বান্দরবানে ৩২কোটি টাকার টেন্ডার ভাগভাটোয়ার

0
112

জহির রায়হান, বান্দরবান:- পার্বত্য চট্টগ্রাম উন্নয়ন বোর্ড অনিয়ম-দূর্নীতির আখঁড়ায় পরিনত হয়েছে বলে অভিযোগ উঠেছে। পার্বত্য চট্টগ্রাম উন্নয়ন বোর্ড বান্দরবান শাখায় আবারও গোপন টেন্ডারের মাধ্যমে ৩টি ভাগে প্রায় ৩২কোটি টাকার উন্নয়ন কাজ ভাগভাটোয়াররা অভিযোগ পাওয়া গেছে। এঘটনা সাধারণ ঠিকাদারদের মাঝে চরম ক্ষোভ বিরাজ করছে। নাম প্রকাশ না করার শর্তে কয়েকজন ঠিকারদার অভিযোগ করেন, পার্বত্য চট্টগ্রাম উন্নয়ন বোর্ড ২০১৩-২০১৪ অর্থ বছরের বান্দরবানের বিভিন্ন এলাকায় প্রায় ৩২কোটি টাকা ব্যয়ে ৩টি ভাগে প্রায় ৩৪টি গ্রুপের কাজ সম্পাদানের উদ্যোগ নেয় কর্তৃপক্ষ। কিন্তু চলতি সপ্তাহের ১৮/১৯নভেম্বর কাজগুলো পার্বত্য চট্টগ্রাম উন্নয়ন বোর্ড চেয়ারম্যান বীর বাহাদুর এমপি নির্দেশে শাখার নির্বাহী প্রকৌশলী আব্দুল আজিজ গোপন টেন্ডারের মাধ্যমে চেয়ারম্যানের আশীষবাদপুষ্ট এবং ঘনিষ্ঠজনদেরকে ভাগভাটোয়ারা করে দিয়েছেন। তারা বলেন, স্থানীয় ঠিকাদার ও লোকজন যাতে জানতে না পারে সেজন্য কাজগুলো অজ্ঞাত নামা পত্রিকায় দরপত্র বিজ্ঞপ্তি দেয়া হয়। তারা অভিযোগ করেন, বিগত ৫বছরের ব্যাপক অনিয়ম-দূর্নীতির কারণে চেয়ারম্যান বীর বাহাদুর এমপির বান্দরবানে ভাবমূর্তি চরমভাবে ক্ষুন্ন হয়েছে। আত্মীয় করণ ও আচরণে দলের সাধারণ নেতাকর্মীরও তার ওপর চরমভাবে ক্ষুদ্ধ হয়ে আছে। অনিময়-দুর্নীতির, আত্মীয় করণের কারণে আ’লীগের জেলা সভাপতি প্রসন্ন কান্তি তংঞ্চঙ্গ্যার সাথে বান্দরবানে 1তার চরম বিরোধ দেখা দিয়েছে। সাধারণ নেতাকর্মীদের চাপের মূখে প্রসন্ন আগামী নির্বাচনে দলীয় মনোনয়ন চেয়েছেন এবং নির্বাচন করার ঘোষনা দিয়েছে। এতে আগামী জাতীয় সংসদ নির্বাচনে বিজয় হওয়াটা তার জন্য একটি চ্যালেঞ্জ হয়ে দাড়িয়েছে। ফলে তিনি আগামী জাতীয় সংসদ নির্বাচনকে সামনে রেখে শান্ত করণ হিসেবে আ’লীগসহ বিভিন্ন রাজনৈতিক দলের নেতাকর্মীদের নিজের আয়ত্বে আনতে উন্নয়ন বোর্ডে গোপন টেন্ডারের মাধ্যমে কোটি কোটি টাকার উন্নয়ন কাজ ভাগভাটোয়ারা করে দিচ্ছে। চলতি সপ্তাহে যেসব কাজ গোপন টেন্ডার দেয়া হয়েছে। এসব কাজ প্রতিটি আশীষবাদপুষ্ট এবং ঘনিষ্ঠজনদের দিয়েছে চেয়ারম্যান বীর বাহাদুর এমপি। ঠিকাদাররা আরো অভিযোগ করেন, এসব দূর্নীতির কাজে সরাসরি সহযোগিতা করছে পার্বত্য চট্টগ্রাম উন্নয়ন বোর্ডের নির্বাহী প্রকৌশলী আব্দুল আজিজ। তাদের অভিযোগ বান্দরবান শাখার নির্বাহী প্রকৌশলী আব্দুল আজিজ একজন চরম দূর্নীতিবাজ কর্মকর্তা। তিনি প্রতি কাজে ঠিকাদারদের কাছে লাখ প্রতি ৫% হারে হাতিয়ে দিচ্ছে। আবার যেসব কাজ গোপন টেন্ডারের মাধ্যমে রাজনৈতিক দলের নেতারা পেয়ে থাকে এসব কাজ অতিরিক্ত ২% করে ৭%হারে ঘুষের মাধ্যমে সাধারণ ঠিকাদারদের বিক্রির মধ্যস্থতা করেন। তাদের অভিযোগ পার্বত্য চট্টগ্রাম উন্নয়ন বোর্ডের প্রধান নির্বাহী প্রকৌশলী সত্যজিৎ চৌধূরী এবং বান্দরবান শাখার নির্বাহী প্রকৌশলী আব্দুল আজিজের যোগসাজেসে চেয়ারম্যান বীর বাহাদুর এমপি উন্নয়ন বোর্ডে লুটপাটের মহোৎসব চালাচ্ছে। এ দুই প্রকৌশলীর মাধ্যমে চেয়ারম্যান গোপন টেন্ডারের কাজ ভাগভাটোয়ারা করে কোটি কোটি টাকার বানিজ্য করেছে। ফলে স্থানীয় সাধারণ ঠিকাদাররা বেকার হয়ে পড়েছে। তারা আরো অভিযোগ করেছে বিগত ৫বছরের চেয়ারম্যান বীর বাহাদুর ও প্রকৌশলীগণ পুরাতন সম্পন্ন হওয়া কাজকে টেন্ডারের দেখিয়েও কোটি কোটি টাকা হাতিয়ে নিয়েছে। এভাবে উন্নয়ন বোর্ডকে একটি দূর্নীতিগ্রস্ত প্রতিষ্ঠানে পরিনত করেছে। ঠিকাদাররা আরো অভিযোগ করেন, স¤প্রতি যে ৩২কোটি টাকার কাজ গোপন টেন্ডারের মাধ্যমে ভাগভাটোয়ারা করা হয়েছে। এসব কাজের বাবদ নির্বাহী প্রকৌশলী আব্দুল আজিজ উক্ত ঠিকাদারদের কাছ থেকে চেয়ারম্যান ও প্রতিষ্ঠানের বড় কর্মকর্তাদের নামে কয়েক লাখ টাকার বানিজ্য করেছে। এবিষয়ে পার্বত্য চট্টগ্রাম উন্নয়ন বোর্ড বান্দরবান শাখার নির্বাহী প্রকৌশলী আব্দুল আজিজ স¤প্রতি সময়ে কোন প্রকার গোপন টেন্ডার, অনিয়ন-দূর্নীতির হয়নি বলে জানিয়ে বলেন, উন্নয়ন বোর্ডের ভাবমূর্তি ক্ষুন্ন করার জন্য একটি মহল অপপ্রচার চালাচ্ছে।সূত্রসিএইচটিনিউজ