পাঠ্যবইয়ে হালদা নদী

0
131

হালদা 1প্রাকৃতিক মৎস্য প্রজনন ক্ষেত্র হালদা নদীকে এবারই প্রথম পাঠ্যবইয়ে সংযুক্ত করা হয়েছে। একাদশ-দ্বাদশ শ্রেণির জীববিজ্ঞানের প্রথম পত্রে এটি সংযোজন করা হয়। প্রফেসর গাজী এস এম আজমল ও প্রফেসর ড. সফিউর রহমান-এর রচনায় এ বইয়ের সম্পাদনা করেন চট্টগ্রাম বিশ্ববিদ্যালয়ের প্রাণিবিদ্যা বিভাগের অধ্যাপক ড. গাজী এস এম আসমত। চলতি শিক্ষাবর্ষে সংযোজিত বইটি, গত ৩০ জুন গাজী পাবলিশার্স থেকে প্রকাশিত হয়। জাতীয় শিক্ষাক্রম ও পাঠ্যপুস্তক বোর্ড কর্তৃক অনুমোদিত বইটির ‘জীববৈচিত্র্য সংরক্ষণ পদ্ধতি’ বিষয়ের ২৯২ পৃষ্ঠায় ‘হালদা নদী’ নাম দিয়ে নদীর অবস্থান, আয়তন, উৎপত্তি, গুরুত্ব, সংরক্ষণসহ নানা বিষয়ে সবিস্তারে তুলে ধরা হয়।
এদিকে, প্রাকৃতিক মৎস্য প্রজনন ক্ষেত্র হালদা নদীকে পাঠ্যবইয়ে সংযোজন করায় জাতীয় শিক্ষাক্রম ও পাঠ্যপুস্তক বোর্ডকে অভিনন্দন জানিয়েছেন হালদা নদী রক্ষা কমিটির সভাপতি ও চট্টগ্রাম বিশ্ববিদ্যালয় প্রাণিবিদ্যা বিভাগের সহযোগী অধ্যাপক মো. মনজুরুল কিবরীয়া ও সাধারণ সম্পাদক ও দৈনিক পূর্বকোণের সিনিয়র রিপোর্টার মোহাম্মদ আলী। তাঁরা বলেন, এটি বাংলাদেশের একমাত্র নদী যেখান রুই জাতীয় মাছের নিষিক্ত ডিম সংগ্রহ করা হয়। এ নদী পাঠ্যবইয়ে সংযোজন করায় শিক্ষার্থীরা এখন থেকে নদীর গুরুত্ব সহজভাবে জানার পাশাপাশি নদীর পরিবেশ ও জীববৈচিত্র সংরক্ষণে আরো সচেতন হয়ে উঠবে। তাই গুরুত্ব বিবেচনা করে এ নদীকে জাতীয় নদী ঘোষণা এখন সময়ের দাবিতে পরিণত হয়েছে।