বাংলাদেশ রেড ক্রিসেন্ট সোসাইটির ৪৬তম বার্ষিক সাধারণ সভা অনুষ্ঠিত

0
90

বাংলাদেশ রেড ক্রিসেন্ট সোসাইটির ৪৬তম বার্ষিক সাধারণ সভা অনুষ্ঠিত হয়। সভায় বাংলাদেশ রেড ক্রিসেন্ট সোসাইটির চেয়ারম্যান, ট্রেজারার, ব্যবস্থাপনা পর্ষদের সদস্যবৃন্দ, জেলা ও সিটি ইউনিটসমূহের ডেলিগেটবৃন্দ, সংশ্লিষ্ট মন্ত্রলালয়ের (স্বাস্থ্য ও পরিবার কল্যাণ, দুর্যোগ ব্যবস্থাপনা ও ত্রাণ, সমাজ কল্যাণ এবং প্রতিরক্ষা) প্রতিনিধিবৃন্দ এবং সোসাইটির মহাসচিব ও উপমহাসচিব অংশগ্রহণ করেন।

আজ ০৮ ডিসেম্বর শনিবার সকাল ১০ টায় হলি ফ্যামিলি রেড ক্রিসেন্ট মেডিকেল কলেজ অডিটোরিয়ামে অনুষ্ঠিত বার্ষিক সাধারণ সভার উদ্বোধনী অনুষ্ঠানে সভাপতিত্ব করেন বাংলাদেশ রেড ক্রিসেন্ট সোসাইটির মাননীয় চেয়ারম্যান জনাব হাফিজ আহমদ মজুমদার। স্বাগত বক্তব্যে রাখেন সোসাইটির সম্মানিত ট্রেজারার এ্যাডভোকেট তৌহিদুর রহমান। বার্ষিক সাধারণ সভা উপলক্ষে দেওয়া মহামান্য রাষ্ট্রপতির বাণী পাঠ করেন বাংলাদেশ রেড ক্রিসেন্ট সোসাইটির ম্যানেজিং বোর্ডের সম্মানিত সদস্য জনাব লুৎফুর রহমান চৌধুরী হেলাল, মাননীয় প্রধান মন্ত্রীর বাণী পাঠ করেন সোসাইটির ম্যানেজিং বোর্ড মেম্বার এ্যাডভোকেট শিহাব উদ্দিন শাহীন এবং স্বাস্থ্য মন্ত্রীর বাণী পাঠ করেন ম্যানেজিং বোর্ড মেম্বার মিজ রাজিয়া সুলতানা লুনা। সোসাইটির ভাইস চেয়ারম্যান এর লিখিত বক্তব্যে পাঠ করেন সোসাইটির ম্যানেজিং বোর্ড মেম্বার ডা: শেখ শফিউল আজম। সভায় শুভেচ্ছা বক্তব্যে রাখেন Mr. Azmat Ulla, Head of Bangladesh Country office, International Federation of Red Cross and Red Crescent Societies (IFRC) and Mr. Ikhtiyar Aslanove, Head of Delegation, ICRC, Bangladesh। ৪৬ তম বার্ষিক সাধারণ সভায় শোক প্রস্তাব ও গত ২৫ ডিসেম্বর ২০১৭ তারিখে অনুষ্ঠিত সোসাইটির ৪৫তম বার্ষিক সাধারণ সভার কার্যবিবরণী সভায় অনুমোদনের জন্য উপস্থাপন করেন সোসাইটির মহাসচিব মো: ফিরোজ সালাহ্ উদ্দিন। এছাড়াও বিভিন্ন জেলা ইউনিট থেকে অংশগ্রহণকারী ডেলিগেটরাও বক্তব্যে রাখেন।

মহমান্য রাষ্ট্রপতি তাঁর লিখিত বাণীতে আর্তমানবতার সেবায় রেড ক্রিসেন্টের অবদানের কথা তুলে ধরে বলেন, বাংলাদেশ রেড ক্রিসেন্ট সোসাইটি বন্যা, খরা, শৈত্যপ্রবাহ ইত্যাদি প্রাকৃতিক দুর্যোগ ছাড়াও মানবসৃষ্ট বিভিন্ন দুর্যোগে বিপন্ন মানুষের সাহায্যার্থে এগিয়ে এসেছে । বিভিন্ন সময়ে তিনি উল্লেখ করেন, আমাদের মুক্তিযুদ্ধকালীন এবং সদ্যস্বাধীন যুদ্ধবিধ্বস্থ দেশেও এ সংগঠনটি যুদ্ধাহত মানুষের পাশে থেকে আর্ত-মানবতার কল্যাণে কাজ করেছে। বাংলাদেশ রেড ক্রিসেন্ট সোসাইটি বহুমুখী সেবা ও সৃষ্টিশীল কর্মকান্ডের সম্প্রসারণের মাধ্যমে দেশের আর্থসামাজিক উন্নয়নসহ আঞ্চলিক ও আন্তর্জাতিক পরিমন্ডলে বিভিন্ন মানবিক কর্মকান্ড বাস্তবায়ন ও দুর্যোগ ঝুঁকি হ্রাসে মানবহিতৈষী এ সংগঠন অবদান রাখতে সক্ষম হবে বলে তিনি অভিমত ব্যক্ত করেছেন।

মাননীয় প্রধানমন্ত্রী তার বাণীতে রেড ক্রিসেন্টের যুব সদস্য ও স্বেচ্ছাসেবকদের কাজের প্রশংসা করে বলেন, দেশে সড়ক দুর্ঘটনা কমিয়ে আনার লক্ষ্যে জনসচেতনতা বাড়াতে রেড ক্রিসেন্ট সোসাইটির যুব সদস্যরা আইনশৃংখলা রক্ষাকারী বাহিনীর পাশাপাশি কাজ করে যে কর্ম দক্ষতার পরিচয় দিয়েছে তা প্রশংসনীয়। তিনি আশা প্রকাশ করেন, বাংলাদেশ রেড ক্রিসেন্ট সোসাইটির যুব স্বেচ্ছাসেবকরা এ ধরনের যে কোন জনহিতকর কাজে এগিয়ে আসবে এবং মানব কল্যাণে নিজেদেরকে সম্পৃক্ত করবে।

বার্ষিক সাধারণ সভায়, ২০১৭ সালের অডিট রিপোর্ট, ২০১৮ সালের সংশোধিত বাজেট এবং ২০১৯ সালের প্রস্তাবিত বাজেট, ২৫ ডিসেম্বর ২০১৭ তারিখে অনুষ্ঠিত সোসাইটির ৪৫তম বার্ষিক সাধারণ সভার কার্যবিবরণী ও ২০১৮ সালের বার্ষিক প্রতিবেদন অনুমোদন করা হয়।

উল্লেখ্য ৪৬ তম বার্ষিক সাধারণ সভা উপলক্ষে মহামান্য রাষ্ট্রপতি, মাননীয় প্রধানমন্ত্রী এবং সম্মানিত স্বাস্থ্য ও পরিবার কল্যাণ মন্ত্রী পৃথক পৃথক বাণী দিয়েছেন।