‘‘বর্তমান সরকার উন্নয়নের সরকার, ব্যবসাবান্ধব সরকার’’

0
89

ব্যবসাবান্ধব সরকারআন্তর্জাতিক বাণিজ্য আগের চেয়ে অনেক বেশি চ্যালেঞ্জিং উল্লেখ করে প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা বলেছেন, বাঙালি জাতি যে কোনো চ্যালেঞ্জ মোকাবেলা করতে পারে।

তিনি বলেন, আমরা যখন ক্ষমতায় আসি তখন বিশ্ব অর্থনীতি ছিল মন্দা। সবাই বলেছিল রফতানি বাণিজ্য কমবে। আমি বলেছিলাম কমবে না। বিরোধী দলের জ্বালাও-পোড়াও কর্মসূচির মধ্যেও আমাদের রফতানি বেড়েছে। পদ্মাসেতু ছিল আমাদের বড় চ্যালেঞ্জ। সেই চ্যালেঞ্জ মোকাবেলা করে পদ্মাসেতু নির্মাণ করছি।

শনিবার (৩০ জানুয়ারি) বিকেলে নগরীর আগ্রাবাদে দেশের একমাত্র ওয়ার্ল্ড ট্রেড সেন্টার উদ্বোধন ও চট্টগ্রাম চেম্বারের শতবর্ষ উপদযাপন উপলক্ষে আয়োজিত অনুষ্ঠানে প্রধান অতিথির বক্তব্যে এসব কথা বলেন প্রধানমন্ত্রী।

বর্তমানে ৭২৯টি পণ্য ১৯২টি দেশে রফতানি হচ্ছে জানিয়ে শেখ হাসিনা বলেন, ২০০৫-২০০৬ অর্থবছরে রফতানি আয় ছিল ১০ দশমিক ৫৩ বিলিয়ন মার্কিন ডলার। বর্তমানে ৩২ দশমিক ২ বিলিয়ন মার্কিন ডলারে উন্নীত হয়েছে। রিজার্ভ পৌঁছেছে ২৭ বিলিয়ন মার্কিন ডলারের উপরে।

এ সময় চ্যালেঞ্জ মোকাবেলা করে বাণিজ্য সম্প্রসারণ ও নতুন বাজার সৃষ্টি করতে সরকারের পাশাপাশি ব্যবসায়ীদের এগিয়ে আসার আহ্বান জানান প্রধানমন্ত্রী।

দেশীয় ও আন্তর্জাতিক ব্যবসা-বাণিজ্যের ক্ষেত্রে নিজেদের পণ্য ও সেবার মান এবং উৎপাদনশীলতা বাড়ানোর তাগিদ দিয়ে প্রধানমন্ত্রী ব্যবসায়ীদের উদ্দেশ্যে বলেন, পণ্যের ব্রান্ডিং ও পণ্য আকর্ষণীয় করার দিকে মনোযোগ দিতে হবে। রফতানি বহুমুখী করতে নতুন নতুন বাজার খোঁজে বের করে কোন দেশে কোন পণ্যের চাহিদা বেশি তা খোঁজে বের করতে হবে।

মাথাপিছু আয় বাড়াতে সরকার কাজ করে যাচ্ছে উল্লেখ করে প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা বলেন, গ্রামীণ অর্থনীতির উন্নয়ন ঘটাতে চাই। এতে মানুষের ক্রয় ক্ষমতা বাড়বে। ফলে দেশের ভেতরে বাজার সৃষ্টি হবে। এটা অর্থনীতির সমৃদ্ধির জন্য অত্যন্ত গুরুত্বপূর্ণ।

‘বর্তমান সরকার ব্যবসাবান্ধব। দেশের ব্যবসা-বাণিজ্যের উন্নয়নে সব রকমের সহযোগিতা দিয়ে যাচ্ছে। তা আগামীতেও অব্যাহত থাকবে।’

যোগাযোগ ও তথ্য প্রযুক্তি উন্নত করতে সরকার অঙ্গীকারবদ্ধ উল্লেখ করে প্রধানমন্ত্রী বলেন, আজ সবার হাতে মোবাইল, থ্রিজি চালু হয়েছে। শিগগির ফোরজি চালু হবে। গ্রামে বসে সারা বিশ্বের সঙ্গে যোগাযোগ করতে পারছে। ভারত-ভুটান-নেপালের সঙ্গে যোগাযোগ ব্যবস্থা সহজ করা হয়েছে। ৫ হাজার ২৭৫টি ডিজিটাল সেন্টারের মাধ্যমে ২০০ ধরনের সেবা দেওয়া হচ্ছে।

‘বাঙালি জাতিকে এখন আর কারো কাছে হাত পাততে হয় না’ এমন মন্তব্য করে বঙ্গবন্ধু কন্যা বলেন,‘আমরা এখন নিজেদের ভাগ্য নিজেরাই পরিবর্তন করছি।’

উদ্বোধনী অনুষ্ঠানে অর্থমন্ত্রী আবুল মাল আবদুল মুহিত, বাণিজ্যমন্ত্রী তোফায়েল আহমেদ, সংসদ সদস্য ও চট্টগ্রাম চেম্বারের সাবেক সভাপতি এমএ লতিফ, চট্টগ্রাম চেম্বার সভাপতি মাহবুবুল আলম প্রমুখ বক্তব্য দেন।

অনুষ্ঠানে পানি সম্পদ মন্ত্রী ব্যারিস্টার আনিসুল ইসলাম মাহমুদ চৌধুরী, ভূমি প্রতিমন্ত্রী সাইফুজ্জামান চৌধুরী জাবেদ, চট্টগ্রাম সিটি করপোরেশনের মেয়র আ জ ম নাছির উদ্দিন, চট্টগ্রাম মহানগর আওয়ামী লীগের সভাপতি ও সাবেক মেয়র এবিএম মহিউদ্দিন চৌধুরী, দেশি-বিদেশি ব্যবসায়ী নেতারা উপস্থিত ছিলেন।