ফুলেশ্বরি নদীর অবৈধ স্থাপনা উচ্ছেদে আইনি নোটিশ

0
182

কক্সবাজার প্রতিনিধি। কক্সবাজার সদরের ঈদগাঁও নদী ঘিরে নির্মিত অবৈধ স্থাপনা দখলমুক্ত করতে কক্সবাজার পানি উন্নয়ন বোর্ডের নির্বাহী প্রকৌশলীসহ সংশ্লিষ্ট ১০জনকে আইনি নোটিশ পাঠিয়েছেন ঈদগাঁওর কৃতি সন্তান ব্যারিস্টার নুরুল আজিম। তিনি স্বপ্রণোদিত হয়ে রেজিস্টার্ড ডাকযোগে ১৬ জুন এ নোটিশ দেন। এতে তিনি উল্লেখ করেন যে, ৪১ কিলোমিটার দীর্ঘ ও এভারেজ ১১০ মিটার প্রস্থ বিশিষ্ট ঈদগাঁও নদী অবৈধ দখলদারের কারণে দিনদিন সংকুচিত হয়ে আসছে। নদী হারাচ্ছে তার নাব্যতা। বন্যায় ভাংগনে ক্ষতিগ্রস্ত হচ্ছে ফসলী জমি, দোকানপাট ও ঘরবাড়ি। স্থানীয় জনগণ প্রশাসনের দ্বারস্থ হলেও এর আশানুরূপ সুফল পাচ্ছেন না। তিনি উল্লেখ করেন, তুরাগ নদী বিষয়ে এক রিট পিটিশনের (নং ১৩৯৮৯/১৬) প্রেক্ষিতে মহামান্য হাইকোর্ট বেঞ্চ পর্যবেক্ষণে বলেছেন, সকল নদী, পাহাড়, সাগর, খাল ও অন্যান্য জলাধারের ট্রাস্টি হিসেবে সরকারকে কাজ করতে হবে এবং জাতীয় নদী সুরক্ষা কমিশন এক্ষেত্রে প্রয়োজনীয় পদক্ষেপ নেবে। গত ৩১ জানুয়ারী ২০১৯ খ্রিস্টাব্দের ওই রায়ের ফলে সরকারের সংশ্লিষ্ট প্রশাসন ইতোমধ্যে ঢাকাসহ দেশের বিভিন্ন জায়গায় নদীর অবৈধ স্থাপনা উচ্ছেদ করে অবমুক্ত করেছেন। কিন্তু ঈদগাঁও নদী অবৈধ দখলদারীত্বে দিনদিন সংকুচিত হলেও সংশ্লিষ্ট স্থানীয় প্রশাসন এ বিষয়ে এখনো কার্যকর কোন পদক্ষেপ গ্রহণ করেন নি। তাই এ নদীর সুরক্ষাসহ এর অবৈধ স্থাপনা উচ্ছেদে প্রয়োজনীয় পদক্ষেপ নিতে তিনি এ ডিমান্ডিং জাস্টিস নোটিশ প্রেরণ করেন। যাদের নামে নোটিশটি প্রেরণ করা হয়েছে তাদের মধ্যে রয়েছেন জাতীয় নদী সুরক্ষা কমিশনের চেয়ারম্যান, বাংলাদেশ পানি উন্নয়ন বোর্ডের মহাপরিচালক, পরিবেশ অধিদপ্তরের মহাপরিচালক, বাংলাদেশ পানি উন্নয়ন বোর্ডের দক্ষিণ-পূর্ব জোন (চট্টগ্রাম) এর প্রধান নির্বাহী প্রকৌশলী, কক্সবাজারের জেলা প্রশাসক, কক্সবাজারের পুলিশ সুপার, বাংলাদেশ পানি উন্নয়ন বোর্ডের কক্সবাজার অঞ্চলের নির্বাহী প্রকৌশলী, কক্সবাজার পরিবেশ অধিদপ্তরের সহকারী পরিচালক, কক্সবাজার সদর উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা ও কক্সবাজার মডেল থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা। তিনি সংশ্লিষ্টদের পত্র প্রাপ্তির ৭ দিনের মধ্যে উক্ত রায়ের আলোকে এ নদীটির সুরক্ষা ও তার অবৈধ দখলদারদের উচ্ছেদে প্রয়োজনীয় ব্যবস্থা নিতে অনুরোধ জানান। অন্যথায় তিনি তাদের বিরুদ্ধে আইনি ব্যবস্থা নেয়ার কথা উল্লেখ করেন।