প্রধান চারটি নদীতে ৪০৮৫ হেক্টর জমিও বসতভিটা বিলীন হতে পারে

0
80

নদী ভাঙনআসছে বর্ষায় ও বর্ষার পরে দেশের প্রধান চারটি নদীতে তিন হাজার ৬০০ হেক্টর জমি, ৪৮৫ হেক্টর বসতভিটা, সাড়ে পাঁচ কিলোমিটার বেড়িবাঁধ, তিন কিলোমিটার জেলা সড়ক এবং ছয় কিলোমিটার উপজেলা ও গ্রামীণ সড়ক বিলীন হওয়ার ঝুঁকিতে আছে।
সেন্টার ফর এনভায়রনমেন্ট অ্যান্ড জিওগ্রাফিক ইনফরমেশন সার্ভিসেসের (সিইজিআইএস) বিজ্ঞানীরা এই পূর্বাভাস দিয়েছেন। গতকাল বৃহস্পতিবার ব্র্যাক সেন্টারে আয়োজিত সেমিনারে যমুনা, গঙ্গা, পদ্মা ও নিম্ন মেঘনা নদী ভাঙনের এই পূর্বাভাস দেওয়া হয়। সেমিনারটি আয়োজন করে বাংলাদেশ পানি উন্নয়ন বোর্ড ও সিজিআইএস।
অনুষ্ঠানে বলা হয়, কৃত্রিম উপগ্রহের পাঠানো তথ্য নিজস্ব পদ্ধতিতে বিশ্লেষণ করে সিইজি-আইএস এই পূর্বাভাস দিয়েছে। এই চার নদীর ৪৮ স্থানের তথ্য বিশ্লেষণ করে পূর্বাভাসে বলা হয়, এ বছর ৬৪টি শিক্ষাপ্রতিষ্ঠান, ৩৪টি মসজিদ, ১৪টি হাটবাজার, আটটি সরকারি কার্যালয়, ছয়টি বেসরকারি প্রতিষ্ঠান ও চারটি স্বাস্থ্যকেন্দ্র নদীগর্ভে বিলীন হওয়ার ঝুঁকিতে আছে।
নদীভাঙন বড় ধরনের আর্থ-সামজিক সমস্যা উল্লেখ করে অনুষ্ঠানের প্রধান অতিথি পানিসম্পদমন্ত্রী আনিসুল ইসলাম মাহমুদ বলেন, নতুন রাস্তা নির্মাণ বা মানুষের পুনর্বাসনের জন্য জায়গা পাওয়া কঠিন হয়ে পড়েছে। টেকসইভাবে এক কিলোমিটার রাস্তা তৈরির জন্য ৫০ কোটি টাকা দরকার, এই টাকা জোগাড় করাও কঠিন।
পানিসম্পদ প্রতিমন্ত্রী মোহাম্মদ নজরুল ইসলাম বলেন, পানি উন্নয়ন বোর্ডের প্রকৌশলীদের কাজের সঙ্গে দেশের জন্য একটু ভালোবাসা যোগ করতে হবে।
কারিগরি অধিবেশনের সভাপতি ও ব্র্যাক বিশ্ববিদ্যালয়ের উপাচার্য অধ্যাপক আইনুন নিশাত বলেন, পূর্বাভাস জানার পর সরকারি প্রতিষ্ঠানগুলো কী পদক্ষেপ নিচ্ছে সেটা জানা খুব দরকার।
মূল বক্তব্য উপস্থাপন করেন সিইজিআইএসের উপনির্বাহী পরিচালক মমিনুল হক সরকার, প্রকৌশলী আনিকা তাহসিম ও রিফাত আনোয়ার। প্রতিষ্ঠানটি গত বছর এপ্রিলে পূর্বাভাসে বলেছিল, যমুনা, গঙ্গা ও পদ্মার দুই পাড়ে ৪১টি স্থানে ভাঙনে দুই হাজার ২০০ হেক্টর জমি, ৩৩৮ হেক্টর বসতভিটা, ৪৮টি শিক্ষাপ্রতিষ্ঠান, চারটি হাট-বাজার, একটি সরকারি কার্যালয়, তিনটি এনজিও কার্যালয় এবং চারটি স্বাস্থ্যকেন্দ্র বিলীনের ঝুঁকিতে আছে।