পেকুয়ায় মাদ্রাসার জমিতে স্কুল ভবন, আদালতের নিষেধাজ্ঞা

0
66

পেকুয়া প্রতিনিধি

পেকুয়ায়মাদ্রাসার জমিতে স্কুল ভবন নির্মাণকে কেন্দ্র করে দুই পক্ষে চরম উত্তেজনা দেখা দিয়েছে। মাদ্রাসা কর্তৃপক্ষের অপর ৪১২/১৬ মামলার অনুকূলে গত ১মার্চ ওই জমির বিরোধকে কেন্দ্র করে বিজ্ঞ সিনিয়র সহকারী জজ আদালত,চকিরয়া থেকে অস্থায়ী নিষেধাজ্ঞাও জারী করেছে। তারপরও স্কুল কর্তৃপক্ষ তাদের কাজ চলমান রাখায় রক্তক্ষয়ী সংঘর্ষের আশঙ্কা করছে স্থানীয়রা। গতকাল এ নিয়ে দুই পক্ষের সংঘর্ষে আশঙ্কা হলে স্থানীয় এলাকাবাসীরা তাদের নিবৃত করে। যার কারণে বড় ধরণের সংঘর্ষ থেকে রক্ষা পায় দু’পক্ষ। বর্তমানেও উত্তেজনা বিরাজ করছে বলে জানা গেছে।পেকুয়া উপজেলার মগনামা ইউনিয়নের বাইন্যাঘোনা এলাকায় এ ঘটনা ঘটে।

স্থানীয়রা জানায়, বিগত ২০০০ সালে ফজর আলী হেফজখানা ও মাদ্রাসার জন্য ১৫ শতক জমি খরিদ করে। মাদ্রাসার পক্ষে পরিচালক বাইন্যাঘোনা এলাকার মৃত মজু মিয়ার ছেলে মাওলানা আবদুল জব্বার জমিটি ক্রয় করেন। যার দলিল নং ৩৭৬৫। সে সময় থেকে মাদ্রাসা কর্তৃপক্ষ জমিটি ভোগদখল করে মাদ্রাসা উন্নয়নে আর্থিক ব্যায় নির্বাহ করছিল। আর জমিটি মগনামা বাজার পাড়া এলাকার মৃত জাফর আহমদের পুত্র মোর্শেদ জাফর বাজার পাড়া সরকারী প্রাথমিক বিদ্যালয় সভাপতি হিসাবে স্কুল ভবনের জন্য রেজিস্ট্রি দেয়। তথ্য গোপন করে জমিটি রেজিস্ট্রি দেন বলে জানান মাদ্রাসার পরিচালক মাওলানা আবদু জাব্বার। বিশ^ ব্যাংকের অর্থায়নে স্কুল ভবনের কাজ শুরু হলে মাদ্রাসা কর্তৃপক্ষ চকরিয়া আদালতে একটি এমআর মামলা দায়ের করেন। যার মামলা নং ৪১২/১৬ইংরেজি এবং নামজারী আপিল মামলা নং ৪১/১৮ইং। মামলায় উপজেলা চেয়ারম্যান, উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা, প্রকল্প বাস্তবায়ন কর্মকর্তা ও উপজেলা শিক্ষা কর্মকর্তাকে বিবাদী করা হয়। সর্বশেষ স্কুল কর্তৃপক্ষ ভবনের কাজ চলমান রাখায় আদালতে অস্থায়ী নিষেধাজ্ঞার আবেদন করলে গত ১ মার্চ জমিতে স্থীতিশীল অবস্থা বজায় রাখার জন্য বলা হয়। তারপরও স্কুল কর্তৃপক্ষ তাদের কাজ চলমান রাখায় সংঘর্ষের আশঙ্কা দেখা দিয়েছে দু’পক্ষে।
মাদ্রাসার পরিচালক মাওলানা আবদু জাব্বার জানান, ওই জমি মাদ্রাসার নামে ক্রয় করা হয়েছিল। কাগজপত্র সবকিছু মাদ্রাসার। স্কুল কর্তৃপক্ষের পক্ষ থেকে মোর্শেদ জাফর কাগজপত্র জালিয়ত করে পক্সি কবলা দিয়েছে। আদালতে মামলার পর অস্থায়ী নিষেধাজ্ঞার আবেদন করলে জমিতে স্থীতিশীল অবস্থা বজায় রাখার নির্দেশ প্রদান করেন। স্কুলের প্রধান শিক্ষক আবদুল মজিদ ও বিবাদীরা তা তোয়াক্কা না করে স্কুল ভবনের কাজ চলমান রেখেছে। আমরা আদালতের প্রতি শ্রদ্ধাশীল। তারপরও না হলে মাদ্রাসার প্রকৃত জমির জন্য জীবন উৎসর্গ করব। ইতিমধ্যে সংঘর্ষের আশঙ্কাও হয়েছিল। স্থানীয় প্রশাসনের প্রতি অনুরোধ আদালতে আদেশ বাস্তবায়ন করুন।

উপজেলা চেয়ারম্যান শাফায়েত আজিজ রাজু জানান, আদালত থেকে মামলার পরবর্তি নিষেধাজ্ঞার একটি কপি আমরা পেয়েছি। যতটুকু জানি ওই জমি স্কুলের। কাগজপত্র বিশ্লেষন করলে তা সঠিক বলতে পারব। এতদিন ভবন নির্মানের কাজ বন্ধ ছিল। গত এক সপ্তাহ ধরে কাজ চলছে কিনা আমি অবগত নয়।