পুলিশের রাইফেল লুট, মহাসড়ক অবরোধ চেয়ারম্যান আটক (২)

0
49

আবু সাঈদ ভূঁইয়া,মিরসরাই (চট্টগ্রাম) ::

 

নাছির নামে এক প্রত্যক্ষদর্শী জানান, শনিবার (১৫জুলাই) বড়তাকিয়া বাজার থেকে বিকাল সাড়ে ৩ টায় একটি অটোরিকসা নিয়ে খইয়াছড়া ইউনিয়ন পরিষদের চেয়ারম্যান জাহেদ ইকবাল একটি জানাযায় যাচ্ছিলেন। এসময় চৌধুরী হাট হাইওয়ে পুলিশের এএসআই জাকির ওই অটোরিকসাটি আটক করে। জাহেদ ইকবাল নিজের পরিচয় দিয়ে অটোরিকসাটি ছাড়ার অনুরোধ করলে ওই পুলিশ চেয়ারম্যানকে গালিগালাজ করে অটোরিকসা জ্বালিয়ে দেয়ার হুমকী দেয়। এখবর বড়তাকিয়া বাজারের অটোরিকসা স্ট্যান্ডে পৌঁছলে চালকরা শত শত অটোরিকসা রেখে ঢাকা-চট্টগ্রাম মহাসড়ক অবরোধ করে। এসময় চেয়ারম্যান জাহেদ ইকবাল পুলিশের চাঁদাবাজি ও তাকে অপমানে প্রতিবাদে সন্ধ্যা ৭টা পর্যন্ত অবরোধ ঘোষনা করেন।
প্রত্যক্ষদর্শীরা আরো জানান, অররোধের খবর পেয়ে বিকাল ৫টায় মিরসরাই থানার ওসি (তদন্ত) জাকির হোসেনের নেতৃত্বে পুলিশ ঘটনাস্থলে পৌঁছে ১০ মিনিটের মধ্যে অবরোধ তুলে নিতে সময় দেন। কিন্তু তার আগে পুলিশ চালকদের উপর লাঠিচার্জ শুরু করলে চালকদের সাথে পুলিশের সংঘর্ষ বেঁধে যায়। এসময় পুলিশের উপর বড় বড় ইটের টুকরো ছুঁড়ে মারতে থাকে স্থানীয় লোকজন। একপর্যায়ে ইটের আঘাত থেকে রক্ষা পেতে ৪জন পুলিশ ও সাংবাদিক বিপুল দাশ বাজারের একটি দোকানে আশ্রয় নিলে বৃষ্টি মতো সেখানে ইটের টুকরো ছুঁড়ে মারা হয়। এসময় চালকদের উপর পুলিশ ৩ রাউন্ড গুলি ছুঁড়ে। কিন্তু পুলিশের গুলি শেষ হয়ে গেলে চালক ও স্থানীয়রা দোকানে ঢুকে পুলিশের উপর হামলা চালায়।
এদিকে সংঘর্ষ ও অবরোধের খবর পেয়ে মিরসরাই উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা জিয়া আহমেদ সুমন ঘটনাস্থলে গিয়ে চেয়ারম্যান জাহেদ ইকবালের সহযোগিতা নিয়ে চালকদের শান্ত করেন। পরে চেয়ারম্যান ও অবরোধকারীদের সাথে বৈঠক করে তাদের দাবি মেনে নেয়ার আশ্বাস দিলে সন্ধ্যা ৭টায় অবরোধ তুলে নেয়া হয়।