বাসায় ইয়াবা: সেই (এসআই) সাময়িক বরখাস্ত

0
147

চট্টগ্রাম নগরের বাকলিয়া থানা পুলিশের উপ-পরিদর্শক (এসআই) খন্দকার সাইফুদ্দিনের বাসা থেকে ইয়াবা উদ্ধারের পর তাকে সাময়িক বরখাস্ত করা হয়েছে।

ওই বাসা থেকে ১৪ হাজার ১০০ ইয়াবা ও ২ লাখ ৩১ হাজার ৬৩০ টাকা উদ্ধারের পাশাপাশি এস এম নাজিম উদ্দিন মিল্লাত (৩৭) নামের এক ব্যক্তিকে গ্রেফতার করা হয়েছে। র‌্যাবের দাবি এসআই খন্দকার সাইফুদ্দিন ওই বাসাটি ভাড়া নিয়েছিলেন।

অভিযুক্ত খন্দকার সাইফুদ্দিন বাকলিয়া থানার অধীনে চাক্তাই পুলিশ ফাঁড়ির ইনচার্জ হিসেবে দায়িত্বপালন করছেন।

নগর পুলিশের উপ কমিশনার (দক্ষিণ) এসএম মোস্তাইন হোসাইন বলেন, খন্দকার সাইফুদ্দিনকে বহিষ্কার করা হয়েছে। তার বিরুদ্ধে বাকলিয়া থানায় মাদকদ্রব্য নিয়ন্ত্রণ আইনে মামলা হয়েছে। বিভাগীয় ব্যবস্থা নেওয়া হবে।

এ ছাড়া নগর পুলিশের পক্ষ থেকে চকবাজার জোনের সহকারী কমিশনার নোবেল চাকমাকে প্রধান করে একটি বিভাগীয় তদন্ত কমিটি গঠন করা হয়েছে। কমিটিতে সদস্য করা হয়েছে চকবাজার থানার পরিদর্শক (তদন্ত) ও সদরঘাট থানার পরিদর্শককে (তদন্ত)।

এর আগে গত সোমবার রাত ১২টার দিকে নগরের বাকলিয়া থানার পশ্চিম বাকলিয়া হাফেজ নগর এলাকার গোফরান মুন্সির বাড়ির’ এসআই সাইফুদ্দিনের ভাড়া বাসায় অভিযান চালায় র‌্যাব। বাসায় ওই এসআই’য়ের পোশাকসহ ব্যবহারের বিভিন্ন জিনিসপত্র পাওয়া গেছে বলেও জানায় র‌্যাব কর্মকর্তারা।

র‍্যাব-৭ চট্টগ্রামের সিনিয়র সহকারী পরিচালক (গণমাধ্যম) মিমতানুর রহমান বলেন, এসআই খন্দকার সাইফুদ্দিন পরিবার নিয়ে অন্য জায়গায় থাকেন। কিন্তু পশ্চিম বাকলিয়া এলাকায় একটি বাসা ভাড়া নিয়ে তিনি ইয়াবা ব্যবসা করেন, র‍্যাবের কাছে এমন তথ্য ছিল। এই তথ্যের ভিত্তিতে ওই বাসায় অভিযান চালিয়ে ১৪ হাজার ১০০ ইয়াবা উদ্ধার করা হয়। বাসা থেকে মিল্লাত নামের একজনকে গ্রেফতার করা হয়েছে। তিনি ওই বাসায় পাহারা দিতেন।

বাকলিয়া থানার ওসি প্রণব চৌধুরী বলেন, এসআই সাইফুদ্দিনের বাসা থেকে ইয়াবা উদ্ধারের অভিযোগটি পেয়েছি। এ ঘটনায় র‌্যাবের পক্ষ থেকে মামলা দায়ের হয়েছে।

প্রসঙ্গত গত ১৩ জুলাই নগরের বহদ্দারহাট থেকে ইয়াবাসহ বরখাস্ত হওয়া এক এএসআই রেদোয়ানুল ইসলামকে গ্রেফতার করেছিল ডিবি পুলিশ। এর আগে ২০১৬ সালে বাকলিয়া থানায় দায়িত্বরত থাকা অবস্থায় ইয়াবাসহ গ্রেফতারের কারণে তাকে সাময়িক বরখাস্ত করা হয়েছিল।