বাঁশখালী বিদ্যু‍ৎ কেন্দ্র স্থাপন নিয়ে ষড়যন্ত্র বন্ধের জন্য মানববন্ধন

0
77

বাঁশখালীতে কয়লা বিদ্যু‍ৎ কেন্দ্র স্থাপন নিয়ে ষড়যন্ত্র বন্ধের জন্য এক মাসের আলটিমেটাম দিয়েছে সচেতন নাগরিক ফোরাম নামে একটি সংগঠন।  অন্যথায় রাজপথের আন্দোলনে যাবার ঘোষণা দিয়ে তারা বলেছেন, আমরা অন্ধকার নয় আলো চাই, আরও আলো চাই।

শুক্রবার (১৫ ডিসেম্বর) বিকেলে চট্টগ্রাম প্রেসক্লাবের সামনে আয়োজিত মানববন্ধনে তারা এসব কথা বলেছেন।

সচেতন নাগরিক ফোরামের সভাপতি রাজনীতিক জসীম উদ্দিন বাবুল বলেন, চট্টগ্রাম নিয়ে বড় ধরনের ষড়যন্ত্র হচ্ছে।  সরকার কর্ণফুলীতে টানেল, মহেশখালীতে এলএনজি টার্মিনাল, বাঁশখালীতে কয়লা বিদ্যুৎ কেন্দ্রসহ বড় বড় প্রকল্প নিয়ে চট্টগ্রামকে যখন উন্নয়নের মহাসড়কে তুলে দিয়েছেন তখন একশ্রেণীর ষড়যন্ত্রকারী সেটা বানচালে মাঠে নেমেছে।  যারা উন্নয়নের বিরুদ্ধে ষড়যন্ত্র করছে তারা দেশদ্রোহী।  ষড়যন্ত্রকারীদের কিভাবে প্রতিহত করতে হয় তা আমাদের জানা আছে।

‘পটিয়ার কৃতী সন্তান সাইফুল আলম মাসুদ বাঁশখালীতে কয়লা বিদ্যুৎ কেন্দ্র নির্মাণ করছেন।  কিছু দেশদ্রোহী বাঁশখালীর সরলপ্রাণ মানুষকে ভুল বুঝিয়ে ক্ষ্যাপিয়ে তুলেছিল।  এর ফলে অনাকাঙ্ক্ষিত ঘটনা ঘটেছে। ’

‘উন্নয়ন দেখে কিছু লোকের মাথা খারাপ হয়ে গেছে।  আমরা তাদের সতর্ক করে দিয়ে বলতে চাই, উন্নয়নের বিরুদ্ধে ষড়যন্ত্র বন্ধ করুন।  এক মাসের মধ্যেও যদি কয়লা বিদ্যুৎ কেন্দ্রের বিরুদ্ধে ষড়যন্ত্র বন্ধ না করেন তাহলে রাজপথে লড়াই হবে।  আমরা সার্বক্ষণিকভাবে রাজপথে থাকব। ’ বলেন জসীম উদ্দিন বাবুল।

মানববন্ধনে আরও বক্তব্য রাখেন রাজনীতিবিদ অমূল্য ভূষণ বড়ুয়া, সাবেক ছাত্রনেতা আমিনুল ইসলাম আমিন, সমাজসেবক গাজী আলমগীর, মফিজুর রহমান ও মঈনুল আলম খান।  নগরীর বিভিন্ন এলাকা থেকে লোকজন ব্যানার-প্ল্যাকার্ড হাতে নিয়ে মানববন্ধনে যোগ দেন।

গত ৪ এপ্রিল বাঁশখালীর গণ্ডামারায় কয়লা বিদ্যুৎকেন্দ্র বিরোধী পক্ষের লোকজনের সঙ্গে পক্ষের লোকজন ও পুলিশের সংঘর্ষে চারজন নিহত ও কমপক্ষে ১৯ জন আহত হয়।

এ ঘটনায় তিনটি মামলায় ৬৩ জনের নাম উল্লেখ করে অজ্ঞাতনামা ছয় হাজার জনকে আসামি করা হয়।

ঘটনার পর থেকে গণ্ডামারায় উত্তেজনা বিরাজ করলেও বর্তমানে পরিস্থিতি শান্ত আছে।  প্রতিদিন সভা-সমাবেশসহ বিভিন্ন কর্মসূচীর মধ্য দিয়ে সেখানে বিদ্যুৎ কেন্দ্রের পক্ষে অবস্থান জোরালো হচ্ছে।