বান্দরবানের সঙ্গে সড়ক চালু, নিখোঁজদের উদ্ধারে ফের অভিযান

0
52

সঙ্গে চট্টগ্রাম-রাঙমাটির
পাহাড় ধসে
॥ বান্দরবান প্রতিনিধি, ২৬ জুলাই ২০১৭ ॥
সড়কে পানি কমে যাওয়ায় বান্দরবানের সঙ্গে চট্টগ্রাম, রাঙমাটির সড়ক যোগাযোগ চালু হয়েছে তিনদিন পর। এদিকে রুমা সড়কে পাহাড় ধসে নিখোঁজ বাকি ৩ জনের খোজে চতুর্থ দিনের মত উদ্ধার তৎপরতা শুরু করেছেন সেনাবাহিনী-ফায়ারসার্ভিসের সদস্যরা। আজ বুধবার সকালে এ ঘটনা ঘটে।
প্রশাসন ও স্থানীয়রা জানায়, গতশনিবার থেকে টানা বর্ষণে বান্দরবান চট্টগ্রাম সড়কের বাজালিয়া এবং রাঙামাটি সড়কের পুলপাড়ায় সড়ক তলিয়ে যাওয়ায় বান্দরবানের সঙ্গে গত তিনদিন সড়ক যোগাযোগ বন্ধ ছিল। কিন্তু বৃষ্টি না হওয়ায় সড়কে পানি কমে যাওয়ায় বুধবার সকাল থেকে বান্দরবানের সঙ্গে চট্টগ্রাম, কক্সবাজার, রাঙামাটি সড়ক যোগাযোগ ফের চালু হয়েছে। তবে পাহাড় ধসের কারণে আজও বন্ধ রয়েছে রুমা উপজেলার সঙ্গে সড়ক যোগাযোগ ব্যবস্থা। যোগাযোগ বিচ্ছিন্ন না থাকায় চরম দূর্ভোগ পোহাতে হচ্ছে সাধারণ মানুষদের। পরিবহন শ্রমিক মোহাম্মদ মহসিন বলেন, বুধবার সকাল থেকে বান্দরবানের সঙ্গে চট্টগ্রাম, কক্সবাজার, রাঙামাটির সড়ক যোগাযোগ চালু হয়েছে। ইতিমধ্যে বান্দরবান ছেড়েছে চট্টগ্রামের উদ্দেশ্যে বেশকয়েকটি বাসও।
এদিকে গতরোববার (২৩ জুলাই) পাহাড় ধসে নিখোঁজ বাকি ৩ জনের খোজে চতুর্থ দিনের মত উদ্ধার তৎপরতা শুরু করেছে সেনাবাহিনী-ফায়ারসার্ভিসের সদস্যরা। নিখোঁজরা হচ্ছেন- রুমা স্বাস্থ্য পরিবার পরিকল্পনা অফিস সহকারী মুন্নি বড়–য়া, কৃষি ব্যাংক কর্মকর্তা গৌতম নন্দী, ডাক বিভাগের কর্মচারী মো: রবিউল, এবং পাড়া কার্বারী মংশৈহ্লা’র বড়মেয়ে উমেচিং মারমা। এদিকে রুমা সড়কের ঘটনাস্থলে স্বজনদের অপেক্ষায় ভীড় জমিয়েছেন নিখোজদের আত্মীয় স্বজনেরাও।
নিখোঁজ ব্যাংক কর্মকর্তার শ্যালক দিগন্ত নদী বলেন, কর্মস্থলে যাবার সময় গত২৩ জুলাই পাহাড় ধসে রুমা সড়কে নিখোজ হয় আমার বোনজামাতা কৃষি ব্যাংক কর্মকর্তা গৌতম নন্দী। নিখোজের চারদিন হলেও এখনো তার কোনো খোজ পাওয়া যায়নি। সেনাবাহিনী, ফায়ারসার্ভিস, রেডক্রিসেন্ট সদস্যরা উদ্ধার তৎপরতা চালাচ্ছে। যোগ দিয়েছেন স্থানীয় পাহাড়ীরাও। আমরাও অপেক্ষায় আছি স্বজনদের।
বান্দরবান ফায়ার সার্ভিসের ইউনিট অফিসার ইকবাল হোসেন বলেন, পাহাড় ধসে বিধস্ত সড়কের ঝুকিপূর্ন এলাকা ঘেরাও করে উদ্ধার তৎপরতা চালাচ্ছেন সেনাবাহিনী-ফায়ারসার্ভিস. রেডক্রিসেন্ট ইউনিটের সদস্যরা’সহ স্থানীয় পাহাড়ীরা। বৃষ্টির কারণে উদ্ধার তৎপরতা কিছুটা ব্যাহত হচ্ছে বলে জানিয়েছেন উদ্ধারকর্মীরা। ঘটনাস্থলের কয়েকশ ফুট নিচে পাহাড়ের খাদে একটি পাহাড়ী ছড়া আছে, সেখানেও খোজা হচ্ছে। তবে পানির ¯্রােতে লাশ ভেসে যাবার শঙ্কাও রয়েছে। তবে কৌশল পরিবর্তন করে পানি মেরে মাটি সরিয়ে খোজা হচ্ছে নিখোজদের। যদি লাশ থেকে থাকে, তাহলে উদ্ধার করা সম্ভব হবে। আমরা আশাবাদি।
বান্দরবানের অতিরিক্ত জেলা প্রশাসক (সার্বিক) মো: হারুন উর রশীদ বলেন, ভারী বর্ষণে রুমা সড়কে পাহাড় ধসের ঘটনা ঘটে। পাহাড় ধসে রুমা উপজেলার সঙ্গে সড়ক যোগাযোগ বন্ধ রয়েছে। পাহাড় ধসে নিখোজদের উদ্ধারে উদ্ধার তৎপরতা চলছে। পাহাড় ধসের ঝুকিতে বসবাসকারীদের ঝুকিপূর্ন বসতিগুলো ছেড়ে নিরাপদ স্থানে সরে যেতে মাইকিং করা হচ্ছে। শহরের দশটি শিক্ষা প্রতিষ্ঠানে খোলা হয়েছে অস্থায়ী আশ্রয় কেন্দ্র।