পোস্টারের নগরী…

0
75

ঢাকা ও চট্টগ্রামে রোববার মাঝরাতে শেষ হয়েছে সিটি কর্পোরেশন নির্বাচনের প্রচার-প্রচারণা।
পোস্টার
মেয়র ও কাউন্সিলর পদে দাঁড়ানো বিভিন্ন প্রার্থী শেষ মুহূর্তেও ভোটারদের কাছে নগর উন্নয়নের নানা প্রতিশ্রুতি তুলে ধরেছেন।

কিন্তু বিশ্লেষকদের অনেকেই বলছেন, প্রধান বিরোধী দল বিএনপি সমর্থিত প্রার্থীরা এ নির্বাচনে অংশ নেয়ায় জাতীয় রাজনৈতিক বিষয়গুলোই প্রধান ইস্যুতে পরিণত হয়েছে।

তারা বলছেন, বিরোধী শিবিরের অনেক প্রার্থী মামলা এবং গ্রেফতারি পরোয়ানার কারণে প্রচারের সময় সমান সুযোগ পাননি, অনেক প্রার্থীর হয়ে প্রচার চালিয়েছেন তাদের নিকটাত্মীয়রা।

সব মিলিয়ে এই সিটি নির্বাচন এবং এর প্রচারণা ছিল নানা দিক থেকেই ব্যতিক্রমী।

প্রার্থীদের শেষ মুহূর্তের নির্বাচনী প্রচারণায় ঢাকার অলিগলি সরগরম ছিল। মিছিল,পথসভা,গণসংযোগ যেনো সর্বত্রই। পোস্টারে ছেয়ে গেছে গোটা নগরী।

শেষ মুহূর্তেও প্রার্থীরা নানান প্রতিশ্রুতি তুলে ধরেন।

নির্বাচন পর্যবেক্ষণকারী একটি ফোরাম সুজনের বদিউল আলম মজুমদার বলেছেন, “রাজনীতিকরা এবং রাজনৈতিক দলগুলো এই নির্বাচনকে প্রক্সি সংসদ নির্বাচনে পরিণত করেছে। জাতীয় রাজনৈতিক ইস্যু প্রাধান্য পেয়েছে। তবে এবার একইতালে নাগরিক ইস্যুগুলোও উঠে এসেছে।”
ইশতেহার তুলে ধরছেন আওয়ামী লীগ সমর্থিত প্রার্থী আনিসুল হক

নাগরিক সমস্যাগুলোকে ইস্যু করার জন্য মি: মজুমদার প্রার্থীদেরকেই কৃতিত্ব দিতে চান।

প্রচারণায় ৫ই জানুয়ারির একতরফা নির্বাচনের বিষয় যেমন এসেছে, তেমনি লাগাতার অবরোধ হরতালে নাশকতার বিষয়ও বাদ যায়নি।

রাজনীতির বাইরে থেকে আসা মেয়র প্রার্থীর বিষয়ও বেশ আলোচিত হয়েছে।

ঢাকার উত্তরে প্রধান দুই দল আওয়ামী লীগ সমর্থিত মেয়র প্রার্থী আনিসুল হক এবং বিএনপি সমর্থিত তাবিথ আউয়াল, তারা দু’জনই ব্যবসায়ী।

বামপন্থী কয়েকটি দলও তরুণ প্রার্থী দিয়েছে।

ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের শিক্ষক এবং রাজনৈতিক বিশ্লেষক সৈয়দ মঞ্জুরুল ইসলাম মনে করেন, এবার প্রার্থী এবং প্রচারণার ক্ষেত্রে বৈচিত্র্য ছিল।

তিনি বলছেন, “সনাতন রাজনীতির বাইরে থেকে আসা মেয়র প্রার্থীরা ঢাকায় অনেক নাগরিক বিষয়কে সামনে এনেছেন, তাতে মানুষ আকৃষ্ট হয়েছে।”

তবে মামলা এবং গ্রেফতারি পরোয়ানার কারণে সকল প্রার্থীর জন্য সমান সুযোগ ছিল না বলেও মি: ইসলাম মনে করেন।

বিরোধী দল বিএনপি অভিযোগ করে আসছে, ঢাকায় ৩০টির মতো ওয়ার্ডে তাদের সমর্থিত কাউন্সিলর প্রার্থীরা আত্মগোপনে থাকায় আত্মীয়-স্বজন এবং দল প্রচারণা চালিয়েছে।

ঢাকার দক্ষিণে বিএনপি সমর্থিত মেয়র প্রার্থী মির্জা আব্বাসও আত্মগোপনে থাকায় তার স্ত্রী আফরোজা আব্বাস প্রচারণা চালান।

তিনি দাবি করেন, সফলভাবে প্রচারণা চালিয়েছেন এবং মানুষের ভাল সাড়া পেয়েছেন।

ঢাকার দক্ষিণেই আওয়ামী লীগ সমর্থিত মেয়র প্রার্থী সাঈদ খোকন।

তার নির্বাচন পরিচালনা কমিটির প্রধান আওয়ামী লীগ নেতা ড: আব্দুর রাজ্জাক বলেছেন, প্রচারণায় তারাও মানুষের ভাল সাড়া পেয়েছেন।