মির্জা ইমতিয়াজ শাওন::
“আকাশে বহিছে প্রেম, নয়নে লাগিল নেশা
কারা যে ডাকিল পিছে! বসন্ত এসে গেছে
মধুরও অমৃত বানী, বেলা গেল সহজেই
মরমে উঠিল বাজি; বসন্ত এসে গেছে
থাক তব ভুবনের ধুলিমাখা চরণে
মথা নত করে রব, বসন্ত এসে গেছে
বসন্ত এসে গেছে।।”
আজ ১৪ই ফেব্রুয়ারি, বিশ্ব ভালবাসা দিবস। ভেলেন্টাইনস ডে। ভালোবাসা দিবসের শুভেচ্ছা। পাশ্চাত্যে এই দিবস পালিত হয়ে আসছে শত শত বছর ধরে। তথ্যভান্ডার থেকে জানা যায়, সাংবাদিক শফিক রেহমানের উদ্যোগে প্রায় ২২ বছর আগে (১৯৯৩ সাল) পাশ্চাত্যের এই ভেলেন্টাইনস ডে’র সূচনা বাংলাদেশেও। আর এখন তো মহাধুমধামে পালিত হয় বিশ্ব ভালবাসা দিবস। শফিক রেহমানের ভাষায়, “দেশের চলমান পরিস্থিতিতে ভালবাসার কথা কিংবা ভেলেন্টাইনস ডে নিয়ে কিছু বলার ইচ্ছে মরে গেছে। আমরা ক্রমেই ভালবাসাহীন হয়ে পড়ছি।”
এবারের ভালোবাসা দিবস বাংলাদেশে পালিত হচ্ছে এমন একটা সময়ে যখন বাংলাদেশে চলছে বহু পক্ষের সেচ্ছাচারিতায় সৃষ্ট নানা অরাজকতা। রষ্ট্র রাজনৈতিক দলসমূহ এমনকি নাগরিক সমাজ এমন কি আমরাও এ থেকে দায় মুক্ত নই। এখন কি করা দরকার সেটা সরকার ও রাজনৈতিক দল সমূহ বের করবেন এটা সাদের দায়িত্ব ও কর্তব্য। আমরা শুধু শান্তিতে থাকতে চাই। পালন করতে চাই নানা দিবস ও উৎসব।
তবে আমরা এবারের ভালোবাসা দিবসটাকে দেশের জন্য ভালোবাসা দিয়ে সাজাতে পারি। পারি ক্ষুদ্র ব্যক্তি/গোষ্ঠি/ দল এর স্বার্থ বাদ দিয়ে দেশকে ভালোবাসতে। দেশ মায়ের জন্য সবাই এক হতে। আমাদের যার যা কিছু ভালো তা সামনে আনতে, আর যার যা কিছু খারাপ তা বর্জন করতে। আমাদের ভালোবাসা দিয়ে দেশটাকে সামনে এগিয়ে নিয়ে যেতে, হিংসা হানাহানির বদলে একে অন্যকে ভালোবেসে সঠিক পথে নিয়ে আসতে…
আসুন ভালোবাসি আমার-আমাদের বাংলাদেশকে। দেশজ কৃষ্টি, চেতনা, নিজস্ব ভাষা, সাহিত্য, সংস্কৃতিকে নিয়ে আমরা আমাদের ভালোবাসার বাংলাদেশকে সবার সামনে তুলে ধরি….
আসুন বুকে হাত দিয়ে জোড় গলায় বলি ভালোবাসি মা-মাটি-প্রকৃতিকে, ভালোবাসি বাংলার মানুষকে সর্বোপরি বাংলাদেশকে।
দশের জন্য ভালোবাসা, দেশের জন্য ভালোবাসা।