চট্টগ্রামের রাউজান উপজেলায় গ্যাস সিলিন্ডার বিস্ফোরণে নয় বসতঘর পুড়ে ছাই হয়ে গেছে। গতকাল বৃহস্পতিবার সন্ধ্যা ৬টায় উপজেলার নোয়জিষপুর ইউনিয়নের ৩নং ওয়ার্ডস্থ নতুন হাট এলাকার রহমত আলী তালুকদারের বাড়িতে এই ঘটনা ঘটে। স্থানীয় বাপ্পা ও জিল্লু চৌধুরী জানিয়েছেন বৃহস্পতিবার সন্ধ্যা ৬টায় সিলিন্ডার গ্যাস বিস্ফোরণে আগুনের লেলিহান শিখা ছড়িয়ে পড়লে ছয়টি বসতঘর পুড়ে ছাই হয়ে যায়। এতে নগদ টাকা, স্বর্ণালংকার, পাসপোর্টসহ জরিরী কাগজপত্র পুড়ে ছাই হয়ে যায়। ক্ষতিগ্রস্থরা হলেন মো. জাহাঙ্গীর, আজম খাঁন, মো. আবু, ওসমান, গণি মনা প্রকাশ গুন্নু মিয়া, ভোলা। ক্ষতিগ্রস্ত জাহাঙ্গির বলেন, ছাদ ঢালাইয়ের জন্য রাখা নগদ দেড় লক্ষ টাকা, স্বর্ণালংকার, পাসপোর্টসহ গুরুত্বপূর্ণ কাগজপত্র পুড়ে ছাই হয়ে গেছে। এতে প্রায় ১৫ লাখ টাকা ক্ষয়-ক্ষতি হয়েছে বলে ধারণা করছেন স্থানীয়রা। গ্যাস সিলিন্ডার বিষ্ফোরণে সৃষ্ট অগ্নিকান্ডের খবর পেয়ে রাউজান ফায়র সার্ভিসের দমকলবাহিনীর সদস্যরা গিয়ে কয়েক ঘন্টা চেষ্টা চালিয়ে আগুণ নিয়ন্ত্রণে আনতে সক্ষম হয়। রাউজান ফায়ার সার্ভিসের ইনচার্জ মকবুল হোসেন বলেন, অগ্নিকান্ডে খবর পেয়ে ঘটনাস্থলে গিয়ে স্থানীয়দের সহযোগিতায় আগুন নিয়ন্ত্রণে আনা হয়। স্থানীয় ইউপি চেয়ারম্যান সরোয়ার্দী সিকদার অগ্নিকান্ড কবলি এলাকা পরিদর্শনে গেছেন বলে জানা গেছে।
রাউজানের নির্বাহি কর্মকর্তা জানান আজ ০১ ডিসেম্বর ২০১৬ বৃহস্পতিবার রাতে নোয়াজিষপুর ইউনিয়নের নতুন হাট নামক এলাকায় অগ্নিকান্ডে ০৯ পরিবারের বসতবাড়ি এবং আসবাবপত্র পুড়ে ছাই হয়ে যায় ততক্ষনাত ফায়ার সার্ভিসসহ অগ্নিকান্ড স্থলে ছুটে যাই এবং আশপাশের ঘরবাড়ি রক্ষার্থে ফায়ার সার্ভিস প্রয়োজনীয় ব্যবস্থা গ্রহন করে ——— কিছু মানুষ অতি অবিবেচকের মতো রাস্তা দখল করে স্থাপনা নির্মান না করলে আরও ৩০ মিনিট আগে পৌছতে পারতাম এবং ক্ষয়ক্ষতি আরও অনেক কম হতো।আগুনের সূত্রপাত গ্যাস সিলিন্ডারের বিস্ফোরণ থেকে তবে এতে কেউ নিহত বা মারাত্মক আহত হয়নি ক্ষতিগ্রস্ত পরিবারগুলোর মাঝে তাতক্ষনিক নগদ অর্থ; শিশুদের পোশাক এবং শাড়ি লুঙ্গি বিতরন করা হয়েছে। উপজেলা প্রশাসনের পক্ষ থেকে সকল কে আসছে শীত মৌসুমে অগ্নিকান্ড প্রতিরোধে সর্বোচ্চ সতর্ক থাকার জন্য অনুরোধ করা হল।