বাড়ি আমাদের চট্টগ্রাম বাঁশখালীর ফুটি

বাঁশখালীর ফুটি

0
216

ফুটি, বাকি, বাঙ্গী বা বাঙ্গি বা কাঁকুড় অনেক নাম আছে যার। ভোরের আলো ফুটতেই কাঁধে বাঙ্গির ভার নিয়ে হাজির চাষি। ক্রেতার ভিড়ে গমগম করছে হাট। সকাল সাত-আটটায় থেকে এই বাজারে বিক্রেতারা হাজির হন। শহর থেকে আসা পাইকারি ব্যবসায়ীরা খাঁচিভর্তি বাঙ্গি কিনে পিকআপ বোঝাই করে ফিরছেন ফিরতি পথে।এ ছাড়া অনেকে গাড়ি থামিয়ে গন্তব্যে যাওয়ার সময় এবং আত্বীয় স্বজনদের আপ্যায়ন করার জন্য এখান থেকে বাকি কিনে নিয়ে যায়। এভাবে চলে সন্ধ্যা পর্যন্ত। তৈলারদ্বীপ সেতু-সংযোগ সড়কের বাঁশখালী পুকুরিয়াতে বসে জমজমাট এ বাঙ্গির হাট।
চাষিরা জানান, এটি কোনো স্থায়ী বাজার নয়।এলাকার চাষিদের মাধ্যমে এই বাজার হয়ে উঠেছে।

এখানকার বিক্রেতারা বেশির ভাগ স্থানীয় চাষি। তাঁরা নিজেদের খেতের বাঙ্গি এনে এখানে বিক্রি করেন। বাঙ্গির পাশাপাশি মাঝেমধ্যে তরমুজ বিক্রি হয়। হাট থাকবে বাঙ্গির মৌসুম পর্যন্ত।এখানে পাইকারি ও খুচরা বাঙ্গি বিক্রয় হয়। প্রতিটা বাকি ৩০ থেকে ২০০ টাকা পর্যন্ত বিক্রয় হয়।

বাঙ্গিকে স্থানীয় ভাষায় হরমুজ বা বাকী নামে চেনাজানা বেশ।

স্থানীয় চাষি ও বাঙ্গিবিক্রেতা মো.মারুফ হোসেন বলেন বলেন, ‘আমি এবার ৪০ শতক জমিতে খেত করেছি।এই বাজারে কক্সবাজার, পেকুয়া,চকরিয়া এবং শহর থেকে ক্রেতারা আসায় এখানকার বাকি ব্যবসা জমে উঠেছে। কয়েক দিন ধরে এক-দুই ভার বাঙ্গি প্রতি ভার বিক্রি হয় এক হাজার ৬০০ থেকে দুই হাজার টাকায়।’
জানা যায়, চট্টগ্রাম শহরের রেয়াজউদ্দিন বাজার, ফিরিঙ্গি বাজার থেকেও অনেক পাইকারি ব্যবসায়ী প্রতিদিন এ হাট থেকে বাঙ্গি তরমুজ কিনে নিয়ে যান। ফলে দিন দিন হাটের পরিধি বিস্তৃত হচ্ছে। খুচরা পর্যায়েও এখানে বাঙ্গি বিক্রি হয়।শহর থেকে আসা এক ব্যবসায়ী বলেন ‘এখানে তাজা ও ভালো মানের ফল পাওয়া যায়, দামও কম। তাই সপ্তাহের তিন দিন এখানে এসে বাঙ্গি কিনে নিয়ে যাই। কয়েক বছর ধরে এভাবে ব্যবসা চালিয়ে আসছি।’