“পাসপোর্ট ইস্যু” বদলে গেছে অনেক কিছু…

0
236

নিউজচিটাগাং:: ‘পাসপোর্ট নাগরিকের অধিকার, নিঃস্বার্থ সেবাই অঙ্গীকার’ এই প্রতিপাদ্যকে ধারণ করে সারাদেশে শুরু হয়েছে পাসপোর্ট সেবা সপ্তাহ ২০১৮। ৪ থেকে শুরু হয়ে ৮ ফেব্রুয়ারি পর্যন্ত চলবে পাসপোর্ট সেবাসপ্তাহ।

সুন্দর করে সাজানো অফিসের আঙিনাতেই স্থাপন করা হয়েছে তথ্য সেবা কেন্দ্র। অনলাইনে তাৎক্ষণিক ফরম পূরণ করার জন্যও রাখা হয়েছে স্টল। কর্মকর্তা–কর্মচারিরা ভেতরে বাইরে দেখভাল করছেন পাসপোর্ট গ্রহণ ও আবেদনকারীদে। ‘সেবা সপ্তাহের’ ২য়দিনে এ ছিল নগরীর দুই পাসপোর্ট অফিসের দৃশ্য।

উভয় অফিসেই সরেজমিনে দেখা গেছে, সেবাসপ্তাহ উপলক্ষে মানুষকে সচেতন করা এবং দ্রুত ও হয়রানিমুক্ত সেবাদানের জন্য স্থাপিত তথ্য কেন্দ্রে মানুষের সারিবদ্ধ লাইন। সহজবোধ্যভাবে আবেদন ফরম পূরণের নিয়মাবলী প্রচার ও বিশাল আকারের পূরণকৃত নমুনা ফরম প্রদর্শন করা হচ্ছে। এছাড়া অফিস ভবনের প্রবেশ পথেই হেল্প ডেস্ক, অনুসন্ধান, তথ্য প্রদান ও বিভিন্ন পরামর্শসহ পাসপোর্ট প্রত্যাশীদের এমআরপি’র সুবিধা, নিয়মকানুন ও ফরম পূরণের নিয়মাবলী সম্বলিত লিফলেট বিতরণ করা হচ্ছে। একই সাথে আবেদনকারীর আবেদনের বর্তমান অবস’া সম্পর্কে তথ্য প্রদানের পাশাপাশি আবেদন ফরম ও নক ফরম বিতরণ করা হচ্ছে। সেবা সপ্তাহ উপলক্ষ্যে নেয়া হয়েছে নানা উদ্যোগ। এর মধ্যে অফিসের আঙিনায় বসানো হয়েছে তথ্য প্রদান ডেস্ক, অনলাইনে পূরণের ব্যবস্থা, সেবা গ্রহীতার সুবিধার্থে বাইরে পাসপোর্টের নমুনা কপি টাঙানো, মহিলাদের জন্য বেস্ট ফিডিং কর্ণার স্থাপন, বিশুদ্ধ পানি, নামাজের ব্যবস্থা ও ব্যাংকে টাকা জমাদানের জন্য পাসপোর্ট অফিসের আঙিনাতেই বুথ স্থাপন।

পাসপোর্ট সম্পর্কিত ডকুমেন্টারি প্রদর্শনের পাশাপাশি আবেদনকারীদের জন্য প্রতিদিন মুক্ত আলোচনার ব্যবস্থা করা  হয়েছে। দ্রুততম সময়ের মধ্যে সকল আবেদনকারীর কাছে এমআরপি পৌঁছে দেয়ার লক্ষ্যে সকল ধরনের প্রদক্ষেপ গ্রহণ করা হয়েছে। প্রতিজনকে বুঝিয়ে দেওয়া হচ্ছে পাসপোর্ট তৈরির বিভিন্ন নিয়ম ও আনুষ্ঠানিকতা। টেবিলেই রাখা হয়েছে গাম, স্টেপলারসহ ফরম পূরণের আনুষঙ্গিক সব উপকরণ।

