বাংলাদেশ থেকে জঙ্গি হামলার আশঙ্কা

0
59

আইএসের সাথে সম্পর্কিত বাংলাদেশের যেকোনো জঙ্গি গোষ্ঠির সম্ভাব্য হামলার ব্যাপারে সতর্ক রয়েছে প্রতিবেশি দেশ ভারত। দেশটির সাথে সীমান্তবর্তী পশ্চিমবঙ্গ কিংবা আসামে জামায়াতুল মুজাহিদিন বাংলাদেশকে (জেএমবি) দিয়ে ইসলামিক স্টেট (আইএস) হামলার ঘটনা ঘটাতে পারে বলে এক প্রতিবেদনে জানিয়েছে ভারতীয় গণমাধ্যম হিন্দুস্তান টাইমস।

প্রতিবেদনটিতে বলা হয়, সম্প্রতি বাংলাদেশে বেশ কয়েকটি সন্ত্রাসী হামলার দায় স্বীকার করেছে আইএস। বিভিন্ন তদন্ত প্রতিবেদন থেকে বোঝা যায়, জেএমবি ক্যাডারদের সাথে মিলে কাজ করছে সংগঠনটি। ২০১৪ সালে ভারতের বর্ধমানে বোমা বিস্ফোরণের জন্য দায়ী জেএমবি। তারা আইএসের তথাকথিত খিলাফত রাজ্যের প্রধান আবু বকর আল বাগদাদির অনুসারী।

আর এসব কারণে বাংলাদেশ থেকে জঙ্গি হামলার ব্যাপারে সতর্ক নরেন্দ্র মোদির সরকার। হামলার হুমকি থাকায় দেশটির বর্তমান সরকার ইতিমধ্যে জঙ্গিবাদ-বিরোধী কার্যক্রম শুরু করেছে বলেও জানায় হিন্দুস্তান টাইমস। গত বছর বাংলাদেশে প্রায় ১০টি সন্ত্রাসী হামলার ঘটনা ঘটিয়েছে আইএস। ভারতীয় নিরাপত্তা কর্মকর্তারা মনে করছেন, পশ্চিমবঙ্গ কিংবা আসামেও এ ধরনের ঘটনা ঘটাতে পারে সংগঠনটি।

তবে ভারতের ভেতরে আইএসের কার্যক্রমে পাকিস্তান থেকে অর্থায়নের কোনো প্রমাণ নেই বলেও জানায় গণমাধ্যমটি। জঙ্গি সন্দেহে এ পর্যন্ত ভারতের পশ্চিমবঙ্গ, আসাম এবং ঝাড়খণ্ড থেকে মোট ১৮ জনকে গ্রেপ্তার করেছে দেশটির পুলিশ।

ভারতীয় সরকারের তথ্যমতে, আইএসের ভারতীয় অঞ্চলকে তারা বলে ‘জুন্দাল খলিফা’। এর আমির (প্রধান), যাকে বলা হয় ‘আমির-ই-হিন্দ’ হচ্ছেন মুদাব্বির শেখ। তিনি দেশটির থানে জেলার মুমব্রা শহরে বাস করেন বলে গোয়েন্দাদের ধারণা।

উল্লেখ্য, ২০১৫ সালে বাংলাদেশে চারজন ব্লগার ও একজন প্রকাশককে কুপিয়ে হত্যা করে জঙ্গিরা। এছাড়া হত্যা করা হয় দুইজন বিদেশি নাগরিককে। শিয়া সম্প্রদায়ের ধর্মীয় মিছিলে হামলায় নিহত হয় দুইজন। হামলার ঘটনা ঘটে আহমদিয়া সম্প্রদায়ের মসজিদ ও হিন্দুদের মন্দিরেও।