নতুন বছরে পর্যটক বরণে প্রস্তুত পর্যটন নগরী কক্সবাজার

0
125

মুহাম্মদ গিয়াস উদ্দিন, কক্সবাজার থেকেকক্সবাজার২
থার্টি ফাস্ট নাইট উদযাপন ও নতুন বছরে আগত দেশি-বিদেশি পর্যটক বরণে প্রস্তুত এখন কক্সবাজার। এ লক্ষ্যে স্থানীয় প্রশাসনের পক্ষ থেকে নেওয়া হয়েছে নিñিদ্র নিরাপত্তা ব্যবস্থা। হোটেল-মোটেল থেকে শুরু করে বিভিন্ন স্থানে আয়োজন করা হয়েছে বর্ষবরণের নানা অনুষ্ঠান-মালা। আজ ৩১ ডিসেম্বর কক্সবাজার সমুদ্র সৈকতে বসবে লাখো পর্যটকের মিলনমেলা। ব্যাপক আয়োজনের মধ্য দিয়ে ৩১ ডিসেম্বর সোমবার দেশি-বিদেশি লাখো পর্যটক ২০১৩ সালকে বিদায় ও ১ জানুয়ারী মঙ্গলবার ২০১৪ সালকে বরণ করবে নয়নাভিরাম কক্সবাজার সমুদ্র সৈকতে।
এ আয়োজনকে কেন্দ্র করে সমুদ্র সৈকতসহ শহরে ৫ স্তরের নিরাপত্তাব্যবস্থা নিয়েছে জেলা পুলিশ প্রশাসন। ৩১ ডিসেম্বর হবে ইংরেজি বর্ষ ২০১৩ সালের শেষ দিন। ২০১৩ সালকে বিদায় জানিয়ে নতুন বর্ষ ২০১৪ সালকে বরণ করতে ইতিপূর্বে বিপুল পর্যটক এখন কক্সবাজারে অবস্থান করছেন। ২৭ ডিসেম্বর থেকে সাপ্তাহিক ছুটিকে কেন্দ্র করে কক্সবাজারে বিপুল দেশি-বিদেশি পর্যটক পৌঁছেছে। এছাড়াও আরো কয়েক লাখ পর্যটক কক্সবাজারে পৌঁছবে বলে আশা করছেন সংশ্লিষ্টরা। এদিকে থার্টি ফাস্ট নাইট উদযাপন ও বর্ষবরণকে কেন্দ্র করে কক্সবাজারের হোটেল-মোটেল, রেস্ট-গেস্ট হাউসগুলো বুকিং হয়ে গেছে মাস খানেক আগে থেকেই।
কক্সবাজারের হোটেল মালিকরা জানান, রাজনৈতিক কর্মসূচী শিথিল থাকায় এক সপ্তাহ ধরে কক্সবাজারে পর্যটকদের আগমন বৃদ্ধি পেয়েছে। হোটেল-মোটেল জোনের ৩ শতাধিক আবাসিক হোটেলের সবক‘টি ইতিপূর্বে অগ্রিম বুকিং হয়ে গেছে।
এ ব্যাপারে কক্সবাজারের তারকা হোটেল মিডিয়া ইন্টারন্যাশনালের পরিচালক ইমতিয়াজ আলম চৌধুরী জানান, টানা রাজনৈতিক অস্থিরতা কাটিয়ে বর্তমানে অবস্থা কিছুটা শিথিল থাকায় গত বছরের চেয়ে এ বছর দেশি পর্যটকের পাশাপাশি বিদেশি পর্যটকের আগমন বৃদ্ধি পেতে পারে। এ বছর আগত পর্যটকের সংখ্যা লাধিক ছাড়িয়ে যাবে বলে জানান তিনি। কক্সবাজার সমুদ্র সৈকতে ব্যাপক অনুষ্ঠান মালার আয়োজন করা হয়েছে। এছাড়াও প্রায় শতাধিক আবাসিক তারকা মানের হোটেল-মোটেল বিভিন্ন অনুষ্ঠানের আয়োজন করা হয়েছে বলে সংশ্লিষ্ট সূত্রে জানা গেছে। কক্সবাজারে আগত পর্যটকদের সার্বিক নিরাপত্তা ও আইন-শৃঙ্খলা পরিস্থিতি নিয়ন্ত্রণে রাখতে জেলা পুলিশ কঠোর নিরাপত্তাব্যবস্থা গ্রহণ করেছে।
কক্সবাজারে পুলিশ সুপার মোহাম্মদ আজাদ মিয়া জানান, থার্টি ফাস্ট নাইট উপলে ৫ স্তরের নিরাপত্তাব্যবস্থা গ্রহণ করা হয়েছে। কক্সবাজারের নিয়মিত পুলিশের পাশাপাশি দেশের বিভিন্ন জেলা থেকে শতাধিক অতিরিক্ত পুলিশ সদস্যকে আনা হবে। পুলিশের পাশাপাশি র‌্যাবের টহল থাকবে।