গতকাল রোববার থেকে শুরু হওয়া সেবাসপ্তাহের ২য়দিনে পাসপোর্ট অফিসকে কেন্দ্র করে গড়ে ওঠা দালাল ঠেকাতে এবং পাসপোর্ট বানানো সহজ করতে এ ধরনের বিভিন্ন উদ্যোগ নেয়া হয়েছে বলে জানিয়েছেন সংশ্লিষ্টরা।

এ বিষয়ে মনসুরাদ পাসপোর্ট অফিসের উপ–পরিচালক আবু নোমান মোহাম্মদ জাকির হোসেন জানান, সরকার পাসপোর্টের ব্যাপারে দ্রুত ও হয়রানিমুক্ত সেবা নিশ্চিত করতে অনেক বেশী উদ্যোগী ও আন্তরিক। এক্ষেত্রে কর্মকর্তা–কর্মচারী ও সেবাগ্রহণকারীসহ সংশ্লিষ্ট সকলকে এক হয়ে কাজ করতে হবে।

এদিকে পাঁচলাইশ পাসপোর্ট অফিসের সহকারি পরিচালক আলী আশরাফ তথ্য প্রকাশ করে বলেন, দ্রুত ও হয়রানিমুক্ত সেবা নিশ্চিত করতে আমরা চেষ্টা করে যাচ্ছি। ফরম জমা দেয়ার সাথে সাথে এর কাজ সম্পন্ন করে আমরা দ্রুত তা ঢাকায় প্রেরণ করছি এবং পুলিশ ক্লিয়ারেন্স পাওয়ার সাথে সাথে তা বিতরনের ব্যবস্থা করছি।

প্রতিদিন গড়ে ৬৫০ জন সেবাগ্রহীতাকে তথ্য দেওয়া হচ্ছে, তাৎক্ষণিক অনলাইনে পূরণ করে দেওয়া হচ্ছে পাসপোর্টের ফরম। সেবা গ্রহীতাদের সুবিধার্থে রাখা হয়েছে ফরম পূরণের প্রয়োজনীয় উপকরণ। আমরা চাই প্রত্যেক গ্রাহক নিজ হাতে ফরম পূরণ করে তা জমা দিক। এতে করে তারা সহজ ও কম সময়ের মধ্যে পাসপোর্ট হাতে পাবেন।

পাসপোর্ট পেতে আগ্রহীদের বলবো আপনারা সচেতন হোন এবং বর্তমান ঠিকানা অনুযায়ী তা গ্রহনের জন্য পাঁচলাইশ এবং মনসুরাবাদ অফিসে জমা দিন। অযথা দালালের কাছে ছুটোছুটি করবেন না। চট্টগ্রামে পাঁচলাইশ এবং মনসুরাবাদ অফিসের মাধ্যমে পাসপোর্ট করা হয়। এ দুটি কার্যালয়ে ২০১৭ সালের ১ জানুয়ারি থেকে ৩১ ডিসেম্বর পর্যন্ত মেশিন রিডেবল পাসপোর্ট (এমআরপি) ও মেশিন রিডেবল ভিসা (এমআরপি) ইস্যুর মাধ্যমে ৩৮ কোটি সাত লাখ চার হাজার ৫১৫ টাকা রাজস্ব আদায় হয়েছে। এর মধ্যে এমআরপি থেকে রাজস্ব আদায় হয় ৩৬ কোটি ২৭ লাখ ৬ হাজার ২৩৩ টাকা এবং এমআরভি থেকে আদায় হয় এক কোটি ৭৯ লাখ ৪৪ হাজার ২৮২ টাকা।

২০১৬ সালে রাজস্ব আদায় হয়েছিল ৩৩ কোটি ৬৫ লাখ ৮৯ হাজার ৬০০ টাকা। গত এক বছরে এক লাখ ২ হাজার ৫২০টি আবেদন জমা পড়ে। আবেদনের প্রেক্ষিতে গ্রাহকদের ৯৬ হাজার ১০৭টি পাসপোর্ট হস্তান্তর করা হয়। ইস্যুকৃত পাসপোর্টের মধ্যে আছে– অফিসিয়াল ৫৬৪টি এবং সাধারণ এক লাখ এক হাজার ৯৫৬টি। এর মধ্যে ১৫ হাজার ৭৬৪টি জরুরি এবং ৮৬ হাজার ১৯২টি সাধারণ।

