দেশী দশ এবারও ক্রেতাদের ভিড় বেশি

0
636

চট্টগ্রামে দেশী দশ2নগরীর প্রবর্তক মোড়ের আফমি প্লাজার চতুর্থ তলায় দেশী দশ’র শোরুমে ঈদের জন্য কাপড় কিনতে যান ক্রেতা। অন্যান্য মার্কেটের তুলনায় খানিকটা নতুন হলেও দিন দিন আফমি প্লাজায় ক্রেতাদের আনাগোনা বাড়ছে। তবে এখানে ক্রেতাদের আগমনের অন্যতম প্রধান কারণ দেশের নামকরা দশটি বুটিকস হাউজ নিয়ে গঠিত ‘দেশী দশ’। তাই পুরো মার্কেট জুড়ে যত না মানুষের ভিড়, তার সমপরিমাণ ভিড় থাকে শুধু চতুর্থ তলায়।
অঞ্জন’স, প্রবর্তনা, বিবিয়ানা, বাংলার মেলা, নগরদোলা, রঙ, সাদাকালো, কে ক্রাফটস, নিপুন ও দেশাল- এই দশটি দেশীয় বুটিকস মিলে যাত্রা শুরু দেশী দশের।
প্রত্যেকটি বুটিকসের আছে নিজস্ব ডিজাইনের কাপড়। এক জায়গায় শাড়ি ভালো তো, অন্য জায়গায় পাঞ্জাবি। কোথাও রঙের ছড়াছড়ি তো কোথাও রঙবিহীন। ঈদ উপলক্ষে প্রত্যেকটি বুটিকস সাজানো হয়েছে বর্ণিল সাজে।
নতুন কিছু করা না হলেও এবারও ক্রেতাদের ভিড় বেশি জানিয়ে দেশী দশ’র ম্যানেজার বলেন, ‘ঈদ উপলক্ষে প্রতিটি ফ্যাশন হাউজই তাদের নতুন ডিজাইনের কাপড় নিয়ে এসেছে। দাম সাধ্যের মধ্যে থাকায় বরাবরই এখানে সব শ্রেণীর মানুষের ভিড় দেখা যায়। এবারও তার ব্যতিক্রম নয়।’
দেশী দশের অঞ্জন’সে এবার নতুন ডিজাইনে কটন, অ্যান্ডি কটন, সিল্ক, মসলিন ও জামদানি শাড়ি এসেছে। যেগুলোর দাম পনেরশ’ থেকে চল্লিশ হাজার টাকা পর্যন্ত। পাঞ্জাবি সাড়ে নয়শ’ থেকে চার হাজার, ডিজাইন ও কাপড় ভেদে সালোয়ার কামিজের দাম পনেরশ’ থেকে আট হাজার টাকা পর্যন্ত। এছাড়া ও আছে শার্ট, ফতুয়া এবং বাচ্চাদের পোশাক।
রঙে প্রতিবারের মত এবারও উজ্জ্বল রঙকে প্রাধান্য দিয়ে নতুন ডিজাইনের কাপড় আনা হয়েছে। টি-শার্ট, শাড়ি, সালোয়ার-কামিজ, টপস, ফতুয়া ছাড়াও এখানে পাওয়া যাচ্ছে সেলাইবিহীন সালোয়ার-কামিজের কাপড়ও। বিভিন্ন ডিজাইনের এসব কাপড়ের দাম তিনশ’ থেকে পাঁচ হাজার টাকা পর্যন্ত। এখানে ঐতিহ্যবাহী অনেক গয়না যেমন: হাসুলি, খড়ম, বাজুর পাশাপাশি বর্ণিল পুতি ও কাপড়ের মালা এবং কানের দুল পাওয়া যাচ্ছে দুইশ থেকে সাতশ’ টাকায় । রঙের কর্মকর্তা জানান, ঈদের প্রায় সব কালেকশনই চলে এসেছে। কিছু দিনের মধ্যে আরও আসবে।
শুধু অঞ্জনস বা রঙে নয়, নিপুন, কে ক্রাফটস, বাংলার মেলা, দেশাল, সাদা-কালো, বিবিয়ানা, প্রবর্তনা ও নগরদোলাতেও নতুন ডিজাইনের সালোয়ার কামিজ, শাড়ি, পাঞ্জাবি, ছোটদের পোশাক পাওয়া যাচ্ছে। কাপড় ও ডিজাইন ভেদে দাম একেক রকম। পোশাকের পাশাপাশি কোনোটিতে আবার জুতা, গয়না, ব্যাগসহ বিভিন্ন উপহার সামগ্রীও কিনতে পাওয়া যাবে।
চট্টগ্রামে দেশী দশ1আফমি প্লাজায় দেশী দশে ভিড় থাকলেও অন্যান্য তলায় তেমন একটা ভিড় নেই। ৩য় তলায় রয়েছে জামদানি নিয়ে কাজ করা জারিফ ফ্যাশনের শো-রুম। চিরায়ত জামদানির বাইরে গিয়ে তাতে এমব্রয়ডারি, সুতার কাজ, অ্যাপ্লিক, প্যাচওর্য়াক, পাড় বসানোসহ নানা ধরনের কাজ নিয়ে জারিফেরশাড়ি ও সালোয়ার কামিজ ইতোমধ্যে জামদানিপ্রেমীদের কাছে জনপ্রিয় হয়ে উঠছে। এখানে কাজ করা জামদানির দাম পাঁচ থেকে ১৫ হাজার টাকায় ও সালোয়ার কামিজ তিন থেকে আট হাজার টাকার মধ্যে পাওয়া যাচ্ছে। ঢাকায় জারিফের প্রধান আউটলেট থেকে আরও নতুন ডিজাইনের কাপড় শীঘ্রই আসছে বলে জানালেন জারিফের কর্মকর্তাবৃন্দ।
জারিফ ছাড়াও অনিন্দ্য, ড্রিম ফ্যাশন, সালসাবিল, আপন ক্রাফট, এক নজর মুন ওয়াকার, শৈল্পিক, ক্যাটস আই, প্রাইড, নৈসহ বিভিন্ন পোশাকের দোকানের পাশাপাশি গয়না-জুতার দোকানগুলো এখনও পুরোপুরি জমে ওঠেনি।
দেশী দশক্রেতা আকর্ষণের জন্য প্রতিটি শপিং মলের মতো আফমিতেও আয়োজন করা হয়েছে ঈদ বিক্রয় উৎসব। মাত্র ৫০০ টাকার পণ্য কিনলেই ক্রেতারা পাবেন একটি লাকি কুপন। যেখানে আছে আকর্ষণীয় পুরষ্কার।
বিক্রেতা সালম বলেন, ‘এখানে ক্রেতা ভালোই আসে। তবে তাদের উদ্দেশ্য দেশী দশ থেকে কাপড় কেনা। পরে হয়তো সময় থাকলে বা পছন্দ না হলে আমাদের দোকানে আসে।’