পিঠা চিতুই ভাপা পাটিসাপটা

0
150

কনকনে শীতের বাতাস বইতে শুরু করেছে চারপাশে। হাড় হিম করা ঠাণ্ডা বাতাসে গরম উষ্ণতার পরশ যেন প্রাণ ফেরায় জনজীবনে। তাই তো শীতের সকাল কিংবা সন্ধ্যায় চায়ের দোকানে শীত তাড়ানোর মন্ত্র চায়ের কাপের ব্যস্ত আনাগোনা চোখে পড়ে।

তবে শীতের এ সময়ে চায়ের কাপের উষ্ণতা ছাড়াও মিষ্টি ঘ্রাণে আর নতুন গুড়ের স্বাদে পিঠাপুলির দেখা মিলে আনাচে-কানাচে কিংবা দোকানে দোকানে। শীতের বার্তা আসার সঙ্গে সঙ্গে নতুন চালের পিঠা তৈরির প্রস্তুতি শুরু হতে থাকে।

আর শীত যখন এসে জেঁকে বসে তখন কতশত নাম আর স্বাদের বাহার নিয়ে পিঠার আগমন হয়ে থাকে নগরীর আনাচে-কানাচে কিংবা ঘরে ঘরে। এসব পিঠায় নকশার কারুকাজও দেখার মতো। অনেকেই হাতের জাদুতে পিঠায় নিয়ে আসেন বৈচিত্র্য। একটা সময় পিঠার প্রচলন কেবল গ্রামের মেঠোপথ কিংবা অন্দরমহলে থাকলেও বর্তমানে পিঠার প্রচলন দেখা যায় সবখানে।

তাই তো ব্যস্ত এ শহরের অলিগলিতেও দেখা মিলে মাটির হাঁড়িতে চিতুই, ভাপা কিংবা পাটিসাপটা তৈরির ব্যস্ততা। অল্প জায়গাতে মাটির চুলায় চলে পিঠা তৈরির আয়োজন। কখনও এ আয়োজনে থাকে চিতই আবার কখনও গুড় আর নারিকেলের মিশ্রণে তৈরি হয় গরম গরম ভাপা পিঠা। চিতই পিঠার স্বাদ বাড়াতে সঙ্গে মিলে নানা ধরনের ভর্তা।

এসব ভর্তার মাঝে থাকে কালোজিরার ভর্তা, মরিচের ভর্তা, শুঁটকি থেকে শুরু করে ধনিয়া পাতা কিংবা ঝাঁঝালো সরষে ভর্তা। আর এসব ভর্তা পিঠার স্বাদ বাড়িয়ে দেয় আরও কয়েকগুণ। অন্যদিকে পিঠার এ আয়োজন এসব জায়গা থেকে শুরু করে মিলে দোকানে দোকানেও। এসব দোকানে তাই দেখা মিলে নানা ধরনের পিঠাপ্রেমী মানুষের।

এছাড়া এখানে দেখা মিলে নানা ধরনের পিঠার আয়োজনও। বিশেষ করে তেলের পিঠা, থেকে শুরু করে পাটিসাপটা, ভাপা, মুঠি পিঠা, লবঙ্গ লতিকা, নকশি পিঠার দেখা মেলে এসব দোকানে।

ব্যস্ততার জন্য কিংবা সরঞ্জামের অভাবে যারা পিঠা তৈরি করতে পারেন না তারা ভিড় জমান এসব দোকানে। আর মন ভরে খেয়ে কিংবা নিয়ে যেতে পারেন কাছের মানুষদের জন্য মজার মজার নানা স্বাদের পিঠা।

পিঠার এ নানা ধরনের কারণেই এক এক অঞ্চলে দেখা মিলে এক এক ধরনের পিঠার। কারুকাজের ভিন্নতা কিংবা স্বাদের ভিন্নতার মাঝে শীতের পিঠা জায়গা করে নেয় ভোজনরসিকদের মনে। আর শীতের হাওয়ার সঙ্গে সঙ্গে শীতের পিঠার মিষ্টি ঘ্রাণে ভরে উঠে চারপাশ, সঙ্গে ব্যস্ত জীবনেও মিলে পিঠাপুলির নানা স্বাদ।