পেকুয়ায় লাগামহীন হয়ে পড়েছে দ্রব্যমূল্য

0
78

পেকুয়া (কক্সবাজার) প্রতিনিধি:

কক্সবাজারের পেকুয়া উপজেলায় বাজারসমূহ মনিটরিং না করাতে লাগামহীন হয়ে পড়েছে দ্রব্যমূল্য। এতে ক্রেতাদের নাভিশ্বাস উঠেছে। এমনকি ব্যবসায়ীরা নিজেও জানেন না বাজার মনিটরিং কি এবং এ সংক্রান্ত কোন কমিটি অাছেন কিনা।

স্থানীয় বাসিন্দাদের অভিযোগ, বাজার মনিটরিং কমিটির দৃশ্যত কোন কার্যক্রম নেই। বাজার মনিটরিং সংক্রান্ত কোন কমিটি পেকুয়া আছে কিনা তাও জানে না সচেতন মহল। শেষ কবে এ কমিটি গঠন করা হয়েছিল সে সর্ম্পকে পরিষ্কার কোন তথ্য নেই উপজেলা প্রশাসনের কাছে। তাই বাজার মনিটরিংয়ে পড়েছে ভাটা।

উপজেলার সব বাজারে প্রতি দোকানে নিয়মিত মনিটরিংয়ের কথা থাকলেও পেকুয়া উপজেলায় তার বালাই নেই। যে যার মত চালিয়ে যাচ্ছে ব্যবসা। আদায় করা হচ্ছে একটি পণ্যের হরেক দাম। এতদিন এ বিষয়ে কারো কোন মাথাব্যাথা না থাকলেও রমজান মাসকে কেন্দ্র করে বর্তমান সময়ে দ্রব্যমূল্য বাড়ায় একটু নড়েচড়ে বসেছে ক্রেতারা।


ক্রেতাদের অভিযোগ, একই পণ্যের একেক দোকানে একেক দাম নিচ্ছে বিক্রেতারা। মাছ তরকারি সহ কাঁচা বাজারে তো সর্বদা আগুন। কোন দোকানে দ্রব্যমূল্যের তালিকা নেই বললেই চলে। সাগরে মাছ ধরা নিষিদ্ধের অজুহাতে মাছ ব্যবসায়ীরা যা ইচ্ছে তাই দাম নিচ্ছে। এর প্রতিবাদ করতে গিয়ে ক্রেতা সাধারণকে হামলার শিকারও হতে হয়েছে।

তারা আরো বলেন, পেকুয়া উপজেলা প্রশাসনের তৎপরতা না থাকার কারণে বাজারে নিত্য প্রয়োজনীয় পণ্যের দাম লাগামহীন। রমজান মাসে দ্রব্যমূল্য ঠিক রাখতে সারাদেশে ভ্রাম্যমান আদালত তৎপর থাকলেও পেকুয়ায় এর ব্যতিক্রম।

ব্যবসায়ীরা ফুটপাত দখল করে রাখায় উপজেলা সদরের সড়ক দিয়ে পথচারীদের চলাচল দুরূহ হয়ে পড়েছে। এতে স্কুল-কলেজের শিক্ষার্থী, হাসপাতালে আসা রোগীদের চলাচলে বিপাকে পড়তে হচ্ছে।

পথচারীদের অভিযোগ, কালেভদ্রে উপজেলা প্রশাসন লোক দেখানো অভিযান চালালেও বর্তমানে একশ্রেণির দখলবাজরা সিন্ডিকেট করে ফুটপাত দখল করে রেখেছে। কিন্তু এসব বিষয়ে স্থানীয় প্রশাসন নীরব ভূমিকা পালন করছে।

পেকুয়া বাজারের কয়েকজন মোদির দোকানদার ও ক্ষুদ্র ব্যবসায়ীরা জানান, বাজার মনিটরিং কি অামরা জানিনা। অভিযানে অামরা কাউকে কখনো চোঁখেও দেখেনি। প্রশাসনিক ক্ষেত্রে অন্যান্য উপজেলার চেয়ে অামরা অনেক ভাল অাছি।

নাম প্রকাশ না করার শর্তে পেকুয়া বাজারের এক ব্যবসায়ী জানান, ফুটপাতে বসা বাজার থেকে স্থানীয় প্রশাসন মাসোহারা আদায় করে। তাই কোনো অভিযান চলে না। কিন্তু ফুটপাত দখলের কারণে প্রতিদিনই যানজটে দুর্ভোগ পোহাচ্ছে রবইতলি-মগনামা সড়কে যাতায়াতকারী প্রায় ২০ হাজারেরও বেশি মানুষ।

পেকুয়ায় বাজার মনিটরিং কমিটির কার্যক্রম জোরদার করা জরুরি বলে মনে করেন সচেতন মহল। দ্রব্যমূল্য নিয়ন্ত্রণ, ভেজাল প্রতিরোধে তারা কাজ করতে পারবে। যা এই রমজান মাসেই খুবই প্রয়োজন। কিন্তু প্রশাসনের নজরদারি না থাকার কারণে এখন তা থমকে আছে।

পেকুয়া উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা মাহবুবুল করিম বলেন, দ্রব্যমূল্যের বিষয়ে কেউ অভিযোগ দেয়নি। অভিযোগ পেলে বাজার কমিটিকে নিয়ে বসে সিদ্ধান্ত নেয়া যেত। ফুটপাত দখলের ব্যাপারে তিনি বলেন, কিছুদিন আগেও অভিযান চালিয়ে তাদের উচ্ছেদ করে উপজেলা প্রশাসন। উচ্ছেদের পর পুনরায় বসে যায় তারা। দ্রব্যমূল্যের ও ফুটপাত দখলের বিষয়ে খুব শীঘ্রই আবারো অভিযান পরিচালনা করবে উপজেলা প্রশাসন।