প্রজেক্ট হাসিমুখ, হাসি ফুটানোর অকৃত্রিম চেষ্টা

0
135

নিউজচট্টগ্রাম:: প্রজেক্ট হাসিমুখ হলো সুবিধা বঞ্চিত শিশুর মুখে ঈদের হাসি ফুটানোর একটা প্রয়াস। এ প্রয়াসে প্রতিজন শিশুকে নিজেদের তহবিল এবং বিভিন্ন ব্যক্তির সহায়তায় ঈদের কাপড় তুলে দেয়া হয়। এ কার্যক্রমটি গত বছর চালু করে “আলোকায়ন চট্টগ্রাম”। প্রথম বছরেই তারা ২০০ শিশুকে ঈদের কাপড় তুলে দেয় তাদের মুখে ফুটে উঠে হাসি।

প্রজেক্ট হাসিমুখ প্রসঙ্গে এর অন্যতম উদ্যেক্তা শিল্পী শাদ ইরশাদ বলতে গিয়ে বলেন আসছে রমজান ২০১৮। আমরা প্রতি বছর ২৫ রমজান কিছু পথশিশুকে ঈদের নতুন জামা কাপড় দিই । একজন শিশুর জন্য ৩০০/- বাজেট।
আমরা কেবল রোজা রেখে ধর্ম আদায় করি। আমরা অনেকেই সারা বছর নফল রোজা করি। কিন্তু ভালমানুষী, শুদ্ধতা, জীবে দয়ার চর্চা তো দূর বেসিকটাই কয়জন করি? ইফতারে এসে সংযমের বাঁধ না ভেঙে প্রয়োজনের অতিরিক্ত দিয়ে কয়েকজন ভুখা মানুষকে কজন খাওয়াই, ঈদের একাধিক দামী জামা না কিনে কটা বস্ত্রহীনকে দেই? রমজান মাস আসে যায়, আমাদের স্মৃতি ভারী হয় সেহরি, ইফতার, ঈদের জামা কেনার বাহুল্য দিয়ে; জীবের প্রতি দয়ায় বা জীবনের সবক্ষেত্রে সংযম আর বিশুদ্ধতার চর্চায় না। ক্লান্ত হতাশ হয়ে চাঁদরাতে ক্ষীণকায় চাঁদটা প্রশ্ন রেখে যায়, ‘জীবনে যাদের হররোজ রোজা ক্ষুধায় আসে না নিদ / মুমূর্ষু সেই কৃষকের ঘরে এসেছে কি আজ ঈদ?আমরা প্রত্যেকে এই ঈদে হাজার হাজার টাকায় ঈদ শপিং করবো। এই হাজার টাকার ফাঁকে যদি মাত্র ২০০/৩০০ টাকা একটু কম খরচ করলে তেমন একটা অসুবিধা হওয়ার কথা নয়।

ঘাট ফরহাদবেগে গত ২০১৭ সালের ঈদে কাপড় বিতরণের একটি ছবি

আপনি চাইলে একটি বা একাধিক শিশুর দায়িত্ব নিতে পারেন। আমরা কি আপনার সহযোগীতার কামনা করতে পারি? আসুন একজন সুবিধা বঞ্চিত শিশুর মুখে হাসি ফুটানোর দায়িত্ব নিই। শান্তি এবং পূণ্যের অংশীদার হই। ২০০/৩০০ টাকার জামা দিয়ে আমরা একেকজন সুবিধাবঞ্চিত শিশুর মুখে হাসি ফুটানোর দায়িত্ব নিই তাহলে একটি সুবিধাবঞ্চিত শিশুও ঈদ খুশি থেকে বঞ্চিত হবেনা। এর চেয়ে খুশির আর আনন্দের বোধহয় আরকিছু হতে পারেনা। আমাদের কত টাকা কত দিকেইনা নষ্ট হয়, তাই আসুন এই রমজানে, এই সহমর্মিতার মাসে একজন শিশুর মুখে হাসি ফুটানোর দায়িত্ব নিই। শান্তি এবং পূণ্যের অংশীদার হই। গতবারের মত এবারো পূণ্যের অংশীদার হওয়ার পালা। আমরা ২৫ রমজান কিছু পথশিশুকে ঈদের নতুন জামা কাপড় দেব ইনশা আল্লাহ। একজন শিশুর জন্য ৩০০/- বাজেট। আপনি চাইলে একটি বা একাধিক শিশুর দায়িত্ব নিতে পারেন। আমরা কি সহযোগীতার হাত বাড়াতে পারি? আশা করি এসব সুবিধাবঞ্চিত শিশুদের মুখে হাসি ফুটাতে এগিয়ে আসবেন। সাথে থাকার জন্য ধন্যাবাদ।

“আলোকায়ন চট্টগ্রাম” এর প্রজেক্ট হাসিমুখ অংশ নিতে পারেন বিকাশ কিম্বা সরাসরি যোগাযোগ করে ০১৯১৯৭১২৫২৬। প্রজেক্ট হাসিমুখ এর মিডিয়া পার্টটনার চট্টগ্রামের প্রথম ডিজিটাল পত্রিকা নিউজচট্টগ্রা২৪।