নারী শিক্ষায় অবদান রাখছে হুয়াওয়ে

0
178

আজ মঙ্গলবার, টিএন্ডটি আদর্শ উচ্চ বালিকা বিদ্যালয় প্রাঙ্গণে আয়োজিত এক অনুষ্ঠানে স্কুলের শিক্ষার্থীদের মাঝে শিক্ষা উপকরণ বিতরণ করেছে হুয়াওয়ে টেকনোলজিস (বাংলাদেশ) লিমিটেড। এছাড়াও, স্কুলের মেয়েরা যেন ডিজিটাল পদ্ধতিতে পড়ালেখা করতে পারে সেজন্য স্কুল কর্তৃপক্ষকে ট্যাব প্রদান করেছে হুয়াওয়ে।
অনুষ্ঠানে প্রধান অতিথি হিসেবে উপস্থিত ছিলেন গণপ্রজাতন্ত্রী বাংলাদেশ সরকারের মাননীয় শিক্ষা উপমন্ত্রী মহিবুল হাসান চৌধুরী, এমপি, গণপ্রজাতন্ত্রী বাংলাদেশে নিযুক্ত গণপ্রজাতন্ত্রী চীনের রাষ্ট্রদূত লি জিমিং এবং হুয়াওয়ে টেকনোলোজিস (বাংলাদেশ) লিমিটেড এর প্রধান নির্বাহী কর্মকর্তা ঝ্যাং ঝেংজুন। অনুষ্ঠানে আরো উপস্থিত ছিলেন টিএন্ডটি আদর্শ বালিকা উচ্চ বিদ্যালয়ের প্রধান শিক্ষক সুলতানা ফেরদৌসী খান এবং হুয়াওয়ের ঊর্ধ্বতন কর্মকর্তারা।
হুয়াওয়ে শুধুমাত্র আইসিটি ইন্ডাষ্ট্রির একটি শীর্ষস্থানীয় প্রতিষ্ঠানই নয়, বরং তারা সমাজের প্রতি একটি দায়িত্বশীল কোম্পানি। কোম্পানিটি নিজেদেরকে অনেকগুলো কার্যক্রমে নিয়োজিত করেছে এবং গুরুত্ব প্রদান করেছে চারটি বিষয়ের উপর। বিষয়গুলি হচ্ছে, ডিজিটাল বিভাজন দূরীকরণ, পরিবেশের সুরক্ষা নিশ্চিত করা, স্থিতিশীল ও নিরাপদ নেটওয়ার্ক অপারেশন্স ব্যবস্থাকে সমর্থন করা এবং স্থানীয় মানুষের জন্য কাজ করা এবং বাংলাদেশের স্কুলগামী মেয়েদের সহায়তা করার তাড়না থেকেই আজকের অনুষ্ঠানের আয়োজন করা হয়েছে।
বিগত দুই দশকে শিক্ষাখাতে বাংলাদেশের অর্জন অসামান্য। বাংলাদেশ শিক্ষাতথ্য ও পরিসংখ্যান ব্যুরো (ব্যানবেইস) এর তথ্য অনুসারে, প্রাথমিক শিক্ষায় শিক্ষার্থীদের অন্তর্ভুক্তি করণে বাংলাদেশের উন্নয়নের হার ১১২ দশমিক ১ শতাংশ। ২০১৬ সালের তথ্যমতে বৃদ্ধি পাচ্ছে ছেলে ও মেয়েদের ভর্তির অনুপাতের হারও। এর ফলে প্রাথমিক এবং মাধ্যমিক উভয় শিক্ষাক্ষেত্রেই বাংলাদেশ লিঙ্গ সমতা অর্জন করতে সক্ষম হয়েছে। পারস্পরিক সহায়তায় বিশ্বাসী প্রতিষ্ঠান হিসেবে হুয়াওয়ে লিঙ্গ বৈষম্য দূরীকরণের এই কার্যক্রমে সহযোগী হিসেবে বাংলাদেশের পাশে থাকতে চায় এবং এবং ওইসব মেয়েদের উৎসাহ প্রদান করতে চায়, যারা তাদের নিজেদের জীবন ও সমাজের উন্নয়নের লক্ষ্যে পড়াশুনা করছে।
