নিহতদের পরিচয় জানানোর জন্য জনগণের প্রতি আহবান

0
74

ঢাকার কল্যাণপুরে একটি জঙ্গী আস্তানায় নিরাপত্তা বাহিনীর অভিযানে ৯ জন সন্দেহভাজন জঙ্গী নিহত হবার পর পুলিশ কিছুক্ষণ আগে ফেসবুকে নিহতদের ছবি প্রকাশ করেছে।

‘ঢাকা মেট্রোপলিটান পুলিশ-ডিএমপি’ নামের ওই পাতায় পুলিশ নিহতদের ‘গুলিবিনিময়ে নিহত জঙ্গী/সন্ত্রাসী’ বলে অভিহিত করে তাদের পরিচয় জানানোর জন্য জনগণের প্রতি আহবান জানিয়েছে।

ঢাকা মহানগর পুলিশ কমিশনার আসাদুজ্জামান মিয়া বলেছেন, নিহতদের বয়স ২০ থেকে ২৫ এর মধ্যে, তারা কালো পাঞ্জাবি এবং জিন্স পরা ছিল, একজন ছাড়া সবাই কেডস জুতো পরা ছিল।

তিনি বলেন, এখন পর্যন্ত প্রাথমিক তথ্য-প্রমাণ থেকে প্রতীয়মান হয়েছে যে এরা এবং গুলশান হামলাকারীরা একই গ্রুপের সদস্য। তিনি বলেন, হোলি আর্টিজানে সন্ত্রাসী হামলাকারীরা একই ধরণের পোশাক পরা ছিল।

আসাদুজ্জামান মিয়া আরো বলেন, তাদের মনে হয়েছে নিহতরা সবাই উচ্চশিক্ষিত এবং ‘এলিট শ্রেণীর।’

kalyanpur_armss_recoverd_from_jihadi_denকল্যাণপুরের বাড়িটি থেকে উদ্ধারকৃত অস্ত্র

ঠিক কতজন পালিয়ে গেছে?

পুলিশের ভাষ্য অনুযায়ী, গুলিতে আহত একজন সন্ত্রাসীকে তারা আটক করেছেন, আরেকজন পালিয়ে যেতে সক্ষম হয়েছে। পুলিশ এ অভিযানকে তাদের ইতিহাসের অন্যতম সফল অভিযান বলে বর্ণনা করেছে।

কিন্তু প্রত্যক্ষদর্শী এবং এলাকাবাসীদের বক্তব্য ভিন্ন। তাদের কথায় সোমবার রাত সাড়ে দশটার দিকে পুলিশ ওই এলাকায় হানা দেবার পর থেকেই বিভিন্ন সময় সশস্ত্র তরুণদের নানাভাবে পালাতে দেখা গেছে।

জাহাজবাড়ির পাশেই থাকেন শহীদুল আলম বাদল। তিনি বলেন, তিনি কয়েকজনকে গুলি করতে করতে পালাতে দেখেছেন।

ওই এলাকার একটি ভবনের নিরাপত্তা রক্ষী আবুল কাশেম বলেন, তিনি পলায়নরত একজন জঙ্গীর একেবারে সামনে পড়ে গিয়েছিলেন।

মি. বাদল বলেন, যারা পালাতে পারে নি – তাদের সাথেই ভোরের দিকে নিরাপত্তা বাহিনীর তীব্র বন্দুকযুদ্ধ হয়।

শুরুর দিকে ঘটনাস্থলে শুধু পুলিশ থাকলেও, রাত দুটোর পর র‍্যাব এবং সোয়াট নামে পুলিশের বিশেষ বাহিনী এসে অভিযানে যোগ দেয়। ভোর পাঁচটা ৫১ মিনিটে শুরু হয় জাহাজ বাড়ি নামে ভবনটিতে ঢোকার অভিযান।

পুলিশের প্রকাশ করা ছবি থেকে ধারণা হয়, নিহতরা সবাই ওই ভবনের ভেতরেই মারা যায়।

এসব বর্ণনা থেকে মনে হতে পারে, আসলে ঠিক কতজন পালিয়ে যেতে পেরেছে তা নিশ্চিত নয়।