পৃথক রায়ে শিশু,তরুণীকে ধর্ষণের দায়ে ২ জনের যাবজ্জীবন কারাদণ্ড

0
70

সাত বছর বয়সী শিশুকে ধর্ষণের দায়ে আব্দুল হাই প্রকাশ আবদুল্লাহ (৪৮) নামে একজনকে যাবজ্জীবন কারাদণ্ড দিয়েছেন চট্টগ্রামের একটি আদালত। একই রায়ে আদালত তাকে ৫০ হাজার টাকা জরিমানাও করেছেন।

বুধবার চট্টগ্রামের নারী ও শিশু নির্যাতন দমন ট্রাইব্যুনাল-১ এর বিচারক মো.রেজাউল করিম এ রায় দিয়েছেন।

দন্ডিত আসামী আবদুল্লাহ বোয়ালখালী উপজেলার পূর্ব গোমদণ্ডী বহদ্দারপাড়া এলাকার মৃত আব্দুল হকের ছেলে। তিনি বর্তমানে কারাগারে আছেন। রায় ঘোষণার সময় তাকে আদালতে হাজির করা হয়েছিল।

ট্রাইব্যুনালের বিশেষ পিপি জেসমিনা আক্তার বলেন, আসামীর বিরুদ্ধে নারী ও শিশু নির্যাতন দমন আইনের ৯ (১) ধারায় রাষ্ট্রপক্ষে আনা অভিযোগ সন্দেহাতীতভাবে প্রমাণ হওয়ায় আদালত তাকে যাবজ্জীবন সাজা দিয়েছেন।

ট্রাইব্যুনাল সূত্রে জানা গেছে, ধর্ষিতা শিশুটি আসামী আবদুল্লাহ’র প্রতিবেশি। ২০১১ সালে শিশুটি স্থানীয় একটি মাদ্রাসার দ্বিতীয় শ্রেণীর ছাত্রী ছিল।

২০১১ সালের ৫ ডিসেম্বর সকাল ১০টার দিকে শিশুটি তাদের উঠোনে খেলছিল। এসময় আবদুল্লাহ শিশুটিকে ফুসলিয়ে একটি নির্জন ঘরে নিয়ে গিয়ে জোরপূর্বক ধর্ষণ করে।

এ ঘটনায় ওইদিনই তার মা বাদি হয়ে বোয়ালখালী থানায় একটি মামলা দায়ের করেন। ২০১২ সালের ১১ ফেব্রুয়ারি পুলিশ আসামীর বিরুদ্ধে আদালতে অভিযোগপত্র দাখিল করেন। ওই বছরের ৪ এপ্রিল আসামীর বিরুদ্ধে অভিযোগ গঠন করেন আদালত।

রাষ্ট্রপক্ষে সাতজন সাক্ষীর সাক্ষ্যগ্রহণের পর বুধবার আদালত এ রায় দেন। রায়ে উল্লিখিত জরিমানার টাকা জেলা কালেক্টরকে সংগ্রহ করে ভিকটিমের পরিবারকে দেয়ার নির্দেশ দিয়েছেন আদালত।

বিয়ের প্রলোভন দেখিয়ে তরুণীকে ধর্ষণের দায়ে সিরাজুল ইসলাম প্রকাশ সুজন (২৫) নামে একজনকে যাবজ্জীবন কারাদণ্ড দিয়েছেন চট্টগ্রামের একটি আদালত। একই রায়ে আদালত তাকে ৫০ হাজার টাকা অর্থদণ্ডও দিয়েছেন।

বুধবার চট্টগ্রামের নারী ও শিশু নির্যাতন দমন ট্রাইব্যুনাল-১ এর বিচারক মো.রেজাউল করিম এ রায় দিয়েছেন।

দন্ডিত আসামী সুজন নগরীর কোতয়ালি থানার ফিরিঙ্গবাজার এলাকার মো.ইখতিয়ার উদ্দিনের ছেলে। ঘটনার পর থেকে সে পলাতক আছে।

ট্রাইব্যুনালের বিশেষ পিপি জেসমিনা আক্তার জানান, ধর্ষিতা তরুণীর সঙ্গে সুজনের প্রেমের সম্পর্ক ছিল। ২০১৩ সালে সুজন তাকে বিয়ে করবে বলে একটি ভূয়া স্ট্যাম্পে স্বাক্ষর করে এবং স্ট্যাম্পটি তরুণীকে দিয়ে বিশ্বাস স্থাপন করে।

এরপর ২০১৩ সালের ৮ সেপ্টেম্বর বেলা ১২টার দিকে ওই তরুণীকে ফিরিঙ্গিবাজার এলাকায় ডা.রফিকুল ইসলামের চেম্বারের পেছনে একটি কক্ষে নিয়ে গিয়ে ধর্ষণ করে। পরে সুজন ওই তরুণীকে বিয়ে করতে অস্বীকৃতি জানায়।

এ ঘটনায় তরুণী বাদি হয়ে ওই বছরের ৯ অক্টোবর নগরীর কোতয়ালি থানায় নারী ও শিশু নির্যাতন দমন আইনের ৯ (১) ধারায় একটি মামলা দায়ের করেন। মামলা তদন্ত শেষে ২০১৩ সালের ৩০ নভেম্বর আদালতে অভিযোগপত্র দাখিল করে পুলিশ।

২০১৪ সালের ১৬ ফেব্রুয়ারি আদালতে আসামীর বিরুদ্ধে অভিযোগ গঠন করা হয়। রাষ্ট্রপক্ষে ছয়জন সাক্ষীর সাক্ষ্যগ্রহণের পর বুধবার আদালত এ রায় দেন।

রায়ে উল্লিখিত অর্থদণ্ডের টাকা জেলা কালেক্টরকে সংগ্রহ করে ভিকটিমের পরিবারকে দেয়ার নির্দেশ দিয়েছেন