বাংলাদেশসহ ৫দেশের আন্তঃসড়ক চালু হচ্ছে ১৫ ডিসেম্বর

0
110

আগামী ১৫ ডিসেম্বরের মধ্যেই থাইল্যান্ড, নেপাল, বাংলাদেশ, মিয়ানমার আর ভুটানের মধ্যে আন্তঃসড়ক যোগাযোগ ব্যবস্থা চালু হচ্ছে।
বাংলাদেশসহ ৫দেশের আন্তঃসড়ক চালু হচ্ছে ১৫ ডিসেম্বর
সোমবার ভারতীয় সংবাদমাধ্যম টাইমস অব ইন্ডিয়া এক প্রতিবেদনে এ তথ্য জানিয়েছে।

ভারতীয় যোগাযোগ মন্ত্রণালয় সূত্র জানিয়েছে, আগামী অক্টোবর-নভেম্বর মাসের মধ্যে বাংলাদেশ, ভুটান, ভারত ও নেপালের (বিবিআইএন) মধ্যে পরীক্ষামূলকভাবে গাড়ি চলাচল শুরু হবে। ভারত, মিয়ানমার ও থাইল্যান্ডের মধ্যে প্রথম দফায় পরীক্ষামূলকভাবে গাড়ি চলাচল শুরু হবে চলতি বছরের শেষ নাগাদ।

মন্ত্রণালয়ের এক কর্মকর্তা বলেছেন, ‘বিবিআইএন দেশগুলোর প্রতিনিধিরা যান চলাচলের জন্য ১৩টি রুট চিহ্নিত করেছেন। এগুলোর মধ্যে ভারত ও নেপালের মধ্যে সর্বোচ্চ পাঁচটি রুট রয়েছে। ভারত হয়ে বাংলাদেশ ও নেপালের মধ্যে যান চলাচলের জন্য দুটি করিডরের অনুমোদন দেওয়া হয়েছে। এছাড়া ভারত হয়ে বাংলাদেশ ও ভুটানের মধ্যে যান চলাচলের জন্য দুটি করিডরের অনুমোদন দেওয়া হয়েছে।

বিবিআইএন দেশগুলো ইতিমধ্যে রুটগুলিতে ফাস্ট ট্র্যাকে বিরতিহীন গাড়ি চলাচলের জন্য চুক্তি স্বাক্ষর করেছে। ভারত, মিয়ানমার ও থাইল্যান্ডের মধ্যে এ ধরনের গাড়ি চলাচলের জন্য জানুয়ারিতে চূড়ান্ত প্রটোকল স্বাক্ষরিত হবে। গত সপ্তাহে সরকারি শীর্ষ পর্যায়ের কর্মকর্তাদের একটি বৈঠকে এ সিদ্ধান্ত হয়েছে।

আগামী নভেম্বরে বিবিআইএন দেশগুলোর ভেতর দিয়ে গাড়ি শোভাযাত্রা অনুষ্ঠিত হতে যাচ্ছে। ধারণা করা হচ্ছে, এ শোভাযাত্রার মাধ্যমে এসব দেশের মধ্যে ব্যবসায়িক বন্ধন আরো দৃঢ় হবে।

সরকারি সূত্র জানিয়েছে, ভারত ইতিমধ্যে যাত্রীবাহী যান চলাচলের জন্য একটি খসড়া প্রটোকল উপস্থাপন করেছে। প্রকল্পটিকে এগিয়ে নিতে সদস্য দেশগুলো এতে তাদের মতামত অর্ন্তভূক্ত করতে পারবে।

এ ব্যাপারে মন্ত্রণালয়ের ওই কর্মকর্তা বলেন, ‘যাত্রীবাহী যান চলাচলের জন্য সদস্য দেশগুলো দ্রুত (সম্ভবত বিবিআইএন গাড়ি শোভাযাত্রার আয়োজনে) একটি প্রটোকলে স্বাক্ষরের ব্যাপারে সম্মত হয়েছে।

বিবিআইএন দেশগুলোর মধ্যে জিপিএস ডিভাইস সংযুক্ত গাড়ি যাতায়াতের জন্য ইতিমধ্যে দুটি রুট চিহ্নিত করা হয়েছে। এর মধ্যে একটি হচ্ছে বাংলাদেশ হয়ে কলকাতা থেকে আগরতলা যাওয়ার রুট।

কর্মকর্তাদের মতে, এই পদ্ধতিতে একটি দেশের জিপিএস ডিভাইসযুক্ত গাড়ি যখন আরেকটি দেশের সীমানায় প্রবেশ করবে, তখন সেটি যাতে নির্ধারিত রুটেই চলাচল করে তা নিশ্চিত করা যাবে।