিট করে দেন। তিনি বলেন আমাদের দেশ সমস্যা সংকুল দেশ। আর এথেকে উত্তোরনের জন্য রাজনৈতিক নেতৃত্বে নীতি নির্ধারনী চিন্তাভাবনা প্রয়োজন। এজন্য রাজনৈতিক নেতৃত্বের বই পড়ার অভ্যাস থাকা জরুরী। কেননা তারাই আগামীর ইতিহাস রচনা করবেন। তাই পদ-পদবীর দিকে ছুটে লাভ নেই। কারণ আগামীর বিশ্ব হবে জ্ঞাণ নির্ভর ব্যবসা বাণিজ্য। মন্ত্রী চসিকের এই সফল আয়োজনের প্রশংসা করে আগামীতেও যাতে এই বই মেলার ধারাবাহিকতা রক্ষা করা যায় সেব্যাপারে মেয়রকে বিশেষভাবে খেয়াল রাখার অনুরোধ করেন।
সভাপতির বক্তব্যে সিটি মেয়র আগামীতে চট্টগ্রাম সিটি কর্পোরেশন এর এই বই মেলাকে আরো বৃহত্তর পরিসরে আয়োজনের আখাক্সক্ষা ব্যক্ত করেন। এজন্য তিনি চট্টগ্রামের লেখক প্রকাশকদের নতুন নতুন লেখক সৃস্টি, ভাল ও মানসম্পন্ন বই প্রকাশের জন্য বিশেষ ভাবে উদ্যোগ নিতে বলেন। পরে মন্ত্রী ব্যারিস্টার নওফেল ও মেয়র আ জ ম নাছির উদ্দীন শ্রেষ্ঠ প্রকাশক ও বিভিন্ন প্রতিযোগিতায় বিজয়ী শিশু কিশোরদের মাঝে পুরষ্কার বিতরণ করেন। এবারের বই মেলায় শিশু সাহিত্যে শৈলী, কবিতায় খড়ি মাটি,কথা সাহিত্যে বাতিঘর,প্রবন্ধে (যৌথভাবে) বলাকা ও আবির প্রকাশন শ্রেষ্ঠ প্রকাশনার পুরষ্কার পেয়েছেন।