‘ফাঁসির রশি গলায় দিয়ে পরিবহণ শ্রমিকেরা গাড়ি চালাবে না’

0
117

বাংলাদেশ সড়ক পরিবহন শ্রমিক ফেডারেশন চট্টগ্রাম আঞ্চলিক কমিটির উদ্যোগে আজ ১৭ সেপ্টেম্বর সোমবার বিকালে স্থানীয় মেলা কমিটি সেন্টারে সড়ক, মহাসড়কে নৈরাজ্য বন্ধ, সড়ক দুঘর্টনা প্রতিরোধ, সড়ক পরিবহন শ্রমিকদের বহুমুখি হয়রানি নির্যাতন বন্ধ, সড়ক পরিবহণ আইন ২০১৮ সম্পর্কে সচেতন, সংগঠিত ও করনীয় নির্ধারণের লক্ষ্যে কনভেশন অনুষ্ঠিত হয়। বাংলাদেশ সড়ক পরিবহন শ্রমিক ফেডারেশন চট্টগ্রাম আঞ্চলিক কমিটির সভাপতি মোহাম্মদ মুছার সভাপতিত্বে অনুষ্ঠিত কনভেশনে প্রধান অতিথি ছিলেন- বাংলাদেশ সড়ক পরিবহন শ্রমিক ফেডারেশনের কেন্দ্রিয় সিনিয়র সহ সভাপতি আবদুর রহিম বক্স দুদু। প্রধান বক্তা ছিলেন, বাংলাদেশ সড়ক পরিবহন শ্রমিক ফেডারেশনের পূর্বাঞ্চল ( (চট্টগ্রাম-সিলেট বিভাগ) কমিটির সভাপতি মৃনাল চৌধুরী। বক্তব্য রাখেন, ফেডারেশনের চট্টগ্রাম বিভাগীয় সভাপতি হাজী রুহুল আমিন, আবুল বাহার, রবিউল মাওলা, অলি আহাম্মদ, হাজী আবদুস সবুর, আবু বক্কর ছিদ্দিকী, আবুল কালাম আবু, সফিকুর রহমান, মোঃ হারুন, মোঃ আলী, শেফায়েত আলম বাবু, পয়াশ মজুমদার, নুরুল ইসলাম, জহিরুল ইসলাম, মোঃ ইলিয়াস, নুরুল হক পুতু প্রমুখ নেতৃবৃন্দ। সমগ্র অনুষ্ঠানটি পরিচালনা করেন বাংলাদেশ সড়ক পরিবহন শ্রমিক ফেডারেশন চট্টগ্রাম আঞ্চলিক কমিটির সহ সাধারণ সম্পাদক মোঃ আবদুর রহিম। অনুষ্ঠানে প্রধান অতিথি বাংলাদেশ সড়ক পরিবহন শ্রমিক ফেডারেশনের সিনিয়র সহ সভাপতি আবদুর রহিম বক্স দুদু বলেন-ফাঁশির দন্ডাদেশ সড়ক ও পরিবহণ সেক্টরকে আরও অস্থিতিশীল করে তুলবে। পেশাদার চালকেরা পেশা ছেড়ে দেবে এবং নতুনেরা চালকের পেশা গ্রহণ করবে না। মাননীয় প্রধানমন্ত্রী পরিবহণ শ্রমিকদের জন্য যে সুপারিশ করেছেন তা অবিলম্বে কার্যকর করা হলে সড়ক দুঘর্টনা বহুলাংশে হ্রাস পাবে। তিনি বলেন, সড়ক দুঘর্টনা মামলা অজামিনযোগ্য এবং সাজার মেয়াদ ৫ বৎসর করা হয়েছে। দোষী সাব্যস্থ হওয়ার পূর্বেই তাকে কয়েক বৎসর কারারুদ্ধ থাকতে হবে। অন্যদিকে দুর্ঘটনাকে ক্ষেত্র বিশেষে হত্যার উদ্দেশ্যে দুঘর্টনা মামলা ৩০২ ধারা করা হয়েছে। কিন্তু আসলে নিরপেক্ষ তদন্ত ছাড়া কেবল পুলিশের উপর দায়িত্ব দিয়ে পুলিশের দুর্নীতির সুযোগ বাড়ানো হয়েছে। প্রধান বক্তা ফেডারেশনের পূর্বাঞ্চল কমিটির সভাপতি মৃনাল চৌধুরী বলেন, পরিবহণ শ্রমিকেরা মানুষকে সেবা করছে। তাদের প্রতি এত অমানবিক কেন ? টার্গেট সিষ্টেম, চুক্তি ভিত্তিক, প্রাপ্ত-অপ্রাপ্ত বয়স্ক চালকের হাতে গাড়ী তুলে দিয়েছে মালিকেরা। এতে দুর্ঘটনার জন্য মালিকেরাই দায়ী। তিনি বলেন, ফাঁশির রশি গলায় দিয়ে পরিবহণ শ্রমিকেরা গাড়ি চালাবে না। সভাপতির বক্তব্যে বাংলাদেশ সড়ক পরিবহন শ্রমিক ফেডারেশন চট্টগ্রাম আঞ্চলিক কমিটির সভাপতি মোহাম্মদ মুছা বলেন, শুধুমাত্র আইন করে সড়ক দুঘর্টনা প্রতিরোধ করা সম্ভব নয়। এই জন্য সচেতনতা সৃষ্টি সহ বাস্তবসম্মত পদক্ষেপ গ্রহণ করতে হবে। তিনি বলেন, পরিবহণ শ্রমিকদের বিরুদ্ধে নানা অপপ্রচার ও ষড়যন্ত্র চলছে। এ ব্যাপারে আমাদেরকে ঐক্যবদ্ধ থাকতে হবে। তিনি সড়ক দুঘর্টনার দশটি কারণ চিহিৃত করে তা অবিলম্বে দুরিভুত করার জন্য সংশ্লিষ্ট সকল পক্ষের সমন্বয় করা হলে নিরাপদ সড়ক বাস্তবায়িত হবে বলে মত প্রকাশ করেন। তিনি পেশাদার চালকদের আরও সাবধনতার সহিত গাড়ী চালানো পরামর্শ দেন এবং কোন হঠকারিতে বিভ্রান্ত না হয়ে কেন্দ্রিয় নির্দেশনা বাস্তবায়নে উদাত্ত আহবান জানান। তিনি সড়ক পরিবহন সেক্টরে নৈরাজ্য বন্ধ করে শৃঙ্খলা প্রতিষ্ঠা, সড়ক দুঘর্টনা প্রতিরোধের লক্ষ্যে পরিবহণ সেক্টরে সংশ্লিষ্ট সকল পক্ষকে নিয়ে কার্যকর ফোরাম গঠনের আহবান জানান। কনভেনশনের পক্ষ থেকে বিভিন্ন কর্মসূচি গ্রহণ করা হয়।