ধরিত্রীর সর্বজীবের প্রতি অহিংসা বা মৈত্রী প্রদর্শন করাই হচ্ছে বুদ্ধের মূল বাণী

0
171

২০ সেপ্টেম্বর সকাল ১০ টায় মোমিন রোড মহানগর সার্বজনীন বৌদ্ধ বিহারের উদ্যৌাগে বর্ষাসাটিকা সংঘদান ও একক সদ্ধর্মদেশনা বিহারাধ্যক্ষ ভদন্ত বজিরানন্দ মহাথেরর সভাপতিত্বে বিহার পরিচালনা কমিটির সভাপতি অলক বড়–য়া বিটু’র সঞ্চলনায় নগরীর চেরাগী পাহাড় মোড়স্থ সুপ্রভাত হল প্রাঙ্গণে অনুষ্ঠিত হয়।
ধর্মসভায় পঞ্চশীল প্রার্থনা করেন মৃদুল কান্তি বড়–য়া, সংঘদান, অষ্ট পরিস্কার ও বর্ষা চীবর উৎসর্গের মাধ্যমে মায়ানমার সামিয়াতা মেডিটেশন সেন্টার হতে প্রশিক্ষণ প্রাপ্ত বাঙাল হালিয়া নন্দবংশ মেডিটেশন সেন্টারের প্রতিষ্ঠাতা পরিচালক বিদর্শনাচার্য ভদন্ত নন্দবংশ মহাথের’র একক সদ্ধর্মদেশনা অনুষ্ঠিত হয়। এসময় উপস্থিত ছিলেন ভদন্ত রতনানন্দ থের, ভদন্ত প্রজ্ঞানন্দ থের, বিহার পরিচালনা কমিটির সাধারণ সম্পাদক মিথুন বড়–য়া, সংগঠক স্বদেশ কুসুম চৌধুরী, প্রকৌশলী বিধান চন্দ্র বড়–য়া, প্রাক্তন অধ্যক্ষ দীপক কুমার তালুকদার, অধ্যাপিকা সুপ্রভা বড়ুয়া, তাপস কুমার বড়–য়া, সুর্য্যসেন বড়–য়া শঙ্কু, অনিমেষ কুমার বড়–য়া, রেবা বড়–য়া, রেখা বড়–য়া, কুমকুম বড়–য়া, জুয়েল বড়–য়া, শুভ্র প্রমুখ।
ধর্মদেশনায় ভদন্ত নন্দবংশ মহাথের বলেন, মা যেমন তার একমাত্র পুত্রকে নিজ জীবনের বিনিময়ে রক্ষা করেন, সেরূপ জগতের সকল প্রাণীর প্রতি অপ্রমেয় মৈত্রী পোষণ করুন। একমাত্র ভগবান বুদ্ধই আবিস্কার করেন মানুষের দুঃখ-মুক্তির অভ্রান্ত পথ জন্ম-জরা-ব্যাধি-মৃত্যুহীন পরম সুখ-শান্তিময় নির্বাণ। এই নির্বাণ বা বিমোক্ষ লাভের উদ্দেশ্যে মহাজ্ঞানী বুদ্ধ প্রবর্তন করলেন দু’অন্ত বর্জিত মধ্যম পন্থা সেখানে থাকবে না ভোগ লালসার তৃপ্তি সাধন, থাকবেনা কঠোর তপশ্চর্যা বা কৃচ্ছ সাধন। কেবল মাত্র আর্য অষ্টাঙ্গিক মার্গের অনুশীলনের মাধ্যমে বিদর্শন ধ্যান-সাধনাই দিতে পারে সেই পরম শান্তিময় যোগক্ষেম নির্বাণ। এ সবই হল বুদ্ধগণের অনুশাসন।