নখের কোণা ওঠলে যা করবেন

0
219

বেকায়দাভাবে যখন নখ বৃদ্ধি পায় এবং নখ নিচের মাংসের ভেতর ঢুকে যায় তখন নখের কোণায় প্রচণ্ড ব্যথা অনুভূত হয়। এই সমস্যাকে ‘নখের কোনা ওঠা’ বলা হয়। হাতের নখের থেকে পায়ের নখে এই সমস্যা বেশি দেখা যায়। কারণ পায়ের নখে তুলনামূলকভাবে ধুলো, বালি, ময়লা, ঘাম, পানি বেশি লাগে। ফলে নখের কোনে ইনফেকশন দেখা দেয়। কখনো কখনো ব্যথার সঙ্গে হলুদ পুঁজও দেখা যায়।

কেটে ফেলারও কোনো উপায় নেই, কেননা তাতে মাংস কাটা পড়বে। নখের নিচের মাংস খুবই স্পর্শকাতর, তাই এই সামান্য সমস্যাতেই প্রচণ্ড ব্যথা ও ঘা হয়। এ অবস্থায় কী করবেন?

এই সমস্যায় পড়লে করতে পারেন এই কাজগুলো।

হাত বা পা উষ্ণ লবণ পানিতে ভিজিয়ে রাখুন মিনিট দশেক। যতটা সহ্য করতে পারেন, ততটা গরম পানি নেবেন।

কাজ শুরুর আগে মেনিকিউর সেট গরম পানি দিয়ে ভালো করে ধুয়ে জীবাণুমুক্ত করে নিন।

এবার পা/হাত ভালো করে মুছে নিন। মুছে নেয়ার পর নখ কাটুন। বেড়ে ওঠা বাড়তি নখ ও তার আশেপাশে যতটা সম্ভব কেটে ফেলুন।

এবার রয়ে যাওয়া বাড়তি নখ চিমটার সাহায্যে সামান্য উঁচু করে ধরুন এবং আরেকটি চিমটার সাহায্যে সামান্য একটু তুলো নখের নিচে গুঁজে দিন। খুব সাবধানে কাজটি করুন। এই কাজটি আপনার নখে ব্যথা হতে দেবে না।

যতদিন নখে বড় না হচ্ছে আর আপনি কেটে যন্ত্রণাদায়ক বাড়তি কোণা বাদ দিতে না পারছেন, ততদিন পর্যন্ত এভাবেই তুলো দিয়ে রাখুন। দিনে ২/১ বার বা জীবাণুনাশক দিয়ে ধুয়ে তুলো বদলে দেবেন।

যদি ইতিমধ্যেই ইনফেকশন হয়ে গিয়ে থাকে, তাহলে অবিলম্বে ডাক্তারের কাছে যান। এই পদ্ধতি অবলম্বন করবেন না।

পা/হাত সর্বদা পরিষ্কার রাখুন এবং এমন হলে মোজা পরিধান করবেন না।

এছাড়াও হাইড্রোজেন পার অক্সাইড, এন্টিব্যাকটেরিয়াল সাবান, জীবাণুনাশক দিয়ে নিয়মিত পরিষ্কার করতে হবে। তবে প্রতিকারের চেয়ে প্রতিরোধ উত্তম উপায়। তাই নখ সব সময় সোজাভাবে কাটতে হবে, পায়ের স্বাস্থ্যবিধি মেনে চলতে হবে, বাইরে থেকে আসার পর পা ও হাত ভালোভাবে পানি দিয়ে পরিষ্কার করে মুছে ফেলতে হবে, পরিষ্কার জুতা ও মুজা পড়তে হবে, আরামদায়ক ও পায়ের মাপ মতো জুতা পড়তে হবে, প্রতিদিন গোসলের সময় পায়ের নিচের শক্ত চামড়া পরিষ্কার করতে হবে। তবে দীর্ঘ দিন নখের কোনা ওঠা সমস্যায় ভুগে থাকলে চিকিৎসকের পরামর্শ নেয়া ভালো।