বাংলাদেশ বাঁধ তৈরির করার ফলে শুকিয়ে যাচ্ছে আত্রেয়ী নদী

0
180

বাংলাদেশ বাঁধ তৈরির করার ফলে শুকিয়ে যাচ্ছে আত্রেয়ী নদী, মঙ্গলবার বিধানসভায় এমনটাই অভিযোগ করলেন ভারতের পশ্চিমবঙ্গের মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়। পাশাপাশি তাঁর আরও অভিযোগ, বিষয়টি নিয়ে ঢাকার সঙ্গে গুরুত্ব দিয়ে আলোচনা করছে না নয়াদিল্লি।

বিরোধীদের প্রশ্নের উত্তরে মঙ্গলবার মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায় বিধানসভায় বলেন, “বাঁধ তৈরির ফলে, দক্ষিণ দিনাজপুরের বাসিন্দাদের ভোগান্তি হচ্ছে। রাজ্য থেকে কেন্দ্রকে সবকিছু পাঠানো হয়েছে, তবুও কেন্দ্র বিষয়টি দেখছে, এবং এটিকে হাল্কাভাবে নিচ্ছে”।

শিলিগুড়ি থেকে বাংলাদেশ হয়ে আবারও পশ্চিমবঙ্গের দক্ষিণ দিনাজপুরে এসেছে আত্রেয়ী নদী। এই নদীর পানির ওপরেই নির্ভর করে চাষের কাজ থেকে শুরু করে জীবিকা নির্বাহ করেন মৎস্যজীবীরা।

প্রায় ৪০০ কিলোমিটার দীর্ঘ আত্রেয়ী নদী। প্রায় হাজারখানেক মানুষের জীবন জীবিকা নির্ভরকরে এই নদীর পানির ওপর। তবে স্থানীয়দের অভিযোগ, সম্প্রতি কয়েকবছরে, আত্রেয়ীর পানিস্তর ব্যাপকভাবে নেমে গিয়েছে।

বিধানসভায় মুখ্যমন্ত্রী মমতা আরও বলেন, “বিষয়টি নিয়ে আমি বাংলাদেশের প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা এবং প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদির সঙ্গে কথা বলেছি”। স্থানীয় বাসিন্দাদের অভিযোগ, কয়েক বছর ধরে গরমকালে এই নদীর পানি খুবই নেমে যাচ্ছে, প্রায় শুকিয়েই যাচ্ছে।

এর আগে তিস্তা পানিবন্টন চুক্তি নিয়েও বিধানসভায় বলেন মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়। তিনি বিধানসভায় বলেন, পরিস্থিতি যদি অনুকুলে হত, তাহলে “বন্ধুত্ত্বপূর্ণ” প্রতিবেশী দেশের সঙ্গে পানিবণ্টন মেনে নিতেন।

মুখ্যমন্ত্রী বলেন, “তিস্তার জলবণ্টন মেনে না নেওয়ায় তারা দুঃখ পেয়েছে…আমার ক্ষমতা থাকলে, নিশ্চিতভাবেই আমি তাদের সঙ্গে তিস্তার জল বণ্টন মেনে নিতাম …আমার কোনও সমস্যা নেই…বাংলাদেশ আমাদের বন্ধু…এ নিয়ে কোনও সন্দেহ নেই”।