চন্দনাইশ উপজেলার দোহাজারী ৩১ শয্যা বিশিষ্ট হাসপাতালকে ১০০ শয্যায় উন্নীত করার দাবিতে ৭৫টি সামাজিক সংগঠন মানববন্ধন করেছে।
শুক্রবার (১৩ সেপ্টেম্বর) দোহাজারী ব্লাড ব্যাংকের সহযোগিতায় আয়োজিত মানববন্ধনে আধুনিক যন্ত্রপাতিসহ পর্যাপ্ত চিকিৎসা সামগ্রী প্রদান, ভবন নির্মাণ, অ্যাম্বুলেন্স চালকের পদ সৃষ্টি করে অচল অ্যাম্বুলেন্স সচল এবং ২৪ ঘণ্টা জরুরি স্বাস্থ্যসেবা নিশ্চিতের দাবি জানানো হয়।
চন্দনাইশ উপজেলা মুক্তিযোদ্ধা কমান্ডার জাফর আলী হিরুর সভাপতিত্বে মানববন্ধন চলাকালে বক্তব্য দেন ইঞ্জিনিয়ার ইসলাম, মো. লোকমান হাকিম, ফয়েজ আহমদ টিপু, মো. সোলায়মান, শাহ্ আলম, জামাল উদ্দীন, মো. জাহাঙ্গীর, বিষ্ণু যশা চক্রবর্তী, রূপক কান্তি দাশ, মুন্সি আব্দুর রব সৌরভ, মুহাম্মদ আব্দুল আহাদ, ওসমান আলী ভুট্টো, ওবাইদুল আকবর টুটুল, জসিম উদ্দিন হিরু, আবু তৈয়্যব, অ্যাডভোকেট রিদুয়ানুল হক, সায়ের আহমদ সায়েদ, হারুনুর রশিদ হোসাইনি, তসলিম রিজভী, এসএম ওয়াহিদ রনি, নুর হোসেন, জয়নাল আবেদীন জয়, নাজিম উদ্দিন, শহিদুল ইসলাম প্রমুখ।
বক্তারা বলেন, দোহাজারী ৩১ শয্যা বিশিষ্ট হাসপাতালটি দক্ষিণ চট্টগ্রামের বাণিজ্যিক উপ-শহরখ্যাত দোহাজারী পৌরসভার জনসাধারণের একমাত্র ভরসাস্থল। দোহাজারী পৌরবাসীসহ এ হাসপাতালে সেবা নিতে আসেন চন্দনাইশ উপজেলার ৩টি ও সাতকানিয়া উপজেলার ৫টি ইউনিয়নের ৫ লক্ষাধিক মানুষ। ৩১ শয্যা হলেও প্রায় প্রতিদিন ৭০-৮০ জন রোগী ভর্তি থাকেন। শয্যা না পেয়ে মেঝেতে থেকে চিকিৎসা নিতে বাধ্য হন রোগীরা। চট্টগ্রাম-কক্সবাজার মহাসড়কসংলগ্ন হওয়ায় সড়ক দুর্ঘটনায় আহত রোগীরা দ্রুত চিকিৎসা পেতে এই হাসপাতালে ভর্তি হন।
বর্তমানে প্রয়োজনীয় চিকিৎসা সরঞ্জাম ও পর্যাপ্ত জনবল না থাকায় চিকিৎসাসেবা ব্যাহত হচ্ছে। হাসপাতালের জন্য ২০১৪ সালে বরাদ্দকৃত অ্যাম্বুলেন্সটি দীর্ঘ ৩ বছর ধরে তালাবদ্ধ গ্যারেজে থেকে যন্ত্রাংশ নষ্ট হওয়ার উপক্রম হয়েছে চালক না থাকার কারণে। তাছাড়া হাসপাতাল ভবনটি জরাজীর্ণ হয়ে পড়ায় ভর্তি রোগীরাও ঝুঁকির মুখে রয়েছেন।
হাসপাতালের সব সমস্যা নিরসন করে চিকিৎসাসেবার মানোন্নয়নের দাবি জানান বক্তারা।