বর্ষার বন্দনা করেছে বাচিক শিল্প চর্চা কেন্দ্র ‘তারুণ্যের উচ্ছ্বাস’

0
136

রোববার বিকেল সাড়ে ৫টায় ঢ‍াক বাজিয়ে বর্ষাবরণের উদ্বোধন করেন কবি নির্মলেন্দু গুণ। উদ্বোধনের পর বক্তব্য রাখেন ভারতীয় সহকারী হাই কমিশনার সোমনাথ হালদার। এরপর শুরু হয় উদ্বোধনী বর্ষা আবাহন পর্ব।

বর্ষার বন্দনা করেছে বাচিক শিল্প চর্চা কেন্দ্র ‘তারুণ্যের উচ্ছ্বাস’1গান, কবিতায় বাঙালির প্রিয় ঋতু বর্ষার বন্দনা করেছে বাচিক শিল্প চর্চা কেন্দ্র ‘তারুণ্যের উচ্ছ্বাস’। আষাঢ়ের প্রথম দিনে নগরীর শিল্পকলা একাডেমির মুক্তমঞ্চে বর্ষাবরণের আয়োজনে সহযোগিতা দিয়েছে ভারতীয় সহকারী হাই কমিশন।

এ পর্বে কথামালা, গান ও কবিতায় বর্ষা আবাহন করেন কবি নির্মলেন্দু গুণ, আবৃত্তিশিল্পী রণজিৎ রক্ষিত এবং সঙ্গীতশিল্পী শীলা মোমেন।

কবি নির্মলেন্দু গুণ কথামালা ও তাঁর কয়েকটি বর্ষার কবিতা পাঠ করেন। আবৃত্তিশিল্পী রণজিৎ রক্ষিতের পরিবেশনায় ছিল রবীন্দ্রনাথ ঠাকুরের বর্ষামঙ্গল কবিতাটি। এরপর সঙ্গীতশিল্পী শ্রেয়সী রায় রবীন্দ্রনাথের গান পরিবেশনের মধ্য দিয়ে বর্ষার আবাহন করেন।

অনুষ্ঠানে দলীয় সঙ্গীতে রক্তকরবী এবং অভ্যূদয় সঙ্গীত অঙ্গণের পরিবেশনায় ছিল মোর ভাবনারে কি হাওয়ার মাতালও, যায় দিন শ্রাবণও দিন যায় সহ বেশ কয়েকটি গান।

এরপর একক আবৃত্তি পরিবেশন করেন আবৃত্তিশিল্পী শিমুল মুস্তাফা। তিনি প্রায় দশটি বর্ষার কবিতা আবৃত্তি করেন। এছাড়া আবৃত্তি করেন আবৃত্তিশিল্পী মিলি চৌধুরী, মো.মুজাহিদুল ইসলাম এবং শ্রাবণী দাশগুপ্তা।

তারুণ্যের উচ্ছ্বাস বড়দের বিভাগ এবং শিশু বিভাগ পরিবেশন করে ‘নববর্ষা’ এবং ‘বৃষ্টি পড়ে টাপুর টুপুর’ শিরোনামে দুইটি বৃন্দ আবৃত্তি। সঙ্গীত পরিবেশন করেন মিঠু তলাপাত্র, বৈশাখী নাথ এবং আল তুষি।

এছাড়া আবৃত্তিশিল্পী অঞ্চল চৌধুরীর কন্ঠে বেশ কয়েকটি বর্ষার কবিতার কোলাজের সাথে নৃত্য পরিবেশন করেন নৃত্যশিল্পী তিলোত্তমা সেনগুপ্তা। দ্বৈত নৃত্যে ছিলেন রিয়াংকা দাশ ও বিথী সেন। অনুষ্ঠান উপস্থাপনায় ছিলেন সাইদুর রহমান এবং সেঁজুতি দে।/bn/299285.html#sthash.AeLWHSHx.dpuf