প্রতিবেদনটি তৈরি করতে গিয়ে করতে খোজ নিয়ে যানা গেছে তিনটি মেশিনের একটি নষ্ট হয়ে থাকায় মেশিন রিডেবল পাসপোর্ট ছাপাতে হিমশিম খাচ্ছে কর্তৃপক্ষ। শুধুমাত্র জরুরি পাসপোর্টগুলোই ডেলিভারি দেয়া হচ্ছে। সাধারণ ফি জমা দিয়ে নির্দিষ্ট তারিখে পাসপোর্ট ডেলিভারি পাওয়া যাচ্ছে না। প্রতিমাসে গড়ে প্রায় দশ হাজার পাসপোর্ট দেয়া হয় চট্টগ্রাম থেকে। অথচ মেশিন নষ্ট হয়ে যাওয়ায় পাসপোর্ট ডেলিভারির সংখ্যা বহুলাংশে কমে গেছে। এতে করে হাজার হাজার মানুষ চরম ভোগান্তিতে পড়েছেন। পাসপোর্ট ডেলিভারিতে এই সংকটের মধ্যেই আজ থেকে চট্টগ্রামে পাসপোর্ট সেবা সপ্তাহ শুরু হচ্ছে। পাসপোর্ট অফিসের কর্মকর্তারা বলেছেন, গ্রাহকদের সন্তুষ্টির জন্য বরাবরের মতো সর্বোচ্চ চেষ্টা করা হবে। তবে অত্যন্ত জরুরি এই সেবাটি বিভিন্ন সংস্থার উপর নির্ভরশীল হওয়ায় এককভাবে পাসপোর্ট অফিসের পক্ষে বিশেষ কিছু করা সম্ভব হয়না।

সংশ্লিষ্ট সূত্রে জানা গেছে গত বেশ কিছুদিন যাবত পাসপোর্ট সরবরাহ পাওয়ার ক্ষেত্রে জটিলতা তৈরি হয়েছে। বিশেষ করে সাধারণ পাসপোর্ট সময়মতো ডেলিভারি পাওয়া যাচ্ছে না। নির্দিষ্ট তারিখ থেকে গড়ে ১২ থেকে ১৫দিন পরে পাসপোর্ট পাওয়া যাচ্ছে। এতে করে জরুরি চিকিৎসা বা জরুরি ভিত্তিতে বিদেশ যাওয়ার জন্য পাসপোর্ট করতে দিয়ে বহু মানুষকে ভোগান্তিতে পড়তে হয়েছে। তবে জরুরি ফি জমা দেয়া পাসপোর্টগুলো সময়মতো পাওয়া যাচ্ছে বলে জানা গেছে।

পাসপোর্ট বিভাগের দায়িত্বশীল একটি সূত্র ঢাকা থেকে জানিয়েছেন যে, পাসপোর্ট অফিস সারাদেশে থাকলেও পাসপোর্ট ছাপানো এবং সরবরাহ দেয়া হয় ঢাকা থেকে। ঢাকায় তিনটি মেশিনে পাসপোর্ট ছাপানোর কাজ চলে। কিন্তু এরমধ্যে একটি মেশিন নষ্ট হয়ে গেছে। এতে করে পাসপোর্ট ছাপানোর কাজ মারাত্মকভাবে বিঘ্নিত হচ্ছে। ফলে সাধারণ পাসপোর্টগুলো সময়মতো সরবরাহ দেয়া সম্ভব হচ্ছে না। নির্ধারিত তারিখের ১২ থেকে ১৫দিন পরে পাসপোর্টগুলো সরবরাহ দেয়া হচ্ছে।

নন্দন কানন থেকে আসা বুধিসত্ব বড়ুয়া নামাক একজন সেবা গ্রহীতা বলেন বেশ ভালো পরিবেশ, বিউটিফুল। সব সময় এমন থাকা উচিত। আমি নিজেই নিজের পাসপোর্ট জমা দিতে এসেছি। পুলিশ ভেরিফিকেশন নিয়ে শংকা আছে। তবে আশা করছি সেখানেও ভালো সেবা পাবো।

