পটিয়ার ওসিসহ ৫ জনের বিরুদ্ধে স্বরাষ্ট্র মন্ত্রনালয়ে অভিযোগ

0
99

নিজস্ব প্রতিবেদক॥
আনোয়ারা উপজেলার গরু ব্যবসায়ী তৌহিদুল ইসলামকে মিথ্যা গরু চুরি’র মামলা দিয়ে গ্রেপ্তার করে নির্যাতনের অভিযোগে পটিয়া থানার ওসি বোরহান উদ্দিনসহ ৫ জনের বিরুদ্ধে স্বরাষ্ট্র মন্ত্রনালয়ে অভিযোগ দিয়েছে তৌহিদুল এর পিতা আবদুল রাজ্জাক। গত ১৩ জুন পটিয়া থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) বোরহান উদ্দিন, সেকেন্ড অফিসার নাদিম মাহমুদ, এসআই মো. আকতার হোসাইন, ডাকাত কালু আবু, ব্যবসায়ী মো. মাহমদুল হক আনোয়ারসহ ৫ জনের বিরুদ্ধে স্বরাষ্ট মন্ত্রণালয়, আইন বিচার ও সংসদ বিষয়ক মন্ত্রণালয় ও চট্টগ্রাম পুলিশ সুপার বরাবরে তিনি এ অভিযোগ দায়ের করেন।
স্বরাষ্ট্র মন্ত্রনালয়ে দেয়া অভিযোগ সূত্রে জানাযায়, পটিয়া মালিয়ারা গ্রামের আল-ওয়ালী এগ্রো খামারের গরু ব্যবসায়ী সিন্ডিকেটের সদস্য সৈয়দ মো. ফয়সাল (৩৮), হাজী মো. হারুনুর রশিদ (৪০), হাজী মো. মিয়া (৩৯), মোস্তাকিম মাহমুদ (৩৫) ও মো. তারেক হোসেনের (৩৪) সাথে র্দীর্ঘদিন ধরে গরু ব্যবসা করে আসছিল আবদুল রাজ্জাক ও তার ছেলে তৌহিদুল ইসলাম। এ পরিচয়ে বিগত ২৫ মে ভাউচার মূলে ব্যবসা প্রতিষ্ঠান রাজ্জাক এন্টারপ্রাইজ এর পরিচালক তৌহিদুল ইসলাম থেকে ১৮ লক্ষ টাকার ১৪টি গরু খরিদ করে বাকীতে তাদের খামার পটিয়া উপজেলার জিরি আল-ওয়ালী এগ্রোতে নিয়ে যায়। ঈদের পরে গরুর টাকা পরিশোধ করার কথা ছিল। কিন্তু ঈদের পরেও গরুর মূল্য পরিশোধ তারা করেনি। উক্ত পাওনা টাকা নিয়ে আবদুল রাজ্জাকের ছেলে সাহেদের সাথে পটিয়ার ব্যবসায়ী পার্টনার ফয়সার ও আনোয়ারের সাথে মোবাইলে কথাকাটাকাটি হয়। এর জের ধরে পাওনা ১৮ লক্ষ টাকা না দেওয়ার জন্য পটিয়া থানার সহযোগিতায় তাদের খামার থেকে গরুগুলো অজ্ঞাত স্থানে সরিয়ে নেয়। পরে আল ওয়ালী এগ্রো খামারের কেয়ারটেকার মো. ইসাহাককে চোর সাজিয়ে পরবর্তীতে পটিয়া থানার সহযোগিতায় ৮ জুন তৌহিদুল ইসলামকে আসামী করে মিথ্যা গরু চুরি’র মামলা দিয়ে তাকে গ্রেফতার করা হয়। মামলা নং-১০(৬)২০১৯। সে মামলা তৌহিদুল ইসলামকে পটিয়া থানা পুলিশ গ্রেপ্তার করে অমানবিক শারীরিক নির্যাতন করে এবং তার কাছ থেকে আল আরাফা ইসলামী ব্যাংক আনোয়ারা চাতুরীচৌমুহনী শাখার খালি চেক, একটি মোটর সাইকেল, ফার্মের ক্যাশের চাবিসহ নগদ টাকা তদন্তকারী কর্মকর্তা এস আই আকতার হোসাইন নেন বলে অভিযোগ করেন। অথচ গত চার বছর ধরে পটিয়ার আল-ওয়ালী এগ্রো খামার সাথে গরু ব্যবসা করে আসছি। তারা পাওনা টাকা না দেয়ার জন্য কৌশলে এ মিথ্যা মামলা দিয়ে হয়রানি করা হচ্ছে। এ বিষয়ে প্রতিকার চেয়ে ব্যবসায়ী আবদুর রাজ্জাক পটিয়া থানার মামলাটি সুষ্ঠু তদন্ত পূর্বক ব্যবস্থা গ্রহণ করার জন্য স্বরাষ্ট মন্ত্রণালয়, আইন বিচার ও সংসদ বিষয়ক মন্ত্রণালয় ও চট্টগ্রাম পুলিশ সুপার বরাবরে আবেদন জানিয়েছেন।
পটিয়া থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) বোরহান উদ্দিন বলেন, তৌহিদুল ইসলামের বিরুদ্ধে কোন মিথ্যা মামলা করা হয়নি। তাদের ব্যবসায়ি মাহমুদুল হক আনোয়ারা বাদী হয়ে গরু চুরি মামলা করেছে। এ মামলায় তৌহিদুল ইসলামকে গ্রেপ্তার করে আদালতে প্রেরণ করা হয়েছে। তৌহিদের কাছ থেকে কোন ব্যাংকের খালি চেক ও নগদ টাকা নেয়া হয়নি। তৌহিদের মোটর সাইকেলটি ফেরত দেয়া হয়েছে। এ মামলায় আইনি লড়াই চালিয়ে যাবে।