বাড়ি সাত রং রসনা বিলাশ পাটালি গুড় তৈরি

পাটালি গুড় তৈরি

0
166

শীতের আমেজ শুরু হওয়ায় খেজুর রস সংগ্রহ ও পাটালি গুড় তৈরিতে ব্যস্ত সময় পার করছেন চলনবিল অঞ্চলের গাছিরা। ইতিমধ্যে চলনবিল অঞ্চলের বিভিন্ন হাটে-বাজারে খেজুরের গুড় কেনাবেচা শুরু হয়েছে। প্রতি কেজি গুড় বিক্রি হচ্ছে ৭০ থেকে ৮০ টাকা দরে। খেজুর গুড় হাটে-বাজারে আমদানি শুরু হওয়ায় আখের গুড় ও চিনির ওপর নির্ভরশীলতা কমেছে। শীতে নতুন ধানের পিঠা তৈরি করে খেজুর গুড়ের স্বাদ গ্রহণ করছে গৃহিণীরা। একসময় চলনবিল অঞ্চলে খেজুরের রস থেকে গুড় তৈরির প্রচলন কম ছিল।

গত কয়েক বছর ধরে রাজশাহী ও নাটোর জেলার গাছিরা এ এলাকায় এসে রস সংগ্রহ ও খেজুর গুড় তৈরি শুরু করেছে। শীত এলেই বিলাঞ্চলের খেজুর গাছ মালিকদের কদর বেরে যায় এবং গুড়ের চাহিদা বেড়ে যায়। বিল এলাকার প্রায় সব গ্রামেই খেজুরের গাছ আছে। এলাকার অনেকেই খেজুর গুড় বাজারজাত করে জীবিকা নির্বাহ করে। গাছিরা শীত মৌসুমে প্রতিটি খেজুর গাছ জোতদারদের কাছ থেকে ৪০০ থেকে ৬০০ টাকায় লিজ নিয়ে রস সংগ্রহ করে গুড় তৈরি করে। আবার কেউ কেউ অর্ধেক গুড়ের বিনিময় রস সংগ্রহ করে গুড় তৈরি করে। কনকনে শীতের সকালে তীব্র ঠাণ্ডাকে উপেক্ষা করে গাছিরা রস বাড়িতে নিয়ে আসে আর বাড়ির গৃহিণীরা রসগুলো বড় বড় পাত্রে জ্বাল দিয়ে তৈরি করে রসালো ও পাটালি খেজুরের গুড়। আর এ গুড় দিয়ে তৈরি শীতের পিঠা অত্যন্ত সুস্বাদু লাগে। কার্তিক মাস থেকে খেজুর রস সংগ্রহ হয় এবং চৈত্র মাস পর্যন্ত তা চলে। একটি গাছ থেকে আহরিত রস থেকে মৌসুমে ৫০ থেকে ৬০ কেজি গুড় তৈরি হয়। রস থেকে লালী, পাটালি ও খুড়ি তিন প্রকারের গুড় তৈরি হয়। আবার খেজুর গাছ দিয়ে ঘর-বাড়ি তৈরি ও শাখা-প্রশাখা জ্বালানি হিসেবে ব্যবহার করা যায়। শীত মৌসুমে এ ব্যবসার সঙ্গে জড়িত হয়ে অনেকের সংসারে সচ্ছলতা ফিরে এসেছে।