চকবাজার থেকে আসা আজিজ শামিম নামাক একজন সেবা গ্রহীতা বলেন সেবা সপ্তাহ এবং অন্য সময় এখানে দুটো পুলিশ বুথ থাকা উচিত সেখানে নগর ও জেলার ভেরিফিকেশন নিশ্চিত করা হবে। আর পাসপোর্ট এর মেয়াদ ১০ বছর করা দরকার।

এ সময় মুরাদপুর থেকে পাসপোর্ট সেবাসপ্তাহের কর্যক্রম দেখতে আসা ছড়াকার তসলিম খা বলেন পুলিশ ভেরিফিকেশন সহজিকরণ করে পাসপোর্ট দেয়ার ব্যবস্থা করতে হবে। সবার সেবা দেয়ার মানসিকতা ভালো লাগছে।

পাসপোর্ট অফিসে দেরি প্রসংঙ্গে নাম প্রকাশে অনিচ্ছুক এক কর্মকর্তা বলেন পাসপোর্ট অফিসের কাজ আরো তিনটি সংস্থার উপর নির্ভরশীল। বিশেষ করে পুলিশের তদন্ত রিপোর্ট ছাড়া কোন পাসপোর্ট ইস্যু করা হয়না। পুলিশি তদন্ত রিপোর্ট সময়মতো না আসলে পাসপোর্ট অফিসের কিছু করার থাকে না। আবার পুলিশি রিপোর্টের ব্যাপারটি শুধু পুলিশই নয়, ডাক বিভাগের উপরও বেশি নির্ভরশীল। পাসপোর্ট অফিস থেকে পুলিশের কাছে আবেদন যাওয়া এবং পুলিশ রিপোর্ট তৈরি করে পাসপোর্ট অফিসে পাঠানোর ব্যাপারটি ডাক বিভাগের মাধ্যমে হয়ে থাকে। অপরদিকে ঢাকা থেকে ছাপানো পাসপোর্ট চট্টগ্রামে আসার ব্যাপারটিও ডাক বিভাগের উপর নির্ভরশীল। তবে সবচেয়ে বেশি ভোগান্তি পুলিশ রিপোর্ট নিয়ে। টাকা জমা দিয়ে দিনের পর দিন গত হলেও পুলিশ রিপোর্ট না পৌঁছায় পাসপোর্ট ডেলিভারি দিতে পারে না পাসপোর্ট অফিস। পুলিশের বিশেষ শাখার পাশাপাশি থানা পুলিশের মাধ্যমেও তদন্ত করে রিপোর্ট দেয়া হয়। এই রিপোর্ট প্রাপ্তিতে পুলিশের গাফিলতির অভিযোগ বহু পুরানো। যারা একটি ঠিকানা ব্যবহার করেন তারা পুলিশের একটি রিপোর্ট কিছুটা তাড়াতাড়ি পান। কিন্তু যারা গ্রাম এবং শহরের দুইটি ঠিকানা ব্যবহার করে পাসপোর্ট নিতে চান তাদেরকে দুই থানার কিংবা জেলা ও নগর পুলিশের রিপোর্টের ভিত্তিতে পাসপোর্ট দেয়া হয়। দুইটি রিপোর্ট করাতে বেশি সময় এবং হয়রানি বেশি বলেও ভুক্তভোগীরা জানিয়েছেন। তবে বর্তমান সময়ে পুলিশের উদ্ধতন কর্মকর্তাদের নজরদারির ফলে ভোগান্তি দিন দিন লাঘব হচ্ছে।

মায়ের পাসপোর্ট করাতে আসা অনিল দাশ নামে এক ব্যক্তি অনেকে ঝক্কি-ঝামেলা এড়াতে দালালের মাধ্যমে পাসপোর্ট ফরম জমা দেন। দালালের খপ্পরে পড়তে বাধ্য হন। বিভিন্ন সূত্রে জানা গেছে, দালালরা ফরম জমাদানের সময় বিশেষ সাংকেতিক চিহ্ন ব্যবহার করেন। এ সাংকেতিক চিহ্ন দেয়া ফরম অনায়াসেই গ্রহণ করা হয়। বিশেষ চিহ্ন না থাকলে হরেক রকম ভুলের অজুহাতে ফরম ফেরত দেয়া হয়। এছাড়া নগর ও জেলা পুলিশের বিশেষ শাখার কতিপয় অসাধু কর্মকর্তা-কর্মচারী ভেরিফিকেশন এর নামে হয়রানি করছেন বলে শুরেছি।

