পুরো পরিবার রোহিঙ্গা, মা-ছেলে বাংলাদেশী!

0
99
কায়সার হামিদ মানিক,উখিয়া।
আরফা বেগম, স্বামী মোহাম্মদ ইউসুফ, মাতা হামিদা বেগম। আইডিকার্ড অনুযায়ী শহরের দক্ষিণ রুমালিয়ারছড়ার বাসিন্দা। মিয়ানমারের নাগরিক হলেও আরফা বেগমের পরিচয় এখন বাংলাদেশী। যার আইডি নং-২২২২৪০৭৩৮৭৩৭৩। স্বামী মোহাম্মদ ইউসুফ দীর্ঘ অনেক বছর ধরে সৌদিআরব প্রবাসী।
তবে, কিভাবে বিদেশে গেছে? জানা সম্ভব হয় নি। শুধু কি তাই? আরফা বেগমের এক ছেলে নুরুল কবিরও পৌরসভার মোহাজেরপাড়ার (ঘোনারপাড়া) ঠিকানায় আইডিকার্ড পেয়ে গেছে। নুরুল কবিরের স্মার্ট আইডি নং-৫৫৫ ৫৫৮ ৩৬২৩। মা-ছেলের আইডিকার্ডের ঠিকানা ভিন্ন হলেও থাকে একই জায়গায়। বর্তমানে বসবাস পৌরসভার ৬ নং ওয়ার্ডের বিজিবি ক্যাম্প সিকদারপাড়ায়। তারা চিহ্নিত রোহিঙ্গা হয়েও কিভাবে বাংলাদেশের নাগরিকত্ব পেলো? নেপথ্যে কারা জড়িত? প্রশ্ন সবার।
এ প্রসঙ্গে জানতে চাইলে সদর উপজেলা নির্বাচন অফিসার শিমুল শর্মা বলেন, ভোটার হওয়ার প্রক্রিয়া অনেক কঠিন। কক্সবাজারের ক্ষেত্রে বিশেষ নির্দেশনা থাকায় আমরা খুবই সতর্ক। অনেকগুলো তথ্য যাচাই বছাইয়ের পর ভোটার করা হয়। এরপরও রোহিঙ্গারা কিভাবে ভোটার হলো? বুঝে আসে না। তথ্য প্রমাণসহ অনুসন্ধান করে আইনগত ব্যবস্থা নেওয়া হবে।
খোঁজখবর নিয়ে জানা গেছে, আরফা বেগমের ভাই আজিজুল হক, নুরুল হক ও সৎ মা বালুখালী ১১ নং রোহিঙ্গা ক্যাম্পের ‘সি’ ব্লকের বাসিন্দা। ৯ নং ক্যাম্পের জে-১ ব্লকে থাকে আরফা বেগমের আরেক বোন। তার ডাক নাম লালা। পিতা গোরা মিয়া ও মাতা হামিদা বেগমের কোন বংশই বাংলাদেশে নেই। স্বামী মোহাম্মদ ইউসুফের বাংলাদেশী পাসপোর্ট, প্রয়োজনীয় ডকুমেন্টস না থাকায় দেশে আসতে পারছে না। ছেলে নুরুল কবির অপহরণ মামলার পলাতক আসামী।
স্থানীয় লোকজনের সাথে কথা বলে জানা গেছে, নুরুল কবির খুবই ধূর্ত ও চালাক প্রকৃতির লোক। তার জন্ম মিয়ানমারে হলেও দীর্ঘদিন বাংলাদেশে অবস্থানের সুযোগে বিভিন্ন লোকের সাথে সম্পর্ক হয়। নিজেই গড়ে তুলে অপরাধচক্র। অপহরণ, মাদক ব্যবসা, চোরা কারবারিসহ নানা অপরাধকর্মে জড়িত। তবে নির্বাচন অফিস সুত্রে জানা গেছে, তারা ২০০৮ সালের দিকে ভোটার হয়েছিল। কিভাবে ভোটার হলো তা কারো জানা নেই।