অনুষ্ঠানে শিক্ষা উপমন্ত্রী মহিবুল হাসান চৌধুরী, এমপি বলেন, “শিক্ষা মানুষের অন্যতম মৌলিক চাহিদা। দেশের প্রতিটি নাগরিকের কাছে শিক্ষার আলো ছড়িয়ে দিতে কাজ করছে আমাদের সরকার। বিশেষ করে নারী শিক্ষায় আমরা সবচেয়ে বেশি গুরুত্বারোপ করছি। কারণ আমরা বিশ্বাস করি, নারীদেরকে প্রতিটি স্তরে নিয়োজিত করা প্রয়োজন। বিশ্বের নেতৃস্থানীয় আইসিটি সল্যুশন প্রদানকারী হওয়া সত্বেও হুয়াওয়ে বাংলাদেশের শিক্ষা খাতের সহায়তায় এগিয়ে আসছে। আজ তারা টি এন্ড টি আদর্শ বালিকা উচ্চ বিদ্যালয়ের শিক্ষার্থীদের জন্য শিক্ষা উপকরণ প্রদানে এগিয়ে এসেছে। নি:সন্দেহে এই উদ্যোগ শিক্ষার্থীদের পড়াশুনায় উৎসাহ যোগাবে। সত্যিকারভাবে, আমি হুয়াওয়ের এই প্রচেষ্টার প্রশংসা করছি।”
হুয়াওয়ে টেকনোলিজস (বাংলাদেশ) লিমিটেডের সিইও ঝ্যাং ঝেংজুন বলেন, “২০ বছর ধরে বাংলাদেশের সাথে বেড়ে উঠছে হুয়াওয়ে। এই সময়কালে আমাদের চোখে বাংলাদেশে দ্রুত উন্নতি পরীলক্ষিত হয়েছে। এখন বাংলাদেশের একটি ভিশন রয়েছে, যার লক্ষ্য ২০২১ সালের মধ্যে দেশকে ডিজিটালাইজড করা। পারস্পারিক সহায়তা বিশ্বাসী প্রতিষ্ঠান হিসেবে হুয়াওয়ে এদেশের ভিশন ২০২১ যাত্রার সঙ্গী হতে চায় এবং নিজের জীবন ও সমাজের উন্নয়নের লক্ষ্যে পড়াশুনা করছে, এমন সব শিক্ষার্থীদেরকে উৎসাহ প্রদান করতে চায়।”
লি জিমিং, গনপ্রজাতন্ত্রী বাংলাদেশে নিয়োজিত গণপ্রজাতন্ত্রী চীনের রাষ্ট্রদূত বলেন, “বাংলাদেশ এবং চীন পরস্পর খুবই ভাল প্রতিবেশী এবং বন্ধু। বর্তমান অবস্থান এবং ভবিষ্যতের দিকে তাকালে আমরা দেখতে পাই যে, বাংলাদেশ-চীন এর মধ্যকার সম্পর্ককে আরো উন্নয়নের জন্য দুই দেশের মাঝে পারস্পরিক সহায়তা করার অভূতপূর্ব সুযোগ রয়েছে। হুয়াওয়ে আজ যে উদ্যোগ নিয়েছে তা শিক্ষার্থীদের তাদের পড়াশুনায় সহায়তার জন্য একটি ছোট্ট উদাহরণ হিসাবে কাজ করবে। আমি এই উদ্যোগ গ্রহণ করার জন্য হুয়াওয়েকে ধন্যবাদ জানাতে চাই এবং আশা করি নিকট ভবিষ্যতে আরো বেশি সংখ্যক চীনা প্রতিষ্ঠান এ ধরনের উদ্যোগ হাতে নিবে।”
হুয়াওয়ে বিগত ২০ বছরে স্থানীয়ভাবে তাদের কর্পোরেট সোশ্যাল রেসপনসিবিলিটি (সিএসআর) পালন করে আসছে এবং বাংলাদেশের জনগণের জন্য প্রযুক্তিগত সুবিধা প্রদানের লক্ষ্যে তারা তাদের সহযোগীদের সাথে নিবিড়ভাবে কাজ করে যাচ্ছে। বিগত পাঁচ বছর, হুয়াওয়ে বাংলাদেশের তরুণদের মেধা উন্নয়নের লক্ষ্যে বাংলাদেশে তাদের গ্লোবাল ফ্ল্যাগশিপ সিএসআর প্রোগ্রাম ‘সিডস ফর দ্য ফিউচার’ এর আয়োজন করে আসছে এবং নারীর ক্ষমতায়নের জন্য হুয়াওয়ে তাদের কিছু সহযোগীদের সাথে সম্মিলিতভাবে আইসিটি বাস পরিচালনা করছে। এছাড়াও হুয়াওয়ে নিয়মিতভাবে মানুষের মাঝে বিভিন্ন ত্রাণ বিতরণ কর্মসুচি পালন করছে এবং গ্রামীন জনপদের মানুষকে ডিজিটাল নেটওয়ার্ক এর আওতায় নিয়ে আসতে প্রতিনিয়ত কাজ করে যাচ্ছে।