এদিকে পাসপোর্ট ইস্যুর ক্ষেত্রে পুলিশের তদন্ত রিপোর্ট বিষয়ে চট্টগ্রাম জেলা পুলিশের অতিরিক্ত পুলিশ সুপার (বিশেষ শাখা) মহিউদ্দিন মাহমুদ সোহেল বলেন ‘আমরা চেষ্টা করি নির্ধারিত সময়ের মধ্যে ভেরিফিকেশন রিপোর্ট পাঠিয়ে দিতে। সাধারনত সবোচ্চ এক সপ্তাহের মধ্যে, বিশেষ ক্ষেত্রে ৩দিন এবং অসুস্থ ব্যক্তির চিকিৎসা জনিত কারনে ১দিনের মধ্যেও আমরা তদন্ত রিপোর্ট দিয়ে ফেলি।

আর বর্তমানে আমরা নিজেরা এ বিষয়টি সবোচ্চ গুরুত্ব সহকারে নিয়ে মনিটরিং করছি। এ বিষয়ে বিশেষ ভাবে নিয়মিত কাজ করার জন্য দায়িত্ব ভাগ করে দেয়া হয়েছে। আমরা মাসে প্রায় ৭ হাজার পাসপোর্ট এর ভেরিফিকেশন রিপোর্ট প্রেরণ করছি। আর ভেরিফিকেশন রিপোর্ট পেতে হয়রানি বিষয়ে যে কেউ আমাদের কাছে জানালে আমরা তড়িৎ ব্যবস্থা গ্রহণ করবো, আমরা চাই মানুষ পুলিশের কাছ থেকে ভালো সেবা পাক।

নগর পুলিশের উপ-পুলিশ কমিশনার (বিশেষ শাখা) জসিম উদ্দীন বলেন, ‘নির্ধারিত সময়ের মধ্যে ভেরিফিকেশন রিপোর্ট পাঠিয়ে দিতে আমরা সাধ্য মতো চেষ্টা করি । বিশেষ ক্ষেত্রে হয়তো দু-একদিন এদিক ওদিক হয়। অনেক ক্ষেত্রে দেখা যায়, আবেদনকারী চট্টগ্রামে আছেন, কিন্তু তার স্থায়ী ঠিকানা রংপুরে। তখন দুই এলাকায় ভেরিফিকেশন করতে গিয়ে দেরি হয়।’ তবে নগরের বিশেষ শাখা থেকে সব সময় নির্ধারিত সময়ে রিপোর্ট পাঠানো হয় বলেও তিনি জানান। এ ক্ষেত্রে সাধারনত ৩দিন এবং বিশেষ ক্ষেত্রে ১ দিনের মধ্যেও আমরা তদন্ত রিপোর্ট দিয়ে ফেলি। যেমন গত ডিসেম্বর মাসে ৩৯১৯ টি আবেদনের মধ্যে আমরা ৩৮০৪টি আবেদন নিস্পত্তি করেছি এবং বাকি গুলোও পরে নিষ্পত্তি হয়েছে।

ভেরিফিকেশন রিপোর্ট প্রদানের বিনিময়ে টাকা নেওয়ার অভিযোগের বিষয়ে এই পুলিশ কর্মকর্তা বলেন, ‘ভেরিফিকেশন রিপোর্টের বিনিময়ে টাকা গ্রহণের সুযোগ নেই। সরকার তাদের বেতন দিচ্ছে। তাই গাড়ি ভাড়া অথবা অন্যকোনও অজুহাতে টাকা নেওয়ার সুযোগ নেই। এরপরও এ ধরনের কোনও সুনির্দিষ্ট অভিযোগ থাকলে আমরা ওই বিষয়ে ব্যবস্থা নেবো।’