বান্দরবানে রামজাদীতে মুকুট, বৌদ্ধ মূর্তি স্থাপন উৎসব শুরু

0
94

বান্দরবান প্রতিনিধি॥
বান্দরবানে পাহাড়ের চূড়ায় অবস্থিত রাম জাদীতে মুকুট ও বৌদ্ধ মূর্তি স্থাপনে তিন ব্যাপী উৎসব শুরু হয়েছে। আজ শুক্রবার দুপুরে জেলার রোয়াংছড়ি উপজেলা সড়কের হুদাবাবু ঘোণা এলাকায় অবস্থিত দেশের সর্ববৃহৎ বৌদ্ধ ধাতু জাদী রাম জাদীতে গৌতম বুদ্ধের স্মরণে ২৮টি মুকুট এবং এক হাজারেরও বেশি বৌদ্ধ মূর্তি স্থানপন করেন জাদীর প্রতিষ্ঠাতা দেশের অন্যতম বৌদ্ধ ধর্মীয় গুরু উপঞঞা জোত মহাথেরো উচহ্লা ভান্তে।
অনুষ্ঠানে অংশ নেয় পার্বত্য চট্টগ্রাম বিষয়ক মন্ত্রণালয়ের প্রতিমন্ত্রী বীর বাহাদুর এমপি, হাইকোর্টের বিচারপতি ভবানী প্রসাদ সিংহ, জেলা প্রশাসক দিলীপ কুমার বণিক’সহ দেশের বিভিন্ন বৌদ্ধ ক্যায়াং বা মন্দিরগুলোর শতশত বৌদ্ধ ভিক্ষুরা। এছাড়াও বান্দরবানের সাত উপজেলা, কক্সবাজার, রাঙামাটি, খাগড়াছড়ি, চট্টগ্রাম’সহ দেশের বিভিন্নস্থান থেকে বৌদ্ধ ধর্মালম্বী নারী-পুরুষেরা ভীড় জমায় এ উৎসবে।
অনুষ্ঠানে জাদীর প্রতিষ্ঠাতা দেশের অন্যতম বৌদ্ধ ধর্মীয় গুরু উপঞঞা জোত মহাথেরো উচহ্লা ভান্তে ভক্তদের উদ্দেশ্যে ধর্মীয় দেশনা দেন।
জানাগেছে, ২০০৫ সালে জেলা শহর থেকে তিন কিলোমিটার দুরে রোয়াংছড়ি উপজেলা সড়কের হুদা বাবুর ঘোনা এলাকায় পাহাড়ের চূড়ায় ১৭৫ ফুট উচ্চতার রাম জাদীর নির্মাণ কাজ শুরু হয়েছিল। ২০১২ সালে জাদীতে স্থাপন করা হয় বৌদ্ধ মূর্তী ও ধাতু। মায়ানমারের দক্ষ নির্মাণ প্রকৌশলী ও রাজ প্রমিকরা দীর্ঘদিন ধরে অক্লান্ত পরিশ্র করে জাদীটি নির্মাণ করেছেন। সমুদ্র পৃষ্ট হতে প্রায় দেড়হাজার ফুট উচুতে গড়ে তোলা রাম জাদীটি অনেকের কাছে রামা জাদী নামে পরিচিত। জাদীকে আকর্ষণীয় করতে স্বর্নাভাব রং দেওয়া হয়েছে। এটির অভ্যন্তরে রয়েছে ছোটবড় পিতলের ১০টি বৌদ্ধ মূর্তী এবং জাদীর উপরের অংশে রয়েছে ৯০টি বৌদ্ধ মূর্তী।
জাদীর তত্বাবধানে নিয়োজিত শিল জ্যোতি বড়ুয়া বলেন, দেশের অন্যতম বৌদ্ধ ধর্মীয় গুরু দি ওয়াল্ড বৌদ্ধ শাসন সেবক সংঘের প্রতিষ্ঠাতা উপঞ ঞা জোত মাহাথেরো রামা জাদীটি নির্মাণ করেছেন। মায়ানমার, চীন, থাইল্যান্ডের বৌদ্ধ ট্যাম্পলগুলোর আদলেই রামা জাদী নির্মাণ করা হয়েছে। এটিতে ছোট বড় সব মিলিয়ে ১০০টি বৌদ্ধ মূর্তী রয়েছে। জাদীর কাছেই রয়েছে বিহার। এটি এখন দক্ষিণ এশিয়ার অন্যতম ও দেশের সর্ববৃহৎ বৌদ্ধ জাদী। জাদীর উচ্চতা প্রায় ১৭৫ ফুট। দক্ষ স্থাপত্য প্রকৌশলীর হাত দিয়ে অনন্য নির্মাণ শৈলীর এই স্থাপনা তৈরিতে ১১ বছরেরও বেশি সময় লেগেছে। অভিষেক অনুষ্ঠানের মধ্য দিয়ে এটি পূর্ণতা পেয়েছে। শুধু ভক্তবৃন্দই নয় এটি দেশের সব মানুষের কাছে আকর্ষণীয় হয়ে উঠুক এমনটিই প্রত্যাশা করি।