বান্দরবানে আওয়ামীলীগ-বিএনপি দফায় দফায় সঘর্ষ

0
88

পুলিশ, সাংবাদিক’সহ আহত-৩০, বিএনপি অফিস ভাংচুর
বান্দরবান প্রতিনিধি॥
Screenshot_19
বান্দরবানে আওয়ামীলীগ-বিএনপি সংঘর্ষ, ধাওয়া পাল্টা ধাওয়ায় পুলিশ, সাংবাদিক’সহ ৩০ জন আহত হয়েছে। জেলা বিএনপির অফিস’সহ বেশকয়েকটি দোকানপাট, ব্যবসা প্রতিষ্ঠান ভাংচুর করেছে আওয়ামীলীগের কর্মীরা। ঘটনাস্থল থেকে পোর মেয়র মেহাম্মদ জাবেদ রেজা’সহ ৬ জনকে আটক করা হয়। তবে পৌর মেয়র’কে কিছুক্ষন আটকে রাখার পর ছেড়ে দেয়া হয়েছে বলে খবর পাওয়া গেছে। আজ সোমবার দুপুরে বারোটা থেকে বান্দরবান বাজারে থেমে চলে এই সংঘর্ষের ঘটনা ঘটে।
সোমবার সকালে বান্দরবানে ৫ জানুয়ারী’কে গনতন্ত্র রক্ষা এবং গনতন্ত্র হত্যা দিবস দাবী করে পাল্টাপাল্টি অবস্থান নেয় আওয়ামীলীগ-বিএনপির নেতাকর্মীরা। শহরে এক ঘন্টা পর মিছিল করে আওয়ামীলীগের নেতাকর্মীরা। কিন্তু পুলিশি বাঁধায় কোথাও দাঁড়াতে পারেনি বিএনপি’সহ সহযোগী সংগঠনের নেতাকর্মীরা। দুপুরে বারোটার সময় বান্দরবান বাজারস্থ দলীয় কার্যালয়ের সামনে থেকে বিএনপি নেতাকর্মীরা মিছিল বের করলে পুলিশ বাঁধা দেয়। পুলিশি বাঁধা উপেক্ষা করে বিএনপি’সহ সহযোগী সংগঠনের নেতাকর্মীরা সামনে অগ্রসর হলে আওয়ামীলীগের নেতাকর্মীরা বিএনপির উপর হামলা চালায়। এসময় বাজারের তিন নাম্বার গলি’সহ আশপাশের এলাকাগুলোতে আওয়ামীলীগ-বিএনপি নেতাকর্মীরা সংঘর্ষে জড়িয়ে পড়েন। লাঠি সুটা এবং ইট-পাটকেল নিয়ে
দফায় দফায় ঘন্টাব্যাপী চলে পাল্টাপাল্টি সংঘর্ষ। পুলিশের লাঠি চার্জ এবং আওয়ামীলীগ-বিএনপি সংঘর্ষে জেলা আওয়ামীলীগের সাধারণ সম্পাদক কাজী মুজিবর রহমান, জেলা বিএনপির সভাপতি সাচিং প্রু জেরী, যুগ্ন সম্পাদক মুজিবুর রশীদ, বিএনপি নেতা জাহাঙ্গীর আলম, পৗর মেয়র মোহাম্মদ জাবেদ রেজা, স্বেচ্ছাসেবকলীগের পৌর শাখা সভাপতি ইকবাল মাহমুদ, কৃষকলীগের পৌর সেক্রেটারী আবুল বাশার, যুবলীগ কর্মী বিপ্লব, যুবদল কর্মী কাসেম, ছাত্রদলের সহ-সভাপতি জিয়া উদ্দিন, কলেজ সভাপতি মোরশেদ, পুলিশ সদস্য খায়রুল, মোহাম্মদ মুন্না, সাংবাদিক এইচ এম সম্রাট, মোজাম্মেল হক লিটন’সহ ৩০ জন আহত হওয়ার খবর পাওয়া গেছে। গুরুতর আহতদের সদর হাসপাতালে ভর্তি করা হয়েছে। সংঘর্ষ চলাকালে আওয়ামীলীগের নেতাকর্মীরা জেলা বিএনপি অফিস’সহ কয়েকটি দোকানপাট, ব্যবসা প্রতিষ্ঠান এবং মোটর সাইকেল ভাংচুর করেছে। ধাওয়া পাল্টা ধাওয়ার পর রাজপথ দখল করে নেয় আওয়ামীলীগের নেতাকর্মীরা। পরিস্থিতি নিয়ন্ত্রনে আনতে পুলিশ কয়েক দফায় লাঠি চার্জ করে। এদিকে সংঘর্ষের ঘটনায় বান্দরবান পৌর মেয়র মোহাম্মদ জাবেদ রেজা, জেলা ছাত্রদলের যুগ্ন সম্পাদক ওমর ফারুক রাশেদ, কলেজ ছাত্রদলের সভাপতি মোরশেদ বিন ওমর’সহ ৬ জনকে আটক করে পুলিশ। তবে কিছুক্ষন আটক রাখার পর পৌর মেয়রকে ছেড়ে দেয়া হয় বলে জানাগেছে।
ঘটনার সত্যতা নিশ্চিত করে বান্দরবান সদর থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি তদন্ত) আমির হোসেন জানান, পাল্টাপাল্টি কর্মসূচী এক পর্যায়ে সংঘর্ষে উভয় দলের নেতাকর্মীরাই আহত হয়েছেন। পরিস্থিতি নিয়ন্ত্রনে রাখতে ঘটনাস্থল থেকে ৫ জনকে আটক করা হয়েছে। অপ্রীতিকর পরিস্থিতি এড়াতে গুরুত্বপূর্ন স্থানগুলোতে নিরাপত্তা ব্যবস্থা জোরদার করা হয়েছে।

[one_fifth]