বাংলাদেশের তরুণরা এখন উন্নত জীবনের স্বপ্ন দেখে: আ জ ম নাছির

0
105

কবি ও সাংবাদিক কামরুল হাসান বাদলের লিখিত “শেখ হাসিনার সরকার আবার কেন দরকার” পুস্তিকাটির মোড়ক উম্মোচন করেন। মুক্তিযুদ্ধের চেতনায় সম্মিলিত লেখক জোট পুস্তিকাটি প্রকাশ করেছে।

চট্টগ্রাম সিটি কর্পোরেশনের মেয়র আলহাজ্ব আ জ ম নাছির উদ্দীন আজ বৃহষ্পতিবার (২৭ ডিসেম্বর) বিকেলে নগরভবনস্থ তাঁর কার্যালয়ে এ পুস্তিকাটির মোড়ক উম্মোচন করেন।

মোড়ক উম্মোচনকালে মহানগর আওয়ামী লীগের সাংগঠনিক সম্পাদক নোমান আল মাহমুদ কার্যনির্বাহী সদস্য মোহাম্মদ হোসেন হিরন, হাজী বেলাল আহমদ, আওয়ামী লীগ নেতা মোহাম্মদ ইসা, রায়হান ইউসুফ, কেন্দ্রীয় যুবলীগের সাবেক কার্যনির্বাহী সদস্য আবদুল মান্নান ফেরদৌস, ফারুক আহমেদ,নগর যুবলীগের আহবায়ক কমিটির সদস্য ও ফিরিঙ্গী বাজার ওয়ার্ড কাউন্সিলর হাসান মুরাদ বিপ্লব,জামাল খান ওয়ার্ড আওয়ামীলীগ সহসভাপতি হাজী মোহাম্মদ সাহাব উদ্দিন, বঙ্গবন্ধু সাংস্কৃতিক জোট চট্টগ্রাম জেলার সাধারন সম্পাদক খোরশেদ আলম, মুক্তিযুদ্ধের চেতনায় সম্মিলিত লেখক জোটের “শেখ হাসিনার সরকার আবার কেন দরকার” বইটির প্রকাশক ও আহবায়ক আ ফ ম মুদাচ্ছের আলী, সমন্বয়ক আহমেদ মুনছুর, রাজীব রাহুল, কেন্দ্রীয় ছাত্রলীগের সাবেক সহ সম্পাদক আবদুল্লাহ আল মামুন, ইয়াছির আরাফাত প্রমুখ উপস্থিত ছিলেন ।

মোড়ক উম্মোচনকালে সিটি মেয়র আ জ ম নাছির উদ্দীন বলেন, দশ বছর আগে বাংলাদেশের শতকরা ৯০ ভাগ তরুণের কোন উন্নত জীবনের স্বপ্ন দেখার সুযোগ ছিল না। কারণ ভোরে ঘুম থেকে উঠেই দেখত তাদের পরিবারের মূল খাবার চাল,ডাল, মাছ এগুলো জোটাতে পারছে না। পরিবার যেখানে ন্যুনতম প্রয়োজনীয় খাবার জোগাড় করতে পারছে না সেখানে উন্নত জীবনের স্বপ্ন দেখা বিলাসিতা মাত্র। গত ১০ বছরে বাংলাদেশের এ অবস্থা বদলে গেছে। এসময় তিনি আরো বলেন স্বপ্ন দেখা যায় আগামী ১০ বছরের ভেতর বাংলাদেশ এশিয়ার অন্যতম অর্থনীতির একটি দেশ হবে। বাস্তবে লী কুয়ান যেমন সিঙ্গাপুরকে পরিবর্তন করে দিয়ে গেছেন, রাজা ভূমিবল যেমন থাইল্যান্ডেকে পরিবর্তন করে দিয়ে গেছেন, মাহাথির যেমন পরিবর্তন করেছেন মালয়েশিয়াকে; শেখ হাসিানাও তেমনি পরিবর্তন করে চলেছেন বাংলাদেশকে। আর শেখ হাসিনা যে বাংলাদেশকে সত্যি সত্যি পরিবর্তন করেছেন তার সুফল মানুষ যেমন বুঝতে পারছে তেমনি আরেকটি সত্য হল তাঁর বিরোধীরা কেউ টু শব্দও করতে পারছে না। উন্নয়নের কর্মকা- নিয়ে আজ গভীরভাবে লক্ষ্য করলে দেখা যাবে, শেখ হাসিনার বিরোধীদের বক্তব্য দুটো। এক তাদের নেতাকে জেলে রাখা হয়েছে। দুই তাদের কর্মীদের গ্রেফতার করা হচ্ছে এবং তাদের এক নেতা বিদেশে পলাতক জীবন কাটাচ্ছে, তাকে দেশে ফেরাতে হবে। এখানে বাস্তবতা হলো তাদের নেতা জেল খাটছেন রাষ্ট্রিয় ক্ষমতায় থেকে দুর্নীতি করার অপরাধে। আর তাদের কর্মী যাদেরকে বলা হচ্ছে তাদের সকলের বিরুদ্ধে সুনির্দিষ্ট অভিযোগ রয়েছে, পেট্টোল বোমা হামলা থেকে নানা ধরনের সন্ত্রাসের এদেশের তরুণ সমাজ জানে ২০০১,২০১২, ১৩ ও ১৫ সালে সারা দেশে কী ব্যাপক সন্ত্রাস করেছিল ঐ দল ও জোটটি।ে যে লাখ লাখ সন্ত্রাস ঘটেলিল সে হিসেবে কিন্তু মামলার সংখ্যা অনেক কম। শুধু তাই নয় যাদের নেতৃত্বে পেট্টোল বোমা সন্ত্রাস হয়েছিল সেসব নেতা অর্থাৎ ফখরুল রিজভীরা নির্বিঘেœ আছেন। নির্বাচণ করছেন। দলের নির্বাচনী কাজ পরিচালনা করছেন। এখানেও সরকারের নীতি ও বিশ্লেষন করলে দেখা যাচ্ছে। উন্নয়নের স্বার্থে তারা দেশের অনেক অন্যায়কে ক্ষমা সুন্দর দৃষ্টিতে দেখছে। আর এই ফখরুল রিজভী প্রমুখ বলতে পারছেন না দেশের উন্নয়ন হয়নি।