পাসপোর্ট বানাতে গিয়ে গ্রামপুলিশ ও রোহিঙ্গা নারীসহ আটক-৩

0
290

পাসপোর্ট অফিসে বান্দরবান ডিসির ঝটিকা অভিযানে ধরা খেলেন শরণার্থী ক্যাম্পের এক রোহিঙ্গা নারীসহ ৩জন। এদের মধ্যে একজন গ্রাম পুলিশ, অপরজন দালাল।

আটকের পর বান্দরবান সদর থানায় নিয়ে তাদের জিজ্ঞাসাবাদ করা হচ্ছে।

আটকৃতরা হলো- উখিয়া পালংখালী রেজিষ্ট্রার্ড ভুক্ত রোহিঙ্গা ক্যাম্পের ছৈয়দ হোসেনের মেয়ে রেজিয়া বেগম (২০), নাইক্ষ্যংছড়ি সদর ইউনিয়ন পরিষদের গ্রাম পুলিশ (চৌকিদার) আবদুল মালেক (৩৮) ও রোহিঙ্গা নারীর পিতা পরিচয়দানকারী মো: জাকারিয়া (৪৮)।

আটকের বিষয় নিশ্চিত করেছেন বান্দরবান সদর থানার ওসি শহিদুল ইসলাম চৌধুরী।

জানা গেছে, রোহিঙ্গা নারী রেজিয়াকে পার্সপোট করে দেওয়ার জন্য ২লক্ষ টাকায় চুক্তি করে চৌকিদার আব্দুল মালেক। সে চুক্তি অনুযায়ী পাসপোর্টের জন্য নাইক্ষ্যংছড়ি ইউনিয়ন পরিষদ থেকে জন্মনিবন্ধন, জাতীয়সনদ, হেডম্যান সনদসহ পাসপোর্ট ফরম সত্যায়ন করিয়ে নেন চৌকিদার মালেক। আর সেই ভূয়া কাগজ সত্যায়ন করেছেন নাইক্ষ্যংছড়ি সদর ইউনিয়ন পরিষদের চেয়ারম্যান তছলিম ইকবাল চৌধুরী।

তবে সত্যায়িত করা প্রসঙ্গে তিনি বলেন- ৮নং ওয়ার্ডের বাসিন্দা ছৈয়দ হোসেনের মেয়ে রেজিয়ার একটি পাসপোর্ট ফরম সত্যায়িত করেছি ঠিক। কিন্তু আটক হওয়া রেজিয়াকে আমি চিনিনা। এজন্য ছৈয়দ হোসেনকে দায়ী করেন তিনি।

আটক হওয়া জাকারিয়া (৪৮) বলেন- চৌকিদার মালেক ইউনিয়ন পরিষদ থেকে কাগজপত্র সম্পাদনসহ পাসপোর্ট করে দেওয়ার জন্য দায়িত্ব নিয়েছিলেন। সে অনুযায়ী আমরা ফরম জমা দিতে এসেছিলাম।

বান্দরবান জেলা প্রশাসক মো: দাউদুল ইসলাম ঝটিকা অভিযানের সত্যতা নিশ্চিত করে বলেন- আটকৃতদের জিজ্ঞাসাবাদের জন্য থানায় হস্তান্তর করা হয়েছে। রোহিঙ্গাদের পাসপোর্ট করার পেছনে জড়িতদের বিষয় খতিয়ে দেখা হবে।

এদিকে বান্দরবান জেলা পুলিশ সুপার জাকির হোসেন মজুমদার বলেন- পাসপোর্ট করতে এসে তিনজন আটক হয়েছে। তাদের জিজ্ঞাসাবাদ করা হচ্ছে।

স্থানীয় একটি সূত্র জানিয়েছে, নাইক্ষ্যংছড়ির কয়েকজন জনপ্রতিনিধিসহ একটি সিন্ডিকেট দীর্ঘদিন ধরে রোহিঙ্গা নারী পুরুষকে ভোটার ও পাসপোর্ট করে দেওয়ার কাজে লিপ্ত রয়েছে। এসব জনপ্রতিনিধির বিরুদ্ধে মোটা অংকে জন্মনিবন্ধন, জাতীয় সনদসহ বিভিন্ন প্রয়োজনীয় কাগজপত্র বিক্রির অভিযোগ রয়েছে। এক্ষেত্রে বিশেষ করে বাংলাদেশী নাগরিকদের পিতা-মাতা সাজিয়ে কাগজপত্র বৈধ করে থাকেন তারা।