বঙ্গবন্ধুর ছবি ফেলে পদবঞ্চিতদের কার্যালয় ভাঙচুর

0
89

কমিটিতে স্থান না পাওয়ায় রাঙ্গামাটি জেলা ছাত্রলীগের পদবঞ্চিত বিক্ষুদ্ধ নেতাকর্মীরা দলীয় কার্যালয় ভাঙচুরের পাশাপাশি চট্টগ্রাম- রাঙ্গামাটি সড়ক অবরোধ করে বিক্ষোভ করেছে। এতে কার্যালয়ের দেয়ালে থাকা বঙ্গবন্ধুর ছবিসহ প্রধানমন্ত্রী ও সজীব ওয়াজেদ জয়ের ছবি মাটিতে এলোপাথাড়ি পড়ে থাকতে দেখা গেছে। পরে ঘোষিত কমিটির নেতাকর্মীরা লাঠিসোটা নিয়ে পদবঞ্চিত নেতা ও তাদের সমর্থকদের ধাওয়া দিয়ে কার্যালয় দখলে নেয়।

বুধবার সকাল সাড়ে ১১টার দিকে এ ঘটনা ঘটে।

বুধবার কমিটি ঘোষণার পর থেকেই নেতাকর্মীরা দু’গ্রুপে ভাগ হয়ে যায়। রিজার্ভ বাজার ও তবলছড়ি এলাকার নেতাকর্মীদের মধ্যেও উত্তেজনা ছড়িয়ে পড়ে। বর্তমানে  রাঙ্গামাটি শহরজুড়ে থমথমে অবস্থা বিরাজ করছে। যে কোনো সময় সংঘর্ষের ঘটনা ঘটতে পারে বলে আশঙ্কা করা হচ্ছে। শহরের গুরুত্বপূর্ণ স্থানে অতিরিক্ত পুলিশ মোতায়েন করা হয়েছে।

পুলিশ ও দলীয় সূত্রে জানা যায়, বুধবার সকাল সাড়ে ১০টার দিকে

রাঙ্গামাটি ছাত্রলীগের নতুন কমিটি ঘোষণা করেন জেলা আওয়ামী লীগের সাধারণ সম্পাদক হাজী মো. মুছা মাতব্বর। এরপর পদ বঞ্চিত কয়েকজন নেতা ও তাদের সমর্থকরা জেলা কার্যালয়ে জড়ো হতে থাকে। তারা দলীয় কার্যালয়ের আসবাবপত্র ও জানালার কাঁচ ভাঙচুর করে এবং দলীয় কার্যালয়ের সামনে চট্টগ্রাম- রাঙ্গামাটি সড়ক অবরোধ করে রাখে। বন্ধ হয়ে যায় দু’পাশের যানচলাচল। এ সময় আশপাশে আতঙ্ক ছড়িয়ে পড়লে দোকানপাট বন্ধ হয়ে যায়। ভাঙচুর চলাকালে জেলা আওয়ামী লীগের সাধারণ সম্পাদক দলীয় কার্যালয়ের ভেতরে অবরুদ্ধ ছিলেন।

দলীয় কার্যালয়ের বাইরে বিক্ষুদ্ধ নেতাকর্মীরা নতুন কমিটি ও সিনিয়র কয়েক নেতার বিরুদ্ধে শ্লোগান দেয়। তারা নতুন কমিটির সভাপতির বিরুদ্ধে জামায়াত-বিএনপির সাথে সংশ্লিষ্টতার অভিযোগ আনেন।

পরে নতুন কমিটির সমর্থকরা লাটিসোটা নিয়ে এগিয়ে এসে ধাওয়া দিলে পদ বঞ্চিতদের সমর্থকরা দলীয় কার্যালয় থেকে সরে যায়। পরে নতুন কমিটির সমর্থকরা দলীয় কার্যালয় দখলে নেয়।

এ সময় দলীয় কার্যালয়ে জেলা আওয়ামী লীগের সাধারণ সম্পাদক হাজী মো. মুছা মাতব্বর, জেলা যুবলীগের সভাপতি আকবর হোসেন চৌধুরী, সাধারণ সম্পাদক নুর মো. কাজলসহ সিনিয়র কয়েকজন নেতা উপস্থিত ছিলেন। পরিস্থিতি শান্ত হলে জেলা আওয়ামী লীগের সাধারণ সম্পাদক দলীয় কার্যালয় ছেড়ে বাসায় ফিরে যান।

এদিকে দলীয় কার্যালয় ভাঙচুর ও পাল্টা ধাওয়ার সময় পুলিশকে নিরব দর্শকের ভুমিকা পালন করতে দেখা গেছে। ভাঙচুরের ছবি তোলার সময় উত্তেজিত কয়েকজন সাংবাদিকদের উপর তেড়ে আসেন।

অতিরিক্ত পুলিশ সুপার (সদর সার্কেল) সিআর দত্ত পাল বলেন, ‘ছাত্রলীগের দু’গ্রুপের মধ্যে কমিটি গঠন নিয়ে উত্তেজনা দেখা দেয়। আমরা পরিস্থিতি নিয়ন্ত্রণে সতর্ক আছি।’

উল্লেখ্য, মঙ্গলবার  রাঙ্গামাটি জেলা ছাত্রলীগের সম্মেলন অনুষ্ঠিত হলেও কমিটি ঘোষণা করা হয়নি। বুধবার জেলা আওয়ামী লীগের সিদ্ধান্ত মতে নতুন কমিটির সভাপতি হিসেবে আব্দুল জব্বার সুজন ও সাধারণ সম্পাদক হিসেবে প্রকাশ চাকমার নাম ঘোষণা করা হয়।