পরকীয়ার বলি হলেন ৩ সন্তানের জননী

0
100

পরকীয়া
সেলিম উদ্দিন, ঈদগাঁও: কক্সবাজার সদরের ঈদগাঁওতে পরকীয়ার বলি হলেন গৃহবধু রেহেনা আক্তার (৩৫)। ১২ ফেব্রুয়ারী ইসলামপুর ইউনিয়নের জওন্নাকাটা গ্রামে এ ঘটনা ঘটে। নিহত রেহেনা ৩ সন্তানের জননী এবং ওই এলাকার জাহাঙ্গীর আলমের স্ত্রী। নিহতের বড় ভাই জয়নাল, ভাবী আক্তারু বেগম এবং রেহেনার দু’শিশুপুত্র হেলাল ও জালাল জানায়, জাহাঙ্গীর দীর্ঘদিন ধরে ঈদগাঁও ইউনিয়নের কলেজ গেইটস্থ হাছিনা পাহাড়ের ফয়েজ আলমের মালিকানাধীন ভাড়া বাসার মনুর মেয়ে তছলিমার সাথে অবৈধ সম্পর্কে জড়িয়ে পড়ে। এ ঘটনাকে কেন্দ্র করে স্বামী স্ত্রী’র মধ্যে প্রায়শঃ ঝগড়া বিবাদ লেগে থাকত।

১০ ফেব্রুয়ারী গভীর রাতে এ এবিষয়কে কেন্দ্র করে উভয়ের মধ্যে আবারও কথা কাটাকাটি হলে জাহাঙ্গীর উত্তেজিত হয়ে রেহেনোকে কানের গোড়ায় সজোরে আঘাত করে। আঘাত তীব্র হওয়ায় জাহাঙ্গীর রেহেনাকে নিজের পরিচয় গোপন রেখে জেলা সদর হাসপাতালে ভর্তি করে সটকে পড়ে এবং পরদিন রেহেনার ভাবী আক্তারুকে ঘটনার বিস্তারিত বিবরণ দিয়ে ফোন দেয়। ১২ ফেব্রুয়ারী নিহত রেহেনার আতœীয়-স্বজনেরা হাসপাতালে খোঁজ নিয়ে জানতে পারেন রেহেনার মৃত্যু হয়েছে। রেহেনার পরিবার এ ব্যাপারে কক্সবাজার সদর মডেল থানার শরনাপন্ন হলে থানা পুলিশ সুরতহাল রিপোর্ট ও ময়না তদন্ত শেষে লাশ পরিবারের কাছে হস্তান্তর করে। এরিপোর্ট লিখা পর্যন্ত (রাত সাড়ে ৮ দিকে) রেহেনার লাশ দাফনের প্রস্ততি চলছিল। ওয়ার্ড মেম্বার সেলিম উল্লাহ সিরাজীসহ প্রায় ২ আড়াইশ লোক এসময় উপস্থিত ছিলেন। তিনি জানান, ইতিপূর্বেও জাহাঙ্গীর রেহেনার উপর অনেকবার নির্যাতন চালিয়েছে। সন্তানদের ভবিষ্যতের কথা চিন্তা করে তিনি দু’জনকে ডেকে অনেকবার মিলিয়ে দিয়েছেন। পরকীয়ায় আসক্ত হবেননা মর্মে জাহাঙ্গীর তার কাছে অনেকবার অঙ্গীকারও করেছে এরপরও পাষন্ড স্বামী জাহাঙ্গীর রেহেনার উপর অমানুষিক নির্যাতন চালিয়েছে বারবার। শেষতক তাকে পরপারের উদ্দেশ্যে পাড়ি জমাতে হল।

কক্সবাজার সদর মডেল থানার অফিসার্স ইনচার্জ আসলাম হোসেন জানান, বিষয়টি তদন্ত করে যথাযথ ব্যবস্থা নেওয়া হবে। তদন্তকারী কর্মকর্তা মনোয়ার হোসেন জানান, এ ব্যাপারে আপপাতত কিছু বলতে পারবনা বিষয়টি তদন্ত করে দেখা হচ্ছে। ঈদগাঁও পুলিশ তদন্ত কেন্দ্রের আইসি মিনহাজ মাহমুদ ভূঁইয়া জানান, তিনি এ ব্যাপারে কিছুই জানেননা তবে লোকমুখে বিষয়টি শুনেছেন। রেহেনার স্বজন ও স্থানীয়রা পাষন্ড জাহাঙ্গীরের দৃষ্টান্তমূলক শাস্তির দাবী জানান।