নিরাপদ ও বাসযোগ্য শহর গড়তে সমন্বয়ের গুরুত্বারোপ

0
61

সিভিল সোসাইটি কো-অডিনেশন কমিটির সভা অনুষ্ঠিত

চট্টগ্রাম সিটি কর্পোরেশনের মেয়র আলহাজ্ব আ.জ.ম.নাছির উদ্দীন বলেছেন নগরীর সেবাধর্মী প্রতিষ্টান সমুহের মধ্যে নিবিড় সমন্বয় ও পারস্পারিক সহযোগিতা ব্যতিত এই নগরী নিরাপদ ও বাসযোগ্য শহর হিসেবে গড়ে তোলা সম্ভব নয়। চসিকের সকল উন্নয়ন কর্মকান্ড সেবাদানকারী প্রতিষ্ঠানের সাথে সমন্বয় পূর্বক পরিকল্পিত উন্নয়ন প্রকল্প গ্রহণ এবং চলমান প্রকল্প দ্রুত সম্পাদনের ব্যাপারে তিনি গুরুত্বারোপ করেন। তিনি আজ বুধবার দুপুরে জাইকা সাহায্যপুষ্ট সিটি গভর্নেন্স প্রকল্পের অধীনে সিভিল সোসাইটি কো-অর্ডিনেশন কমিটির ১৬তম সভায় সভাপতির বক্তব্যে একথা বলেন। সিটি মেয়র আরো বলেন এই শহরটা আমাদের । তাই আমাদের শহরকে আমাদেরকেই সাজিয়ে তুলতে হবে। এক্ষেত্রে আলাপ আলোচনার মধ্যে সীমাবদ্ধতা নয় ,বাস্তবায়নের প্রয়োগটা নিশ্চিত করতে হবে এবং প্রকল্প বাস্তবায়নের পর তা দেখভালের সক্ষমতা ও থাকতে হবে। মানুষের সক্ষমতা বৃদ্ধি পেয়েছে । ফলে সকল ক্ষেত্রে নগরবাসীর প্রত্যাশাও অনেকগুণ বেড়েছে। এতে শহরে আধুনিকমানের শিক্ষা প্রতিষ্ঠান যেমন বেড়েছে তেমনি বেড়েছে অত্যাধুনিক ক্লিনিক,আবাসন ব্যবস্থা । সবকিছুর পরিবর্তন হলে ও শহরের পরিধি বাড়েনি। আগে যতটুকু ছিল এখনো সেই অবস্থায় রয়েছে এ শহর। এই প্রসংগে মেয়র বলেন ,যানজটে নগরবাসীর ত্রাহি ত্রাহি অবস্থা। নগরে ট্রাফিক ব্যবস্থা ভেঙ্ েপড়েছে। যেখানে যাই সেখানে যানজট আর যানজট। এই অবস্থায় নগরবাসী যাবে কোথায় । এই অবস্থার উত্তোরন ঘটাতে প্রয়োজনীয় উদ্যোগী হবার জন্য সেবাদানকারী প্রতিষ্ঠান সমুহের নগর পরিকল্পনাবিদ ও বিশেষজ্ঞদের প্রতি আহবান জানান মেয়র। তিনি বলেন শহরে ভিন্ন ভিন্ন প্রকৃতির গাড়ী চলাচল করে। আর তাদের যাত্রী সাধারণ যেসব স্থানে নামবে , সেই সব স্থানে কোনো পার্কিং ব্যবস্থা নেই । এটাতো আধুনিক নগরের পর্যায়ে পড়ে না। অথচ আমরা এই চট্টগ্রামকে তিলোত্তমা নগরী এবং প্রচ্যের রাণী হিসেবে অভিষিক্ত করেছি , এখনো করছি। এই প্রসংগে নগরীর যানবাহন সেক্টরে শৃংখলা আনায়নের কথা উল্লেখ করে মেয়র বলেন , চট্টগ্রাম শহরে কতধরনের যান বাহন চলাচল করে তার আকার -আকৃতি -প্রকৃতি নির্ণয় করতে হবে। সেই সব যানবাহনের পার্কিং ব্যবস্থার জন্য সেবা সংস্থাদের মধ্যে সমন্বয় সাধন অতীব জরুরী। এক্ষেত্রে চসিক, সিডিএ এবং ট্রাফিক বিভাগ ব্যতিত নগরীতে যানবাহনের শৃংখলা আনায়ন অসম্ভব বলে মন্তব্য করেন তিনি। মেয়র বলেন ফুটপাতে পথযাত্রীদের চলাচল নিরাপদ ও নিবিঘœ করতে হবে। তাই বিকেল ৫টা থেকে রাত ১১ টা পর্যন্ত হকাররা নগরীর ফুটপাতে বসবেন এবং পথচারীদের নিবিঘেœ চলাচলের জন্য ফুটপাতের একটি অংশ উম্মক্ত রাখা হবে । প্রয়োজনে বন্ধের দিনে হলি-ডে মার্কেট করার বিষয়ে সংশ্লিষ্ঠদেরকে ধারণা দেয়ার আহবান জানান মেয়র। সভায় চসিক প্যানেল মেয়র, কাউন্সিলর, চট্টগ্রাম সিটি কর্পোরেশনের প্রধান নির্বাহী কর্মকর্তা মো. সামসুদ্দোহা, সচিব মোহাম্মদ আবু শাহেদ চৌধুরী,প্রধান প্রকৌশলী লে.