নারীরা আজ আত্মমর্যাদার সাথে সকল পেশায় প্রতিষ্ঠা অর্জন করে চলেছে

0
88

চট্টগ্রাম সাহিত্য পাঠচক্রের উদ্যোগে বিশ্ব নারী দিবস উপলক্ষে এক আলোচনা সভা ও সংবর্ধনা অনুষ্ঠান গত ১৮ মার্চ বিকেল ৪টায় নগরীর সুপ্রভাত স্টুডিও হলে অনুষ্ঠিত হয়। এতে সভাপতিত্ব করেন সংগঠনের সভাপতি বাবুল কান্তি দাশ। এতে প্রধান অতিথি ছিলেন চট্টগ্রাম বিশ্ববিদ্যালয়ের সাবেক উপাচার্য প্রফেসর ড. ইফতেখার উদ্দিন চৌধুরী। এতে সংবর্ধিত অতিথি ছিলেন বাংলাদেশ মহিলা আওয়ামী লীগের কেন্দ্রীয় সদস্য সাবেক মহিলা কাউন্সিলর হাসিনা জাফর। সংগঠনের সাধারণ সম্পাদক আসিফ ইকবালের পরিচালনায় এতে বিশেষ অতিথি ছিলেন দক্ষিণ জেলা কৃষকলীগের সহ-সভাপতি সৈয়দ নুুরুল আবছার, চট্টগ্রাম উত্তর জেলা জাসদের সভাতি মুক্তিযোদ্ধা ভানুরঞ্জন চক্রবর্তী, চট্টগ্রাম উত্তর জেলা মহিলা আওয়ামী লীগের ধর্ম বিষয়ক সম্পাদিকা সেলিনা শফি, কবি আশীষ সেন, নাট্যজন সজল চৌধুরী, ফটিকছড়ি উপজেলা আওয়ামী লীগ নেতা লায়ন এমএ বাশার, অধ্যাপক শিব প্রসাদ, সমাজসেবী রেহানা চৌধুরী, শিক্ষক অজিত কুমার শীল, হাসান মুরাদ, বিজয় শংকর চৌধুরী, সংগীতশিল্পী লুপর্ণা মুৎসুদ্দী, ছগির আহমদ, আবৃত্তিশিল্পী সোমা মুৎসুদ্দী, মাসুমা কামাল আখি, কবি স্বপন কুমার বড়ুয়া, স ম জিয়াউর রহমান, কবি সজল দাশ, হানিফ চৌধুরী, অমর দত্ত, সুকুমার চৌধুরী, সাইফুল আরাফাত বাপ্পা, সুমন চৌধুরী, নিলয় দে প্রমুখ। সভায় প্রধান অতিথি তার বক্তব্যে বলেন নারী আজ সুশিক্ষায় শিক্ষিত হয়ে মাথা উঁচু করে নিজ নিজ পেশায় প্রতিষ্ঠা অর্জন করে চলেছে। বছরের ৩৬৫ দিনের মধ্যে আলাদা করে নারীদের জন্যই শুধু একটা দিন।ভাবতে অবাক লাগলেও এটাই ঠিক। বিশ্বজুড়ে বিভিন্ন দেশে এই দিনটিকে বিশেষ ভাবে পালন করা হয়। সেই তালিকায় রয়েছে বাংলাদেশও। বিশ্বব্যাপী বিভিন্ন অঞ্চলের নারীদের প্রতি শ্রদ্ধা, তাঁদের কাজের প্রশংসা এবং ভালোবাসা প্রকাশ করে আন্তর্জাতিক নারী দিবসকে নারীদের অর্থনৈতিক, রাজনৈতিক ও সামাজিক সাফল্য অর্জনের উৎসব হিসেবে পালন করা হয়। আনুষ্ঠানিক ভাবে জাতিসংঘ ১৯৭৫ সালের ৮ মার্চ দিবসটিকে প্রথম আন্তর্জাতিক নারীদিবস হিসেবে ঘোষনা করে। জাতিসংঘ এ বছর নারী দিবসের প্রতিপাদ্য নির্ধারন করেছে-“আমি প্রজন্মের সমতা, নারী অধিকারের প্রতি সচেতনতা”। আর বাংলাদেশ সরকারের পক্ষ থেকে দিবসটির প্রতিপাদ্য নির্ধারন করা হয়েছে ” প্রজন্ম হোক সমতার, সকল নারীর অধিকার “। প্রতিদিনই নারীর প্রতি নির্যাতন, হয়রানিসহ নানান ধরনের নেতিবাচক খবর আসে। যা মোটেও সুখকর নই। মানুষ হিসেবে আমাদের ব্যর্থতা সেখানেই। বিশ্বজুড়ে নারীর অগ্রগতি ও মর্যাদা অর্জনের লক্ষ্যে অনেক পথ পাড়ি দেওয়া এখনো বাকি। রাজনৈতিক ও অর্থনৈতিক ব্যবস্থা নির্ব্বিশেষে মানুষ হিসেবে নারীর মর্য্যাদা প্রতিষ্ঠার দাবী তাই সর্বজনীন। নারীর প্রতি সব ধরনের বৈষম্য ও অন্যায় অবিচারের অবসান ঘটিয়ে সম-অংশীদারত্বের বিশ্ব গড়ার প্রত্যয় নিয়ে নারীর এগিয়ে চলা আরও বেগবান হবে এটাই নারী দিবসের প্রত্যাশা। সকল শক্তির উৎস নারীকে নারী হিসেবে নই, মান-হুঁশ হিসেবে দেখি শ্রদ্ধা, সম্মান আর ভালোবাসায়। তখনই হবে এই বিশ্ব সুখের, আনন্দের আর শান্তির। সভা শেষে নারী উন্নয়ন ও নেতৃত্বে বিশেষ অবদান রাখায় রাজনীতিবিদ হাসিনা জাফরকে বঙ্গমাতা নারী সম্মাননা প্রদান করা হয়।