কর্ণেল মহিউদ্দিন আহমদ সহ সিভিল সোসাইটি কো-অডিনেশন ও নগর উন্নয়ন কমিটির সদস্যবৃন্দ উপস্থিত ছিলেন। সভায় কাউন্সিলর এইচ এম সোহেল, সাইয়েদ গোলাম হায়দার মিন্টু , শফিউল আলম, চিটাগাং চেম্বারের সাবেক পরিচালক মাহফুজুল হক শাহ, আইইবি’র কেন্দ্রীয় কাউন্সিল সদস্য প্রকৌশলী এম এ রশিদ, প্রকৌশলী দেলোয়ার হোসেন মজুমদার,প্রকৌশলী মো. হারুন, সাংবাদিক এম নাসিরুল হক, এডিসি মোহাম্মদ হাসান চৌধুরী, সিডিএ এর টাউন প্লানার স্থপতি মোহাম্মদ শাহিনুল ইসলাম ্খান, চট্টগ্রাম ওমেন চেম্বারের পরিচালক রেখা আলম,নারী নেত্রী জান্নাতুল ফেরদৌস, আলোচ্যসূচির উপর তাদের মতামত তুলে ধরেন। এসময় প্যানেল মেয়র ড.নিছার উদ্দীন আহমদ মঞ্জু,কাউন্সিরর সালেহ আহমদ চৌধুরী, নাজমুল হক ডিউক, গোলাম মোহাম্মদ জোবায়ের,এরশাদ উল্লাহ,সলিম উল্লাহ বাচ্চু, জহুরুল আলম জসিম, জয়নাল আবদীন, ইসমাইল বালী, আবদুল কাদের, সংরক্ষিত ওয়ার্ড কাউন্সিলর আবিদা আজাদ,ফেরদৌসী আকবর, জেসমিনা খানম, আফরোজা কালাম, ফারহানা পারভীন,কেজিডিসিএল এর মহা ব্যবস্থাপক প্রকৌশলী মো.আজিজুল হক, বিটিসিএল এর ডিজিএম সমিত চাকমা,চসিক প্রধান নগর পরিকল্পনাবিদ এ কে এম রেজাউল করিম, বাংলাদেশ রেলওয়ের নির্বাহী প্রকৌশলী আবরার হোসেন,ওয়াসার নির্বাহী প্রকৌশলী সজীব বড়–য়া,পিডিবির এসডিই সাইক ইকবাল পারভেজ,আনোয়ারা আলম,জাইকার সঞ্জিৎ কমার দাস,মো. নাছির উদ্দীন,ইউএনডিপির নুরজাহান বেগম উপস্থিত ছিলেন। চসিক প্রধান নির্বাহী কর্মকর্তা মো. সামসুদ্দোহা বলেন, নগরীর জলাবদ্ধতা নিরসনে মূল প্রকল্প যেহেতু চউক বাস্তবায়ন করবে তাই একই কাজ চসিক করার কোন সুযোগ নাই। যদি জলাবদ্ধতা নিরসন সংক্রান্ত কোন কাজে চসিক সম্পৃক্ত হয় তাহলে ওভারলেপিং হতে পারে। তিনি সামনে বর্ষার মৌসুমে জলাবদ্ধতা কিছুটা হলেও কমিয়ে আনার লক্ষ্যে চউকের প্রি-ওয়ার্ক ও ৩০২ কি.মি. খাল পরিস্কারের জন্য কোন ব্যবস্থা নেয়া হয়েছে কিনা সে ব্যাপারে চউক এর প্রতিনিধির কাছে জানতে চাইলে তিনি নির্বাচিত সব ওয়ার্ডে কাজ চলছে বলে জানালে কাউন্সিলর ও সিভিল সোসাইটির সদস্যবৃন্দ ক্ষোভ ও অসন্তোষ প্রকাশ করেন। সভায় চসিক এর বিভিন্ন উন্নয়নমূলক অগ্রগতি সম্পর্কে আলোচনা ও ২০১৯-২০২০ অর্থ বছরের জন্য অবকাঠামোগত উন্নয়ন পরিকল্পনা নিয়ে আলোচনা ও সিদ্ধান্ত হয়।
(প্রেস বিজ্ঞপ্তি)